কিন্তু নাজুক অবস্থা হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের। করোনা হাসপাতালে ১০টি এবং সাধারণ রোগীদের জন্য মাত্র ৪টি আইসিইউ শয্যা দিয়ে চলছে এ হাসপাতালের কার্যক্রম। আইসিইউ সেবা না পেয়ে ব্যয়বহুল জেনেও বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ছুটছেন অনেক সাধারণ মানুষ।
এদিকে খুমেক হাসপাতাল প্রাঙ্গণে নির্মাণ করা দ্বিতল বিশিষ্ট আইসিইউ ভবন ২০১৮ সালে সরকারের পক্ষ থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। হস্তান্তরের পর প্রায় তিন বছর কেটে গেলেও পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হয়নি আইসিইউ ভবন। আইসিইউ কার্যক্রম পরিচালনা করার বিপরীতে ভবনটিতে চলে অন্য বিভিন্ন কার্যক্রম। গত বছর খুলনায় ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাব বাড়লে ভবনটিকে বানানো হয় ডেঙ্গু ইউনিট। আবার বর্তমানে ভবনটি ব্যবহার করা হচ্ছে করোনার আইসোলেশন কেন্দ্র হিসেবে।
আরও পড়ুন: খুমেক হাসপাতালে বিক্রি হচ্ছে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট!
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, দুইতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ৫টি কেবিন, ১০টি আইসিইউ শয্যা ও ১৬টি পোস্ট অপারেটিভ শয্যা চালু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হলেও তা বাস্তবায়নে এখনও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এছাড়াও আইসিইউ চালু করার জন্য ২০ জন চিকিৎসকসহ ১৪৪ জন লোকবল নিয়োগের জন্য কয়েকবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়। কারণ আইসিইউ পরিচালনা করতে গেলে সকল সরঞ্জামের সাথে সাথে অনেক চিকিৎসক ও লোকবল প্রয়োজন হয়।
খুমেক হাসপাতালের এনেস্থসিয়লজি ও আইসিইউ বিভাগের প্রধান ডা. ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘এটি বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল। এখানে আইসিইউ ভবনটি চালু হওয়া অতি জরুরি। বর্তমানে যেখানে সাধারণ রোগীদের আইসিইউ সেবা দেয়া হচ্ছে সেখানে শয্যা আছে মাত্র ৪টি। তারপরও প্রয়োজনের তাগিদে একই সুবিধা দিয়ে বেশ কয়েকজন রোগীকে আমরা আইসিইউ সেবা দিয়ে থাকি। করোনা হাসপাতালে যে আইসিইউ শয্যা ব্যবহার করা হয় তা সাধারণ রোগীদের জন্য কোনোভাবেই ব্যবহার করা যাবে না।’
সাধারণ রোগীদের জন্য খুমেক হাসপাতালে আইসিইউ বিভাগটি ঢেলে সাজানো অতি জরুরি উল্লেখ করে এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলায় আইসিইউ বিভাগে কয়েকটি শয্যা এবং কয়েকটি ভেন্টিলেটর এসেছে। শুধুমাত্র এগুলো দিয়ে আইসিইউ বিভাগ পূর্ণাঙ্গ চালু করা কোনোভাবেই সম্ভব না। ওই ভবনে আগে পাইপ লাইন ওয়ার্ক করা দরকার।’
হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুন্সি মো. রেজা সেকেন্দার বলেন, ‘আইসিইউ ভবনের ১ম তলায় করোনা হাসপাতাল ও ২য় তলায় আইসিইউ বিভাগ করার জন্য কার্যক্রম চলছে। লিখিতভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে বর্তমানে রোগীর চাপ কম থাকায় হাসপাতালে আইসিইউ নিয়ে কোনো সমস্যায় পড়তে হচ্ছে না।’