কারাগারে কয়েদিদের শেখানো হচ্ছে নানা রকমের হস্তশিল্পের কাজ। এতে একদিকে যেমন মানসিক উন্নয়ন ঘটছে, তেমনি উৎপাদিত পণ্য বিক্রির মুনাফাও পাচ্ছে তারা।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, কুমিল্লা জেলা কারাগারটিকে কেন্দ্রীয় কারাগারে রূপান্তর করা হয় ১৯৬২ সালে। ১ হাজার ৭শ ৪২ জন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন এ কারাগারে প্রতিনিয়ত গড়ে তিন হাজার কয়েদি অবস্থান করে।
কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে আবার যেন অপরাধে না জড়ান এবং কর্মহীন হয়ে না থাকতে হয় সেজন্য তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ ও স্বাবলম্বী করে তোলার চেষ্টা করছেন কারা কর্তৃপক্ষ। এর ফলে পাল্টে গেছে সাজাপ্রাপ্ত নারী ও পুরুষ কারাবন্দিদের জীবনধারা।
কর্তৃপক্ষ জানায়, তাঁত, বাঁশ-বেত, নকশিকাঁথা সহ বিভিন্ন ধরনের গৃহস্থালি ও হস্তশিল্পের কাজে ব্যস্ত থাকে এখানকার প্রায় ৩শ’ বন্দি। এটি কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের নিত্যদিনের দৃশ্য। দীর্ঘদিন ধরে তারা হস্তশিল্পে দক্ষতার সাথে তৈরি করাতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এসব পণ্য। জনপ্রিয় এসকল পণ্যের গুণগত মান ধরে রাখতে চায় কয়েদিরা।
কুমিল্লা কারাগারের ডেপুটি জেলার ও ইনচার্জ, কারাপণ্য বিক্রয় ও প্রদর্শনী কেন্দ্রের শাহনাজ বেগম জানান, কুমিল্লার কারাগারে বন্দীদের তৈরি নানা পণ্য সুলভ মূল্যে সারা বছর বিক্রি হয় কারাগারের নিজস্ব বিক্রয় কেন্দ্রে। এছাড়াও ঢাকা আন্তর্জাতিক বানিজ্যমেলাসহ বিভিন্ন মেলায়ও রয়েছে এসব পণ্যের ব্যাপক চাহিদা।
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার ফোরকান ওয়াহিদ জানান, কারাগারে বিক্রিত পণ্যের লভ্যাংশ দেয়া হচ্ছে কয়েদীদের। এতে কারা জীবনেও তারা যেমন স্বাবলম্বী হচ্ছে, তেমনি সাজা ভোগের পর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গিয়ে দ্রুত কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারবে।