ফার্মেসি
'অ্যান্টিবায়োটিকের অত্যধিক ব্যবহারে করোনায় দ্বিগুণেরও বেশি মৃত্যুর সম্ভাবনা'
অ্যান্টিবায়োটিকের অত্যধিক ব্যবহারের কারণে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা ২০৫০ সালের মধ্যে করোনা মৃত্যুর দ্বিগুণেরও বেশি হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর মো. শরফুদ্দিন আহমেদ।
সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন,২০৫০ সাল নাগাদ অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের কারণে বাংলাদেশ করোনার চেয়েও বেশি স্বাস্থ্য সংকটের মুখোমুখি হবে।
বিএসএমএমইউ’র ভিসি বলেন, রেজিস্টার্ড চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসিগুলো যাতে অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি না করে সেজন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।
এর আগে জাপানী তোমাকিই বায়ো লিটিমেটেড, তোমাকিই ইন্ডাষ্ট্রিয়াল কোপানি লিমিটেড ও ওকোহামা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধি দল ভিসির সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: এক সপ্তাহ পর দেশে করোনায় আবারও মৃত্যু
বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৬২ লাখের কাছাকাছি
২ বছর আগে
জগন্নাথপুরে প্রবাসীর স্ত্রীর খন্ডিত লাশ উদ্ধার, ফার্মেসির মালিকসহ গ্রেপ্তার ৩
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে একটি ওষুধের ফার্মেসি থেকে শাহনাজ পারভীন জোৎস্নার (৩৪) ছয় টুকরা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ফার্মেসি মালিকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গত শুক্রবার রাজধানীর ভাটারা থানার নুরেরচালা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফার্মেসি মালিক জিতেশ চন্দ্র গোপকে (৩০) গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যানুযায়ী জগন্নাথপুর থানার পৌর এলাকা থেকে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার অন্য দুইজন হলো- অনজিৎ চন্দ্র গোপ (৩৮) ও অসীত চন্দ্র গোপ (৩৬)। গ্রেপ্তার জিতেশ চন্দ্র গোপ কিশোরগঞ্জ জেলার ইতনা থানার শহিলা গ্রামের যাদব চন্দ্র গোপের ছেলে, অনজিৎ চন্দ্র গোপ একই এলাকার রসময় চন্দ্র গোপের ছেলে এবং অসীত চন্দ্র গোপ নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ থানার সুয়াইর অলিপুর গ্রামের পতিত পবন গোপের ছেলে।
শনিবার দুপুরে সিআইডির সদরদপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর এসব তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীর খন্ডিত লাশ উদ্ধার
মৃত জোৎস্না জগন্নাথপুর থানার নারকেলতলা গ্রামের সৌদি প্রবাসী ছরকু মিয়ার স্ত্রী। তিনি ২০১৩ সাল থেকে পৌর শহরের নিজের বাসায় দুই ছেলে, এক মেয়ে, বৃদ্ধা মা ও ভাই-বোনদের নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। তার স্বামী সৌদি আরব প্রবাসী।
সিআইডি জানায়, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি জগন্নাথপুর পৌর পয়েন্টের ব্যারিস্টার মির্জা আব্দুল মতিন মার্কেটের অভি মেডিকেল হল নামের একটি ওষুধের দোকান থেকে শাহনাজ পারভীন জোৎস্নার ছয় টুকরা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারি জগন্নাথপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মুক্তা ধর বলেন, ওষুধ কেনার সুবাদে অভি মেডিকেল হলের মালিক জিতেশের সঙ্গে শাহনাজ পারভীন জোৎস্নার সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। জোৎস্না কিছুদিন ধরে শারীরিক গোপন সমস্যায় ভুগছিলেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি জিতেশ জোৎস্নার মায়ের প্রেশার মাপার জন্য তাদের বাড়িতে যায়। তখন জোৎস্না তার গোপন সমস্যার কথা জিতেশকে জানালে সে তাকে ফার্মেসিতে যেতে বলে। ওইদিন বিকেলে জোৎস্না জিতেশের দোকানে গেলে দোকানে কাস্টমার রয়েছে বলে তাকে অপেক্ষা করতে বলে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। এদিকে রাত গভীর হলে জোৎস্নার বাসায় যাওয়ার অস্থিরতা বেড়ে যায়। তখন ওই ফার্মেসির মধ্যে জোৎস্নাকে একটি ঘুমের ওষুধ খেতে দেয় জিতেশ। এতে তিনি তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। তখন জিতেশ তার দুই সহযোগী অনজিৎ চন্দ্র গোপ ও অসীত গোপকে নিয়ে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে। এরপর রাত গভীর হলে আশপাশের দোকান বন্ধ হয়ে যায়। তখন জিতেশ ও তার দুই সহযোগী এনার্জি ড্রিংকস পান করে জোৎস্নাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে ট্রাক্টর-অটোরিকশা মুখোমুখি সংর্ঘষে নিহত ২
সিআইডির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ধর্ষণের বিষয়টি জোৎস্না তার পরিবারকে জানাবে বলে জানান। তখন জিতেশ ও তার সহযোগীরা জোৎস্নার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে মুখে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
মুক্তা ধর বলেন, পরে ওই ফার্মেসিতে থাকা ফল কাটার ছুরি দিয়ে জোৎস্না দুই হাত, দুই পা ও বুক-পেটসহ ছয় টুকরা করে। এরপর দোকানে থাকা ওষুধের কার্টন দিয়ে খন্ডিত অংশগুলো ঢেকে রেখে তারা ফার্মেসি তালা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ওই লাশের খণ্ডিত অংশ পাশের একটি মাছের খামারে ফেলে দেয়ার পরিকল্পনা করে। কিন্তু ভোর হয়ে যাওয়ায় ও লোকজন চলে আসায় তারা সেই কাজটি করতে পারেনি।
এই ঘটনার পর সিআইডির এলআইসি শাখার একাধিক দল আসামিদের গ্রেপ্তারে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। গত শুক্রবার রাজধানীর ভাটারা থানার নুরেরচালা এলাকায় অভিযান চালিয়ে জিতেশকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে জগন্নাথপুর থানার পৌর এলাকায় অভিযান চালিয়ে অনজিৎ ও অসীত গোপকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে মাদক জব্দ, ‘ভুয়া পুলিশ’ আটক
২ বছর আগে
মানব পাচারের শিকার ব্যক্তিদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবার লক্ষ্যে ‘আশ্বাস’ ও ডিজিটাল হসপিটালের অংশীদারিত্ব
সম্প্রতি বাংলাদেশ ভিত্তিক উদ্ভাবনী ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল হসপিটালের সঙ্গে সুইজারল্যান্ডের অর্থায়নে উইনরক ইন্টারন্যাশনালের ‘আশ্বাস’ প্রকল্প অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করছে। প্রকল্পটি মানব পাচারের শিকার পুরুষ ও নারীদের পুনর্বাসনে কাজ করছে আর ডিজিটাল হসপিটাল তাদের বিভিন্ন ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করছে। এতে এখনও নতুন সদস্য যোগদান করছে।
স্বাস্থ্য প্যাকেজ স্বাধীন (ডিজিটাল হসপিটাল প্রদত্ত) -এ রয়েছে প্রতি মাসে ১৫০ মিনিট পর্যন্ত (ব্যবহারকারী এবং তার পরিবার উভয়ের জন্য) বিনামূল্যে ২৪/৭ ডক্টর কলের পাশাপাশি হাসপাতালে থাকার কাভারেজ হিসেবে এক লাখ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে ফ্রি হেলথ ক্যাশব্যাক। এছাড়া তিন মাসের জন্য রয়েছে আইসোলেশন কাভারেজ হিসেবে পাঁচ হাজার টাকা এবং এক হাজার ৬০০ টাকা ওপিডি কাভারেজ। প্যাকেজটিতে আরও রয়েছে সারা দেশের এক হাজারেরও বেশি হাসপাতাল,ফার্মেসি ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে পণ্য/সেবায় ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়।
এছাড়া,সুবিধাভোগীরা বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সাথে অ্যাপয়েন্টমেন্টের ভিত্তিতে পরামর্শ, হেলথ ক্যাম্প এবং অনলাইন প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ পাবেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে মানব পাচারের অভিযোগে ২ তরুণ আটক
২০২২ সালে প্রকল্পটির শেষ নাগাদ,পাচারের শিকার পুরুষ ও নারীদের একটি বিশাল অংশকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে বিভিন্ন উপায়ে সাহায্য করার পরিকল্পনা করেছে আশ্বাস।
ডিজিটাল হসপিটালের সিসিও ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা অ্যান্ড্রু স্মিথ বলেন, পাচারের শিকার অধিকাংশ মানুষ মানসিক এবং শারীরিক ট্রমার শিকার হন। সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে পুনর্বাসনে তাদের নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এসব নারী-পুরুষদের কাউন্সেলিং, আইনি সেবা এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সহায়তা প্রদানে কাজ করছে আশ্বাস। আর এখন, মানব পাচারের শিকার ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে আশ্বাসের সঙ্গে যোগ দিয়েছে ডিজিটাল হসপিটাল। কারণ দেখা যায়, এসব মানুষ প্রায় সময় খরচ বেশি ও সহজলভ্য নয় বলে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করতে পারেন না। সকল সামাজিক ও ভৌগলিক বাধা অতিক্রম করে আমরা সমাজের একটি অংশ বা পুরো সমাজকে সর্বদা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সহাযতা প্রদান করব, কারণ আমরা বিশ্বাস করি সবার সুস্থ থাকার অধিকার রয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে মানব পাচারে যুক্ত বাংলাদেশির কারাদণ্ড
২ বছর আগে
কুমিল্লায় ১০ হাজার ফার্মেসির মধ্যে অর্ধেকেরই লাইসেন্স নেই
কুমিল্লার ১৭ উপজেলায় ৬০ লাখ মানুষের বসবাস। আর এখানে ১০ হাজারেরও বেশি ফার্মেসি ওষুধের দোকান থাকলেও এর অর্ধেকেরই লাইসেন্স নেই। অথচ এই সব ফার্মেসিতে মানুষের জীবন রক্ষাকারী ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। ওষুধ প্রশাসনের নিয়মিত তদারকি না থাকায় এসব ফার্মেসি ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধও বিক্রি করছে।
৩ বছর আগে
সিরাজগঞ্জে ৩ ফার্মেসিকে জরিমানা
জেলার সলংগা বাজারে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখার অপরাধে তিন ফার্মেসির মালিককে ৫৭ হাজার টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দিয়েছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
৪ বছর আগে
মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি: রাজধানীতে লাজ ফার্মাকে জরিমানা
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ দল মঙ্গলবার লাজ ফার্মা লিমিটেডসহ দুটি ফার্মেসিকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও বেশি দামে শিশু খাদ্য বিক্রয় করায় ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
৪ বছর আগে