১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে যৌথভাবে এই আধুনিক বাজার এবং কুলিং চেম্বার নির্মাণ করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) এবং যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা- ইউএসএইড।
নির্মাণ কাজের ধীরগতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেও, দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হওয়ায় ফুল চাষে নতুন সম্ভাবনা দেখছেন এলাকার ফুল চাষিরা।
১৯৮৩ সালে ঝিকরগাছার গদখালীতে বাণিজ্যিকভাবে ফুলের ব্যবসা শুরু হয়, যা বর্তমানে দেশের সামগ্রিক ফুলের চাহিদার ৭০ শতাংশ পূরণ করছে। পরে দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও ফুল চাষ সম্প্রসারিত হয়।
ফুল চাষ করে গদখালী ও এর আশপাশ এলাকার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ তাদের জীবিকা নির্বাহ করেন।
মৌসুমরে সময় লাভের জন্য স্থানীয় ফুল চাষীরা দীর্ঘদিন ধরে এই অঞ্চলে একটি বিশেষায়িত কোল্ড স্টোরেজ এবং আধুনিক বাজারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
এ বিষয়ে এলজিইডি যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর্জা ইফতেখার আলী বলেন, ‘২০১৫ সালে প্রকল্পটি শুরু হয়েছে এবং ২০২০ সালের মধ্যে এর কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফুলের বাজারকে কেন্দ্র করে এর আশপাশের সড়ক যোগাযোগের উন্নয়নসহ নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এবং এটি কার্যকর হলে এ অঞ্চলে ফুলের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ হবে।’
ফুল প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রে বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে যা কৃষকদের ফুল সংরক্ষণ ও গ্রেড করতে সহায়ক হবে।
এ বিষয়ে কৃষকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেয়া হবে এবং আধুনিক কুলিং চেম্বারের মাধ্যমে ভবিষ্যতে বিক্রয়ের জন্য প্যাকেজ করা ফুল সংরক্ষণ করা হবে।
ফুল চাষী শের আলী বলেন, আমি ভেবেছিলাম চলতি মৌসুমেই আমরা কেন্দ্র থেকে উপকৃত হব কিন্তু এর নির্মাণ প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয়নি।
এর নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, ‘ফুল প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রের অভাবে আমরা অনেক সমস্যায় পড়েছি। এখন আমরা চাই প্রকল্পের কাজটি দ্রুত হোক।’