ব্র্যাক
বগুড়ায় ব্র্যাক একাডেমির উদ্বোধন
সারা দেশের শিশুদের মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে ব্র্যাক এডুকেশন প্রোগ্রামের (বিইপি) অন্যতম ফ্ল্যাগশিপ মডেল হিসেবে বগুড়ায় ব্র্যাক একাডেমির দ্বিতীয় শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালে ব্র্যাক একাডেমির প্রথম শাখাটি চালু হয় কুমিল্লায়।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বগুড়া শাখার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্।
এর আগে চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি বগুড়া সদরের বকশি বাজার মোড়ে ব্র্যাক একাডেমির যাত্রা শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ইউএসএআইডির নবযাত্রা প্রকল্পের ২২ নারী পেলেন ব্র্যাক ব্যাংকের 'জীবিকা লোন'
ব্র্যাক একাডেমি মূলত জেলা শহরগুলোতে শিশুদের সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করছে। আধুনিক শিখন পদ্ধতি, সমৃদ্ধ বিষয়বস্তু, ও দক্ষতা প্রয়োগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শেখার প্রতি কৌতূহল সৃষ্টি, মূল্যবোধ, আচার-আচরণ, সম্মান, ও দায়িত্ববোধ জাগিয়ে তুলে সফল মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সহয়তা করছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাফল্য ও সমৃদ্ধি কামনার মাধ্যমে প্লে গ্রুপ থেকে তৃতীয় শ্রেণির ১০২ জন শিক্ষার্থীকে বরণ করে নেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শিক্ষক ও অভিভাবকদের উদ্দেশে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্র্যাকের এডুকেশন, স্কিলস ডেভলপমেন্ট ও মাইগ্রেশন কর্মসূচির পরিচালক সাফি রহমান খান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ-আল-মারুফ, বিশেষ অতিথি মেয়র মো. রেজাউল করিম বাদশা, ও সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. জাভেদ আখতারসহ অনেকে।
মোহাম্মদ-আল-মারুফ ব্র্যাক একাডেমির উদ্ভাবনী শিক্ষা পদ্ধতির বিষয়ে তার আগ্রহের কথা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে নিয়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তব্য
আধুনিক শিক্ষাপদ্ধতি ও খেলাধুলার মাধ্যমে শিক্ষাদানের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তুলে ধরে তিনি বলেন, তার শৈশবে এ ধরনের কোনো সুযোগ ছিল না। তিনি মানসম্পন্ন শিক্ষার বিষয়ে অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির প্রতিও গুরুত্বারোপ করেন।
মানসম্পন্ন শিক্ষার ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে ব্র্যাক একাডেমির নিজস্ব ক্যাম্পাস গড়ে তোলা ও স্কুলের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য ব্র্যাককে আহ্বানও জানান মারুফ।
৯ মাস আগে
বাংলাদেশে ডেটা হাব স্থাপন করবে আইজিসি-ব্র্যাক: আইজিসি প্রধান
লন্ডনভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল গ্রোথ সেন্টারের (আইজিসি) নির্বাহী পরিচালক জোনাথন লিপ বলেছেন, বাংলাদেশের উচিত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য ভবিষ্যৎ চাহিদা ও ডিজিটাল অর্থনীতিকে অগ্রাধিকার দিয়ে মানসম্পন্ন পাঠ্যক্রম গ্রহণ করা। সেজন্য প্রাক-বিদ্যালয় থেকে শুরু করে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত সব স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই পাঠ্যক্রম প্রণয়ন প্রয়োজন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটি ডেটা হাব প্রতিষ্ঠার জন্য ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের সঙ্গে কাজ করছে আইজিসি। দেশে আরও উন্নতমানের গবেষণাকে উৎসাহিত করতেই এ ডেটা হাব প্রতিষ্ঠা করা।
আইজিসি’র উদ্যোগে ‘পরিবর্তনশীল জলবায়ুতে সহনশীল ও পুনরুত্থিত বাংলাদেশ-টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি’ শীর্ষক সম্মেলনে যোগ দিতে তিনি এখন ঢাকায় রয়েছেন জনাথন। তিনি লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সের অর্থনীতি বিভাগের একজন সহযোগী অধ্যাপক। তিনি লন্ডনের একদল তরুণ গবেষকের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার ইউএনবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সামনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ ও উৎপাদনশীল মানবসম্পদ উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন: ২০২৩ অর্থবছরের পূর্বাভাসের চেয়ে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বেশি: এডিবি
লিপ বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের জন্য কীভাবে ডেটা আরও ব্যবহারযোগ্য এবং ব্যবহারকারীবান্ধব করা যায় তার উপর গুরুত্ব দিয়েছে আইজিসি। মহামারিতে বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী নীতি নির্দেশক হিসেবে ডেটার ভূমিকা নীতি নির্ধারকদের কাছে এর চাহিদা বাড়িয়েছে।
দক্ষতার ঘাটতি বিষয়ে এক প্রশ্নোত্তরে তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক অদক্ষ জনগোষ্ঠীকে সম্পদে পরিণত করতে উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের একটি শক্তিশালী পাঠ্যক্রম প্রণয়ন প্রয়োজন।
তিনি বলেন, একাডেমিক গবেষণা নীতিনির্ধারকদের জন্য একটি শেখার মাধ্যম হতে পারে। এ ছাড়া কী কাজ করছে এবং কী কাজ করছে না সে বিষয়ে শক্তিশালী প্রমাণ হিসেবে গবেষণা কাজ করতে পারে। এটি নীতিগুলোকে আরও কার্যকর এবং কম ব্যয়বহুল করতে সাহায্য করে।
এ অর্থনীতিবিদ বলেন, এটি একটি নতুন ধারণাগত কাঠামোও সরবরাহ করতে পারে। এমনভাবে প্রশ্নগুলো সাজানো যা নতুন নীতি তুলে ধরে।
ঢাকায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক নীতিসংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার জন্য নীতিনির্ধারক, গবেষক ও নাগরিকদের একত্রিত করুন। এটি সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকল্প অর্জনের কেন্দ্রবিন্দু।
আরও পড়ুন: 'অভিন্ন অগ্রাধিকার' নিয়ে আলোচনায় বাংলাদেশের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
সম্মেলনের বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ যেসব নীতিগত সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে তার প্রমাণভিত্তিক সমাধানে অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে ১২ জন গবেষক তাদের সাম্প্রতিক গবেষণা উপস্থাপন করছেন। ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা তাদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করেছেন।
লিপ বলেন, বাংলাদেশে আইজিসি জড়িত থাকার ফলে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে উঠেছে। বিদেশি, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন সংস্থাগুলো গবেষণা ও নীতিগত বিষয়ে বাংলাদেশকে যুক্ত করতে সহায়তা ও অর্থায়ন করেছে।
তিনি বলেন, ব্র্যাক ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, আরও বিস্তৃতভাবে আইজিসি ও লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সের মূল অংশীদার।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি, র্যাপিড, পলিসি এক্সচেঞ্জ ও পিআরআই-এর সঙ্গে অন্যদের মধ্যে অংশীদারিত্বের মূল্যায়ন করেছি।
আরও পড়ুন: ইউএনডিপি-এসএমই ফাউন্ডেশনের সমঝোতা স্মারক সই
১ বছর আগে
নভেম্বর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতির আশা নসরুল হামিদের
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, নভেম্বর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি নভেম্বর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হবে। আমি আশাবাদী এবং আপনাদের হতাশ করতে চাই না।’
বৃহস্পতিবার তিনি ঢাকার ব্র্যাক ইন সেন্টারে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিষয়ক সেমিনারে যোগ দেয়ার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এর আগে আগস্টে প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন যে সেপ্টেম্বর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে এবং পরে আবার বলেছিলেন যে অক্টোবর থেকে লোডশেডিং কমবে।
২০২২ সালের ৪ অক্টোবর জাতীয় পাওয়ার গ্রিড বিপর্যয়ের পরে দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় প্রতিদিন ৫-৬ ঘন্টা লোডশেডিং হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আপাতত ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানি করবে নেপাল: রাষ্ট্রদূত
জ্বালানি আমদানি কমাতে এবং বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের জন্য সরকার জুলাই মাসে সব ডিজেল-চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কার্যক্রম স্থগিত করে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করে। আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানিও একই উদ্দেশ্যে স্থগিত করা হয়, ফলে সারা দেশে ঘন ঘন লোডশেডিং শুরু হয়।
আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি আবার শুরু করতে এবং উচ্চ মূল্যে কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে ব্যবসায়ীদের অনুরোধের কথা উল্লেখ করে নসরুল বলেন, সরকার সব বিকল্প মূল্যায়ন করছে।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের প্রয়োজন সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিয়ে আমরা কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন যে তার মন্ত্রণালয় এলএনজি আমদানির বিষয়ে ব্রুনাইকে একটি বিশদ প্রস্তাব পাঠিয়েছে এবং এখন তাদের প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করছে।
তিনি বলেন, ব্রুনাই থেকে প্রতিক্রিয়া পেতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।
আরও পড়ুন: ৮০ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন: নসরুল হামিদ
দিনের বেলায় বিদ্যুৎ বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার: তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
ব্র্যাক মাইগ্রেশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৬ সাংবাদিক
অভিবাসন খাতের সাংবাদিকতায় অবদান রাখায় ব্র্যাক মাইগ্রেশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ১৬জন সাংবাদিক।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২) ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম, ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ এবং ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম ও ইয়ুথ ইনিশিয়েটিভ কর্মসূচি প্রধান শরিফুল ইসলাম হাসান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অভিবাসন খাতে সাংবাদিকতাকে স্বীকৃতি দিতে ২০১৫ সাল থেকে ব্র্যাক এ পুরষ্কারটি প্রবর্তন করে। এ বছর সপ্তমবারের মতো এই পুরস্কার দেয়া হলো।
বাংলাদেশের ডেনমার্ক দূতাবাসের সহযোগিতায় ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের অনুপ্রেরণা প্রকল্প থেকে এই পুরস্কার দেয়া হলো।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ইমরান আহমদ তার বক্তব্যের শুরুতে দেশের অর্থনীতিতে প্রবাসী আয়ের গুরুত্ব তুলে ধরেন। প্রবাসীদের কল্যাণে সরকারের নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে বলেন, সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, অভিবাসীদের অধিকার রক্ষা ও সঠিক তথ্য প্রদানে গণমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কজেই পক্ষপাতিত্ব ও নিজস্ব চিন্তার প্রভাব এড়িয়ে সংবাদ উপস্থাপন করতে হবে। সত্য যতো কঠোরই হোক তুলে ধরতে হবে।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম এনডিসি বলেন, ১৩ বছরে ৭৮ লাখ লোক বিদেশে গেছে। ২১২ বিলিয়ন ডলার প্রবাসী আয় এসেছে। ইতিবাচক এসব বিষয়ও গণমাধ্যমে আসতে পারে। অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে সঠিক তথ্য উপস্থাপনের জন্য সাংবাদিকদের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: চার সাংবাদিক পেলেন অ্যাকশন এইড ইয়াং জার্নালিস্ট মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড
সাংবাদিকদের পাশাপাশি যারা নৈতিকভাবে বৈদেশিক কর্মসংস্থান করে সেইসব এজেন্সিকেও আগামীতে ফেয়ার মাইগ্রেশন অ্যাওয়ার্ড দেয়ার প্রস্তাব করেন তিনি।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ বলেন, দারিদ্র দূরীকরণে বিশেষ করে গ্রামীণ অর্থনীতিতে অভিবাসনের গুরুত্ব অনেক। এ কারণেই আমরা অভিবাসন খাতে দক্ষ লোক তৈরি, নিরাপদ অভিবাসন, মানবপাচার বন্ধ ও বিদেশফেরতদের পুনরেকত্রীকরণে কাজ করি।
এছাড়া প্রতি বছর মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডের এই অনুষ্ঠানটি আমরা উৎসাহ নিয়ে আয়োজন করি যাতে সারাবছরের একটা চিত্র উঠে আসে।
তিনি বলেন, সদিচ্ছা থাকলে পরিবর্তন সম্ভব।
অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাকের মাইগ্রেশন ও ইয়ুথ ইনিশিয়েটিভস কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ডেপুটি চীফ অব মিশন নুসরাত গাজ্জালি, আইএলও এর চীফ টেকনিকাল এডভাইজার ল্যাটেশিয়া ওয়েবল, জুরি বোর্ডের সদস্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব এ বি এম আবদুল হালিম ও বায়রার মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
এ বছরের ১৪ জানুয়ারি গণমাধ্যম ও ব্র্যাকের ওয়েবসাইটে সপ্তম ব্র্যাক মাইগ্রেশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড এর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
এ বছর জুরি বোর্ডের সদস্য ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব এ.বি.এম আবদুল হালিম, আইএলও এর শেখ মোহাম্মদ রেফাত আলী এবং নিউজ২৪ টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক শাহনাজ মুন্নি।
এ বছর সংবাদপত্র জাতীয় বিভাগে দৈনিক সমকালের রাজিব আহাম্মদ প্রথম স্থান অধিকার করেন।
প্রথম আলোর মানসুরা হোসাইন দ্বিতীয় এবং দি ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের আরাফাত আরা ও আজকের প্রত্রিকার মো. শাহরিয়ার হাসান (দৈনিক বাংলায় বর্তমানে কর্মরত) যুগ্মভাবে তৃতীয় স্থান অধিকার করেন।
সংবাদপত্র আঞ্চলিক ক্যাটাগরিতে প্রথম হন দৈনিক চট্টগ্রাম খবরের ফারুক মুনীর, একুশে পত্রিকার শরীফুল ইসলাম দ্বিতীয় এবং সাপ্তাহিক চৌদ্দগ্রাম পত্রিকার মো. এমদাদ উল্যাহ তৃতীয় স্থান অধিকার করেন।
টেলিভিশন নিউজ বিভাগে ডিবিসি নিউজের সাবিনা ইয়াসমিন, (বর্তমানে ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনে কর্মরত) প্রথম স্থান অধিকার করেন। সময় টেলিভিশনের মারজিয়া মম দ্বিতীয় এবং নিউজ২৪ এর মাসুদা খাতুন তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। টেলিভিশন প্রোগ্রাম ক্যাটাগরিতে চ্যানেল২৪ এর মোরশেদ হাসিব হাসান পুরস্কার লাভ করেন।
রেডিও বিভাগে পুরষ্কার লাভ করেন বাংলাদেশ বেতারের মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
অনলাইন সংবাদপত্র বিভাগে প্রথম পুরষ্কারটি জিতেছেন জাগোনিউজ২৪ অনলাইনের মো. জাহাঙ্গীর আলম। দ্বিতীয় হন দৈনিক প্রথম আলোর মো. মহিউদ্দিন এবং যুগ্মভাবে তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন দৈনিক বাংলার জেসমিন আকতার ও প্রবাসী ফ্রিল্যান্সার রাকিব হাসান।
প্রত্যেক বিজয়ী পুরষ্কার হিসেবে একটি ক্রেস্ট, স্বীকৃতির সনদ এবং পুরষ্কারের অর্থমূল্যের চেক গ্রহন করেন।
আরও পড়ুন: বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন ইউএনবির প্রতিনিধি মো. আরজু
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৯ সাংবাদিক
২ বছর আগে
দেশে ফিরলেন ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার ৩০ বাংলাদেশি
ইউরোপে যাওয়ার সময় ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার ৩০ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টা ০৫ মিনিটে টার্কিশ এয়ারওয়েজের বিমান যোগে তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। বর্তমানে তাদের দেয়া তথ্য যাচাই বাছাইয়ের কাজ করছে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ।
ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের হেড শরিফুল হাসান জানান, ফেরত আসা এই বাংলাদেশিদের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় বিমানবন্দরে জরুরি খাবার-পানি সহায়তা করা হয়। ফেরত আসা এই বাংলাদেশিরা জানিয়েছেন, চলতি বছরের শুরুর দিকে ভিজিট ভিসায় তারা প্রথমে দুবাই যান। এরপর দুবাই থেকে লিবিয়া হয়ে তিউনিসিয়া গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করার পর তাদের উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: দেশে ফিরেছেন ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার হওয়া ১৩ বাংলাদেশি
ফেরত আসা এই ৩০ জনের মধ্যে শরিয়তপুরের সাত জন, মাদারীপু্রের ছয় জন, গোপালগঞ্জের চারজন, টাঙ্গাইলের ৩ জন, ফরিদপুরের দুই জন, কিশোরগঞ্জের দুই জন, সিলেটের দুই জন, কুমিল্লা, নোয়াখালী, মুন্সিগঞ্জ ও ঢাকার এক জন করে রয়েছেন।
এর আগে ১৯ আগস্ট ১৩ জন, ১ জুলাই ১৭ জন এবং ২৪ মার্চ সাত বাংলাদেশি একই পরিস্থিতির শিকার হয়ে দেশে ফিরে আসেন। আরও অনেক বাংলাদেশি ফেরত আসার অপেক্ষায় রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভূমধ্যসাগরে ৪০ অভিবাসীর মৃত্যুর শঙ্কা জাতিসংঘের
ব্র্যাক বলছে, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশিদের এভাবে ইউরোপে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েই চলেছে। এ বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট এই সময়ে অন্তত ৫ হাজার ২৭৮ জন বাংলাদেশি এভাবে ইউরোপে প্রবেশ করেছেন। আর গত ১২ বছরে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছেন প্রায় ৬৫ হাজার বাংলাদেশি। এর মধ্যে প্রায় ৪০ হাজারই গেছেন ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে। তাদের বেশির ভাগের বয়স ২৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশিসহ ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ৪৩
ইউরোপে বাংলাদেশি অভিবাসন প্রত্যাশীদের সংকট এখন এতোটাই বেড়েছে যে বৈধ কাগজপত্র না থাকা অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশের ওপর চাপ দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়ায় বাংলাদেশিদের ভিসায় সাময়িক কড়াকড়ি আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।
এর আগে ২০১৭ সালে একই ধরনের চাপ দেয়া হয়েছিল। এরপর বাংলাদেশ বৈধ কাগজপত্র না থাকা নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে ইইউর সাথে একটি সমঝোতা স্বাক্ষর করে।
৩ বছর আগে
দেশে ফিরেছেন ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার হওয়া ১৩ বাংলাদেশি
ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার হওয়া ১৩ বাংলাদেশি ঢাকায় ফিরেছেন।তাদেরকে নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ১.১৫ মিনিটে টার্কিশ এয়ারওয়েজের একটি বিমান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে বলে জানিয়েছেন ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান।মানব পাচারের শিকার এই ভুক্তভোগীদের ঠিকানা যাচাই বাছাইয়ের জন্য বর্তমানে বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনের তত্বাবধানে আছেন। বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় তাদের খাবার-পানিসহ জরুরি সব সহায়তা দিচ্ছে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম।
আরও পড়ুনঃ সীমান্তে আটক ১৫ জন বাংলাদেশি বেনাপোল দিয়ে দেশে ফিরেছেনদেশে ফেরা ১৩ কর্মীর মধ্যে শরিয়তপুরের ৯, মাদারীপুর ২, চাঁদপুরের ১ ও কুমিল্লা জেলার একজন রয়েছেন।এরা হলেন, শরিয়তপুরের মোশাররফ খান, সাগর চন্দ্র বর্মন, সামিম খা, রমজান সুয়েল, নাজমুল ফকির, মো. শাকিল হোসেন, সিপন হাওলাদার, সালাম হাওলাদার ও অনিক বেপারী।মাদারীপুরের রাশেদুল ইসলাম ও শাকিল লসকর। চাঁদপুরের আবুল হোসেন এবং কুমিল্লার মোস্তফা কামাল।
আরও পড়ুনঃ লিবিয়ায় আটকা পড়া ১৪১ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেনভুক্তভোগীরা জানান, চলতি বছরের শুরুর দিকে দুবাই ভিজিট ভিসা নিয়ে প্রথমে দুবাই। এরপর দুবাই থেকে লিবিয়া তারপর তিউনিসিয়া গিয়েছিলেন। সকলেই তিউনিসিয়া হয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিলেন।এর আগে গত ১ জুলাই ১৭ জন এবং ২৪ মার্চ ৭ জন বাংলাদেশি একই পরিস্থিতির শিকার হয়ে দেশে ফিরে আসেন।
৩ বছর আগে
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সরকারি নীতির সঙ্গে জনসম্পৃক্ততা নেই: সংলাপে বক্তারা
কেবলমাত্র সরকারের উদ্যোগে বিদ্যমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব হবে না। এ ব্যাপারে সরকারের নীতির সঙ্গে জনসম্পৃক্ততা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এখানে তার অভাব রয়েছে। রবিবার এক ভার্চুয়াল সংলাপে বক্তারা এই মন্তব্য করেন।
‘করোনা মোকাবেলায় স্থানীয় জনসম্পৃক্ত উদ্যোগ’ শীর্ষক এই ভার্চুয়াল সংলাপের আয়োজন করে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশ এবং দি হাঙ্গার প্রজেক্ট।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা এমপি এবং শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান সংলাপে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। জনসম্পৃক্ত উদ্যোগ ছাড়া করোনা মোকাবেলা করা যাবে না বলে তাঁরা মন্তব্য করেন।
ফজলে হোসেন বাদশা জনসম্পৃক্ত ও সরকারি উদ্যোগের সমন্বয়ের অভাবের কথা তুলে ধরেন।
মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান বলেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনা সম্পর্কে এখনও অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি অনেক উদ্যোগ রয়েছে। কিন্তু এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সচেতনতা বৃদ্ধির উপর আরও জোর দিতে হবে।
এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রেখে বলেন, করোনা মোকাবিলায় জনসম্পৃক্ত উদ্যোগের কোনো বিকল্প নেই। জনসম্পৃক্ত ও সরকারি উদ্যোগের সমন্বয়ের ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশনার অভাব রয়েছে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান, সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক রওনক জাহান এবং এক্সেস টু ইনফরমেশন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পলিসি অ্যাডভাইজার আনির চৌধুরী সংলাপে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক রওনক জাহান করোনা সচেতনতা বৃদ্ধিতে সমন্বয়ের অভাবের কথা বিশেষভাবে তুলে ধরে স্থানীয় পর্যায়ে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সমন্বিত ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্ব দেন।
করোনা মোকাবেলায় সম্মিলিত প্রচেষ্টার জন্য অধ্যাপক রেহমান সোবহান নাগরিক সমাজের সঙ্গে উপজেলা পর্যায়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ের একটি উদাহরণ সৃষ্টি করার কথা বলেন। এরকম উদাহরণ তৈরি করতে পারলে অন্যান্য সকল স্থানীয় পর্যায়ে কাজ করার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে বলে তিনি মনে করেন।
আনির চৌধুরী বলেন, করোনা মোকাবেলায় শুধু সচেতনতা বৃদ্ধি যথেষ্ট নয়। তিনি পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্তের উপরে জোর দেন। তিনি বলেন, স্বেচ্ছাসেবকমূলক উদ্যোগ যারা নিচ্ছেন তাঁদের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দিতে হবে। তাহলেই সমন্বিতভাবে কাজ করা সম্ভব হবে।
সংলাপে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন দি হাঙ্গার প্রজেক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর ও গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. বদিউল আলম মজুমদার । তিনি বলেন, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট গত বছরের এপ্রিল মাস থেকে প্রায় ১২০০টি গ্রামে করোনভাইরাস প্রতিরোধ সক্ষম গ্রাম (সিআরভি) উদ্যোগ গ্রহণ করে। ভাইরাসের বিস্তার রোধে ডব্লিউএইচও’র প্রযুক্তিগত নির্দেশিকা অনুসরণ করে এই মডেল গ্রামগুলো গড়ে তোলা হয়েছে। জনসম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠান ও স্বেচ্ছাসেবক দ্বারা পরিচালিত এবং স্থানীয় নেতাদের সহযোগিতায় ইতিমধ্যে আশাব্যঞ্জক উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
সংলাপে বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাটের বেতাগা, ফকিরহাট উপজেলার চেয়ারম্যান স্বপন কুমার দাস এবং সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী। তাঁরা বলেন, গ্রাম পর্যায়ে নানা ধরণের চ্যালেঞ্জ রয়েছে এবং এখনো সচেতনতা সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত করা যায়নি।
আরও পড়ুন: দেশে একদিনে আরও ২৩১ মৃত্যু, শনাক্ত ১৪, ৮৪৪
সংলাপে সম্মানিত আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. আবু জামিল ফয়সাল, জ্যেষ্ঠ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা দলের (সিলেট বিভাগ) সদস্য, অ্যাডজাঙ্কট ফ্যাকাল্টি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সে; ডা. লেলিন চৌধুরী, পরিচালক, হেলথ অ্যান্ড হোপ স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ; সেলিমা সারওয়ার, নির্বাহী পরিচালক, এ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট (এসিডি); জনাব স্বপন কুমার গুহ, নির্বাহী পরিচালক, রুপান্তর এবং জনাব বজলে মোস্তফা রাজী, নির্বাহী পরিচালক, ফ্রেন্ডস ইন ভিলেজ ডেভেলপম্যান্ট অব বাংলাদেশ (এফআইভিডিবি)। তারা সকলেই জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন এবং করোনা সম্পর্কিত অসচেতনতার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ হেলথ্ ওয়াচের সমন্বয়ক ও ব্র্যাকের সাবেক ভাইস চেয়ারপারসন ড. মোস্তাক রাজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংলাপে বক্তারা আরও বলেন, লকডাউনের মূল লক্ষ্য চলমান সংক্রমণের শৃঙ্খলকে ভেঙে ফেলা। এই শৃঙ্খলকে কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে কার্যকারভাবে ভেঙে ফেলা সম্ভব, যেমন মানুষের আচরণের পরিবর্তনসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা; সংক্রমিত রোগীদের বিচ্ছিন্ন করা; সংক্রমিত হওয়ার সন্দেহ রয়েছে এমন ব্যক্তিদেরকে পৃথকীকরণের ব্যবস্থা করা এবং টিকার আওতা বৃদ্ধি। প্রকৃতপক্ষে, করোনা মোকাবেলায় এগুলোই বর্তমানে প্রকৃত উপায়।
আরও পড়ুন: করোনা পরীক্ষায় অনিহা দেখাবেন না: প্রধানমন্ত্রী
এই করোনা ভাইরাস সম্পর্কে এখনো মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হয়নি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে অনীহা এই সংক্রমণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। ডেল্টা (ভারতীয়) রূপটি অতিমাত্রায় সংক্রামক একইসঙ্গে উপসর্গহীন রোগীর আধিক্য পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলেছে। এ অবস্থায় আচরণগত পরিবর্তন প্রয়োজন। সচেতনতা সৃষ্টিমূলক কার্যক্রমের সঙ্গে স্থানীয় পর্যায়ের জনসম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্পৃক্তকরণের উদ্যোগের অপর্যাপ্ততা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সুপারিশমালা মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় পর্যায়ে বহুপক্ষীয় প্রয়াস থাকলেও এগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব প্রবল।
আরও পড়ুন: সবাই টিকা পাবে: প্রধানমন্ত্রী
৩ বছর আগে
সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ব্র্যাক কর্মী নিহত
সিরাজগঞ্জে মোটরসাইকেল ও কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে এক ব্র্যাক কর্মচারী নিহত হয়েছেন। বুধবার দুপুরের দিকে হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের সলংগা থানার হরিণচড়া নামকস্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুল জাওয়াদ (২৬) রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার নিগদারপা গ্রামের মৃত ইব্রাহিমের ছেলে।
আরও পড়ুনঃ বাগেরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৭
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজাহান আলী এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বুধবার দুপুরের দিকে ওই ব্র্যাক কর্মচারী মোটর সাইকেল নিয়ে ওই স্থানে মহাসড়ক পার হচ্ছিল। এ সময় ঢাকাগামী একটি কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষে তিনি গুরুতর আহত হন। পুলিশ ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে তিনি মারা যান।
আরও পড়ুনঃ কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ২১
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেছে। কোন অভিযোগ না থাকায় তার স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছেন বলে জানান ওসি।
৩ বছর আগে
ব্র্যাক আন্তর্জাতিকের নতুন প্রধান শামেরান আবেদ
বিশ্বের অন্যতম বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের আন্তর্জাতিক বিভাগের নতুন নির্বাহী পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন শামেরন আবেদ। আগামী আগস্টের ১ তারিখ থেকে তিনি দায়িত্ব পালন করবেন।
আরও পড়ুনঃ বিদেশ ফেরত ৪৭ শতাংশেরই কাজ জোটেনি: ব্র্যাক
নির্বাহী পরিচালক হিসেবে শামেরান ব্র্যাক ইন্টারনেশনালের ২০৩০ এর মধ্যে ২৫০ মিলিয়ন সুবিধাবঞ্চিত নারী, তরুণ এবং দরিদ্র মানুষকে সহায়তা এবং দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের ক্ষেত্রে কৌশলগত এবং কার্যকরী ভূমিকা রাখবেন। এছাড়াও তিনি ব্র্যাক ইন্টারনেশনালের ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পের নেতৃত্ব দিবেন।
আরও পড়ুনঃ দেশের সড়ক নিরাপত্তা উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক ব্র্যাকের সমঝোতা
শামেরান বলেন, 'আমরা যেহেতু মহামারির কারণে নজিরবিহীন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছি, যেটা আমাদের পুনরায় মনে করিয়ে দিচ্ছে বিশ্বের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে দারিদ্র্যের হাত থেকে রক্ষার জন্য দীর্ঘস্থায়ী এবং স্থিতিশীল অবস্থান তৈরি কতোটা প্রয়োজনীয়'।
শামেরান ২০০৯ সালে ব্র্যাকে যুক্ত হন। পরবর্তীতে ২০১২ সালে ব্র্যাকের আন্তর্জাতিক বিভাগে কাজ শুরু করেন।
আরও পড়ুনঃ বিদেশফেরত ৮৭ শতাংশের আয়ের কোনো উৎস নেই: ব্র্যাক
উল্লেখ্য, শামেরান আমেরিকার হ্যামিল্টন কলেজ থেকে অর্থনীতির ওপর স্নাতক অর্জন করেন এবং যুক্তরাজ্য থেকে ব্যারিস্টারি সম্পন্ন করেন।
৩ বছর আগে
বিদেশ ফেরত ৪৭ শতাংশেরই কাজ জোটেনি: ব্র্যাক
বছর পেরিয়ে গেলেও কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে ফেরত আসা প্রবাসী কর্মীদের ৪৭ শতাংশই এখনও কোনও কর্মসংস্থানে যুক্ত হতে পারেননি। ফলে দৈনন্দিন খরচ চালাতে তাদের অনেককেই পারিবারিক আয় বা আত্মীয়দের কাছ থেকে ধার-দেনা করে চলতে হচ্ছে।
অন্যদিকে ৫৩ শতাংশ কৃষিকাজ, ছোটখোটো ব্যবসা বা শ্রমিক হিসেবে নিজেকে যুক্ত করে বর্তমানে পরিবার চালাচ্ছেন। তবে বিদেশ ফেরতদের ৯৮ শতাংশই এখনও তাদের ভবিষ্য নিয়ে চরম উদ্বিগ্ন।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের ‘বিদেশফেরতদের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি অন্বেষণ এবং বিশ্লেষণ’ শীর্ষক এক জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) এই বিষয়ে অনলাইনে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচি প্রধান শরিফুল হাসান প্রতিবেদনটি তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: বিদেশফেরত ৭০ শতাংশ বাংলাদেশি জীবিকা সংকটে: আইওএম
তিনি জানান, বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণ শুরুর পর গত বছরের মার্চ-এপ্রিলে ফেরত আসা প্রবাসী কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে ২২ মে একটি জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল ব্র্যাক। এক বছর পর পরিস্থিতির কতটা উন্নতি হয়েছে সেটা জানতেই পুনরায় জরিপ করা হয়।
গুণগত এবং পরিমাণগত উভয় পদ্ধতিতেই দেশের সাতটি বিভাগের অভিবাসনপ্রবণ ৩০জেলায় এই বছরের মার্চ ও এপ্রিলে জরিপটি পরিচালনা করা হয়। গতবছর যাদের সঙ্গে কথা বলেছিল ব্র্যাক তারাসহ এবার মোট ১ হাজার ৩৬০ জন বিদেশ ফেরত মানুষের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছে ব্র্যাক।
এর মধ্যে ২০৭ জন ইতোমধ্যেই বিদেশে চলে গেছেন। একটা বড় অংশকেই ফোনে পাওয়া যায়নি। অনেকেই তথ্য দিতে রাজি হননি। তবে ৪১৭ জন বিদেশ ফেরত বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন। তাদের উত্তরের ভিত্তিতেই জরিপ প্রতিবেদনটি করা।
জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, গতবছর বিদেশ ফেরতদের ৮৭ শতাংশ বলেছিলেন তাদের কোনও আয়ের উৎস নেই। এবার দেখা গেছে, উত্তরদাতাদের প্রায় ৫৩ শতাংশ (৫২.৭৭) কোনও না কোনও কাজে নিজেকে যুক্ত করতে পেরেছেন। এর মধ্যে ২৪ দশমিক ১৯ শতাংশ কৃষি কাজে যুক্ত হয়েছেন, ২২ দশকি ৩৩ শতাংশ দিনমজুরী বা এই ধরনের কোন কাজে যুক্ত হয়েছেন এবং ৩৫.৩৫ শতাংশ ছোট কোন ব্যবসা শুরু করেছেন। এছাড়া ১৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ অন্য কোন না কোন কাজ করছেন।
তবে উত্তরদাতাদের মধ্যে ৪৭ শতাংশ (৪৭ দশমিক ২২ শতাংশ) বিদেশ ফেরতই গত এক বছরেও কোনো প্রকার কাজের ব্যবস্থা করতে পারেননি। তারা তাদের দৈনন্দিন খরচ চালাতে তাদের পরিবারের আয় বা আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে ধার নিয়ে চলছেন।
উত্তরদাতাদের ২৮ শতাংশ বলেছেন, তারা ইতোমধ্যেই ধারদেনায় জর্জরিত হয়েছেন এবং ৭২ শতাংশ বলেছেন, তারা ফের বিদেশে চলে যেতে চান।
প্রতিবেদনে প্রবাসীদের বর্তমান মানসিক অবস্থাও উঠে আসে। গতবছর অংশগ্রহণকারীদের ৭৪ শতাংশ জানিয়েছিলেন, তারা ভবিষ্যত নিয়ে প্রচণ্ড দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও ভীতির মধ্যে রয়েছেন। কিন্তু এবার ৯৮ শতাংশ উত্তরদাতাই বলেছেন, অপর্যাপ্ত আয়, বেকারত্ব, পুনরায় বিদেশ যেতে না পারা, পারিবারিক চাপ ইত্যাদির কারণে চরম উদ্বিগ্নতা এবং মানসিক চাপের মধ্যে আছেন।
আরও পড়ুন: বিদেশফেরত কর্মীরা কর্মসংস্থানে অগ্রাধিকার পাওয়ার যোগ্য: মন্ত্রী
করোনা শুরুর পর গত বছরের মার্চ থেকে এই বছরের এপ্রিল পযর্ন্ত প্রায় পাঁচ লাখ প্রবাসী দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হয়।
বর্তমানে এক কোটিরও বেশি বাংলাদেশি বিদেশে আছেন। করোনার মধ্যেও ২০২০ সালে প্রায় ২২ বিলিয়ন ডলার প্রবাসী আয় এসেছে। এ বছরের প্রথম তিনমাসে দেড়লাখেরও বেশি বাংলাদেশি বিদেশে কাজ নিয়ে গেছেন। ব্র্যাক মনে করছে, বৈদেশিক কর্মসংস্থান স্বাভাবিক করার পাশাপাশি বিদেশ ফেরতদের টেকসই পুনরেকত্রীকরণে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা সবার সমন্বিতভাব কাজ করা উচিত।
৩ বছর আগে