লন্ডনভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল গ্রোথ সেন্টারের (আইজিসি) নির্বাহী পরিচালক জোনাথন লিপ বলেছেন, বাংলাদেশের উচিত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য ভবিষ্যৎ চাহিদা ও ডিজিটাল অর্থনীতিকে অগ্রাধিকার দিয়ে মানসম্পন্ন পাঠ্যক্রম গ্রহণ করা। সেজন্য প্রাক-বিদ্যালয় থেকে শুরু করে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত সব স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই পাঠ্যক্রম প্রণয়ন প্রয়োজন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটি ডেটা হাব প্রতিষ্ঠার জন্য ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের সঙ্গে কাজ করছে আইজিসি। দেশে আরও উন্নতমানের গবেষণাকে উৎসাহিত করতেই এ ডেটা হাব প্রতিষ্ঠা করা।
আইজিসি’র উদ্যোগে ‘পরিবর্তনশীল জলবায়ুতে সহনশীল ও পুনরুত্থিত বাংলাদেশ-টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি’ শীর্ষক সম্মেলনে যোগ দিতে তিনি এখন ঢাকায় রয়েছেন জনাথন। তিনি লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সের অর্থনীতি বিভাগের একজন সহযোগী অধ্যাপক। তিনি লন্ডনের একদল তরুণ গবেষকের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার ইউএনবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সামনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ ও উৎপাদনশীল মানবসম্পদ উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন: ২০২৩ অর্থবছরের পূর্বাভাসের চেয়ে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বেশি: এডিবি
লিপ বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের জন্য কীভাবে ডেটা আরও ব্যবহারযোগ্য এবং ব্যবহারকারীবান্ধব করা যায় তার উপর গুরুত্ব দিয়েছে আইজিসি। মহামারিতে বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী নীতি নির্দেশক হিসেবে ডেটার ভূমিকা নীতি নির্ধারকদের কাছে এর চাহিদা বাড়িয়েছে।
দক্ষতার ঘাটতি বিষয়ে এক প্রশ্নোত্তরে তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক অদক্ষ জনগোষ্ঠীকে সম্পদে পরিণত করতে উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের একটি শক্তিশালী পাঠ্যক্রম প্রণয়ন প্রয়োজন।
তিনি বলেন, একাডেমিক গবেষণা নীতিনির্ধারকদের জন্য একটি শেখার মাধ্যম হতে পারে। এ ছাড়া কী কাজ করছে এবং কী কাজ করছে না সে বিষয়ে শক্তিশালী প্রমাণ হিসেবে গবেষণা কাজ করতে পারে। এটি নীতিগুলোকে আরও কার্যকর এবং কম ব্যয়বহুল করতে সাহায্য করে।
এ অর্থনীতিবিদ বলেন, এটি একটি নতুন ধারণাগত কাঠামোও সরবরাহ করতে পারে। এমনভাবে প্রশ্নগুলো সাজানো যা নতুন নীতি তুলে ধরে।
ঢাকায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক নীতিসংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার জন্য নীতিনির্ধারক, গবেষক ও নাগরিকদের একত্রিত করুন। এটি সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকল্প অর্জনের কেন্দ্রবিন্দু।
আরও পড়ুন: 'অভিন্ন অগ্রাধিকার' নিয়ে আলোচনায় বাংলাদেশের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
সম্মেলনের বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ যেসব নীতিগত সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে তার প্রমাণভিত্তিক সমাধানে অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে ১২ জন গবেষক তাদের সাম্প্রতিক গবেষণা উপস্থাপন করছেন। ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা তাদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করেছেন।
লিপ বলেন, বাংলাদেশে আইজিসি জড়িত থাকার ফলে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে উঠেছে। বিদেশি, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন সংস্থাগুলো গবেষণা ও নীতিগত বিষয়ে বাংলাদেশকে যুক্ত করতে সহায়তা ও অর্থায়ন করেছে।
তিনি বলেন, ব্র্যাক ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, আরও বিস্তৃতভাবে আইজিসি ও লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সের মূল অংশীদার।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি, র্যাপিড, পলিসি এক্সচেঞ্জ ও পিআরআই-এর সঙ্গে অন্যদের মধ্যে অংশীদারিত্বের মূল্যায়ন করেছি।