ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের রাজেন্দ্রপুর এলাকায় দিনে ও রাতে অবৈধভাবে বাস পার্কিং করে রাখায় এক বছরে প্রায় ছোট বড় ৫২টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৭ জন নিহত ও কমপক্ষে ১১৫ জন আহত হয়েছে।
মাওয়া মহাসড়কে আট লেন রাস্তার দু লেনের মাঝের দু’পাশে ঢাকা-মাওয়াগামী ডিএম পরিবহনের ৭৫টি যাত্রীবাহী বাস পার্ক করে রাখা। এর মদতদাতা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হাজী ফিরোজ আলম। তিনি থানা আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি। তার প্রভাব খাটিয়ে মাসের পর মাস বাস মালিকরা রাস্তার দু’পাশে ইচ্ছেমতো সিংহভাগ জায়গা দখল করে বিভিন্ন রুটের যানবাহন পার্কিং করে রাখা হয়। নিয়ম না থাকলেও যেখানে সেখানে অপরিকল্পিতভাবে এসব বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। এতে বাড়ছে দুর্ঘটনা। আর পার্কিং করে রাখায় সন্ধ্যার পর থেকে মূল রাস্তায় যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতাসহ নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার তেঘরিয়া ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর এলাকায় রাত ৮টার পর রাস্তার প্রস্থের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ জুড়ে বাস পার্কিং করা আছে। এসব এলাকায় মূল সড়কের দু’পাশ জুড়ে প্রতিদিন সন্ধ্যায় অবৈধভাবে পার্কিং করে রাখা হচ্ছে বাস। এসব গাড়ির প্রতিটিতে শুয়ে আছেন ২-৩ জন করে লোক।
বর্তমানে ঢাকা থেকে দিনে-রাতে যেসব বাস বিভিন্ন জেলা শহরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়, সেগুলোর বেশিরভাগেরই নিজস্ব কোনো পার্কিংয়ের ব্যবস্থা নেই। ফলে মালিকরা রাস্তার ওপর এসব গাড়ি রাখছেন। এছাড়া বিভিন্ন রুটে চলাচল করা বাস ও মিনিবাসগুলোও রাতে রাখা হচ্ছে রাস্তার ওপর। পার্কিং বাবদ প্রতিটি বাস চাঁদা নেয়া হচ্ছে ৩০০ টাকা করে। নামিদামী পরিবহন সংস্থা যাদের নিজস্ব পার্কিং ব্যবস্থা রয়েছে, তারাও রাস্তায় গাড়ি রাখছে। কারণ এসব প্রতিষ্ঠানেরও মোট বাসের তুলনায় পার্কিংয়ের জায়গা কম।
আরও পড়ুন: দৌলতদিয়ায় ৩ ফেরি ঘাট স্থানান্তর, তীব্র যানজট
এ নিয়ে ভুক্তভুগী এলাকাবাসীরা বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়েও কোন সুফল পায়নি।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত সকর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, মাওয়া হাইওয়ে রাস্তা দেখার দায়িত্ব হাঁসাড়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির। এলাবাসী থানায় একাধিকবার অভিযোগ জানালেও তাদের কিছু করার নেই।
অন্যদিকে হাঁসাড়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সোহরাব উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।