ফরিদপুর জেলা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় হঠাৎ করে লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে এবং উদ্বিগ্ন খামারিদের সাথে রোগ প্রতিরোধ বিষয়ে বৈঠক হয়েছে।
ইতিমধ্যেই জেলার ৯ উপজেলাতে এ রোগে আক্রান্ত গবাদি পশুর সংখ্যা চার হাজার ১৯৫ জানিয়ে সূত্র বলছে, বর্তমানে এই রোগ প্রায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
জেলার বোয়ালমারীর চতুল ইউনিয়নের বাইখির গ্রামের পশু খামারি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা জানান, তার সাতটি গরু রয়েছে, তার মধ্যে দুইটি এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিল।
‘সময় মতো চিকিৎসা দেয়ায় রক্ষা করা গেছে,’ যোগ করেন তিনি।
ফরিদপুর সদরের টেপাখোলা এলাকার খামারি মুরাদ হোসেন ইউএনবিকে বলেন, ‘লাম্পি স্কিন রোগ নিয়ে বেশ আতংকে আছি। কারণ একটি গরুর এই রোগ হলে অন্যগুলো আক্রান্ত হবে।’
ফরিদপুরের প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ডা. নূরুল্লাহ মো.আহসান জানান, তিন মাস ধরে ফরিদপুরের গবাদি পশু চাষিরা এই রোগের সাথে যুদ্ধ করছে। এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এ বিষয়ে খামারি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকতাদের সচেতনতামূলক ও রোগ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
তিনি জানান, প্রতি বছর দেশের বাইরে থেকে যে পশুগুলো দেশে আসছে তাদের শরীর পরীক্ষা না করার কারণেই এই ভাইরাসজনিত রোগটি ছড়িয়ে পড়ছে।
আহসান আরও বলেন, এ রোগে মৃত্যুহার কম হলেও ঝুঁকি বাড়ছে দুগ্ধ উৎপাদন ও পশু চামড়ার ক্ষেত্রে।
তিনি জানান, এ রোগে আক্রান্ত হলে পশুর চামড়া অনেকটাই অকার্যকর হয়ে যায়। আবার গাভী আক্রান্ত হলে দুগ্ধ উৎপাদন কমতে থাকে।