সিআইএফএফের প্রতিষ্ঠাতা ও উৎসব পরিচালক মনজুরুল ইসলাম মেঘ জানান, প্রায় ৭০টিরও অধিক দেশের ৪০০টিরও বেশি চলচ্চিত্র জমা পড়েছিল। এর মধ্য থেকে উত্সবের প্রথম সংস্করণের জন্য ১১টি প্রতিযোগিতা বিভাগের জন্য ৫৪টি দেশ থেকে ১৫০টি চলচ্চিত্র মনোনিত হয়েছে।
উৎসব পরিচালক জানান, করোনা মহামারির কারণে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে এই বছর পাবলিক স্ক্রিনিং সম্ভব নয় তবে আমন্ত্রিত অতিথি ও মনোনিত সিনেমার কলাকুশলীদের জন্য আসন সংখ্যা সীমাবদ্ধ রাখা হচ্ছে।
সিআইএফএফ প্রথম সংস্করণে এশীয় দেশগুলোর মধ্য থেকে প্রতিযোগিতা করবে চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, ইরাক, ইসরায়েল, জাপান, কুয়েত, লেবানন, মিয়ানমার, মালয়েশিয়া, মঙ্গোলিয়া, নেপাল, ফিলিস্তিন, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, কাতার, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, তাজিকিস্তান, তুরস্ক, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, শ্রীলঙ্কা, সিরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, উজবেকিস্তান ও স্বাগতিক বাংলাদেশ।
ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্য থেকে প্রতিযোগিতা করবে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রীস, জর্জিয়া, ইতালি, কসোভো, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, পর্তুগাল, রাশিয়া, স্পেন, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য।
এছাড়াও আমেরিকা, আফ্রিকা এবং মহাসাগরী দেশগুলো থেকে অংশগ্রহণ করবে আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, কিউবা, কানাডা, পেরু, ভেনিজুয়েলা, যুক্তরাষ্ট্র, মিশর, মরক্কো, নাইজেরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ।
উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা বিভাগ চারটি হলো পূর্ণদৈর্ঘ্য, স্বল্পদৈর্ঘ্য, ডকুমেন্টারি এবং মোবাইল ফিল্ম প্রতিযোগিতা বিভাগ।
বাংলাদেশি প্যানোরামাতে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রগুলোর জন্য পূর্ণদৈর্ঘ্য, স্বল্পদৈর্ঘ্য, ডকুমেন্টারি এবং মোবাইল ফিল্ম প্রতিযোগিতা বিভাগ।
এছাড়াও ক্লাসিক্যাল ফিল্ম ‘সম্মানজনক’ প্রতিযোগিতা তিনটি বিভাগে যে কোনো বছরে নির্মিত ক্লাসিক চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতা করতে পারবে।
মনজুরুল ইসলাম মেঘ জানান, সিনেম্যাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২০ আয়োজক ঢাকা ফেস্টিভালসহ আয়োজক হিসেবে আছে চলচ্চিত্র প্রযোজনা ও পরিবেশনা প্রতিষ্ঠান সিনেম্যাকিং। উৎসব সহযোগী হিসেবে থাকছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান মাসুদ মঞ্চ ইন্টারন্যাশনাল ও রুশদা ফিল্মস।
উৎসব পরিচালক আরও জানান, উৎসবটি উৎসর্গ করা হচ্ছে বাংলা চলচ্চিত্রের উন্নয়নে, এফডিসির প্রতিষ্ঠাতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুজিব বর্ষকে।