ওষুধ বিক্রির সাথে সংশ্লিষ্টরা জানান, জেলায় ১০ হাজারেরও বেশি ফার্মেসি আছে এবং এর অর্ধেকের লাইসেন্স নেই। অধিকাংশ ফার্মেসিতে ফার্মাসিস্ট নেই। ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ বিক্রি না করার নিয়ম থাকলেও রোগীর মুখের কথা শুনে অথবা তাদের চাহিদামতো ওষুধ বিক্রি করছে ফার্মেসিগুলো। ভোক্তার কাছ থেকে ওষুধের বেশি দাম নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ক্লিনিক ও ফার্মেসির জরিমানা
তবে জেলা ড্রাগ সুপার সফিকুল ইসলামের দাবি, জেলায় ৫ হাজার ৪২৪টি ফার্মেসির লাইসেন্স আছে। আর লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসির সংখ্যা ২৫০ হবে। জেলায় পাস করা ফার্মাসিস্টের সংখ্যা সাড়ে ৬ হাজার। প্রশিক্ষণে রয়েছেন আরও ৮০০ জন। জেলার ড্রাগ কোর্টে নকল ও ভেজাল ওষুধ বিক্রি সংক্রান্ত ছয়টি মামলা চলমান রয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে একটি মামলা রয়েছে। গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে এ সংক্রান্তে ২৫টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।
সাংবাদিক তৈয়ুবুর রহমান সোহেল বলেন, মানুষ রোগ নিরাময়ে সঠিক, মানসম্পন্ন ওষুধ পায় না। অনেক ফার্মেসি অধিক লাভের জন্য নকল ওষুধ বিক্রি করে। এতে রোগীরা ক্ষতিগ্রস্থ ও প্রতারিত হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: অবৈধ ওষুধ রাখায় সিরাজগঞ্জে ৮ ফার্মেসিকে জরিমানা
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক জানান, চিকিৎসকের চিকিৎসাপত্র ছাড়াই অনেক ফার্মেসির মালিক ওষুধ বিক্রি করেন। এতে রোগের জন্য সঠিক ওষুধ না পাবার কারণে রোগীর ক্ষতি হয়। এমনকি মারাও যেতে পারে।
সমাজকর্মী আরিফ হোসেন বলেন, ফার্মাসিস্ট ছাড়া ফার্মাসি চালানোর নিয়ম না থাকলেও অধিকাংশ ফার্মাসিগুলোতেই ফার্মাসিস্ট নেই। এতে রোগীর ব্যবস্থাপত্রের ওষুধ সঠিকভাবে বিপননে সমস্যা হতে পারে।
আরও পড়ুন: মেয়াদোত্তীর্ণ ইনজেকশন বিক্রি করায় কুমিল্লায় ফার্মেসিকে জরিমানা
ওষুধ বিক্রির সাথে সংশ্লিষ্ট রাহাত মিনহাজ বলেন, চিকিৎসকের দেয়া ব্যবস্থাপত্র অনুসারে মানসম্পন্ন সঠিক ওষুধ, সঠিক দামে বিক্রি করলে বিক্রেতার উপর রোগীর আস্থা বাড়ে। এতে ব্যবসার পরিধি বাড়ে। লাভবান হওয়া যায় বলে মনে করেন তিনি।