সর্বশেষ, গত ৩ ডিসেম্বর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কৃষি ব্যাংক মিয়াবাজার শাখায় চুরির ঘটনা ঘটে। জানালার গ্রিল কেটে ও আলমিরার তালা ভেঙে ১১ লাখ ১৫ হাজার টাকা চুরি হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
চুরির এ ঘটনার পরদিন বুধবার বিকালে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপক সাকিব সালেহীন।
তার আগে, গত ১৬ নভেম্বর রাতে পূবালী ব্যাংকের কুমিল্লার প্রধান শাখা কান্দিরপাড় এটিএম বুথের মেশিন থেকে তিন লাখ ৩০ হাজার টাকা চুরি হয়। অত্যাধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে বুথের মেশিন খুলে এই টাকা চুরি করে বলে সিসিটিভির ফুটেজেও সনাক্ত করা হয়।
চার দিন পর শাখার ব্যবস্থাপক মাইনুল ইসলাম কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। কিন্তু এখনো কোনো আসমিকে গ্রেপ্তার করতে পারিনি পুলিশ।
এছাড়া, চলতি বছরের ২৯ মে রাতে কুমিল্লার দেবিদ্বারে কৃষি ব্যাংকের জানালার গ্রিল কেটে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে প্রায় ৫ লাখ ৮৮ হাজার টাকা চুরির ঘটনা ঘটে।
উপজেলার ধামতী ইউনিয়নের ধামতী আলিয়া কামিল মাদরাসা কৃষি ব্যাংক শাখার ওই চুরির ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো আসামি আটক হয়নি এবং চুরি হওয়া টাকাও উদ্ধার হয়নি।
ব্যাংকটির শাখা ব্যবস্থাপক শেখ মাহবুব হোসেন বলেন, ‘দেবিদ্বার থানায় একটি মামলার পর পুলিশ তদন্ত করছে বলে সব সময় জানান। তবে এখনো কোনো আসামি গ্রেপ্তার বা চুরি হওয়া টাকা উদ্ধার হয়নি।’
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘ব্যাংকের চুরির বিষয়গুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। আশা করছি দ্রুত সফলতা পাবো।’
সেই সাথে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকেও আরও সচেতন হওয়ার পরমর্শ দিয়ে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বিশেষ করে মিয়ার বাজারের শাখায় একটি সিসি ক্যামেরাও ছিল না।