নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে তপনের বসবাস এবং পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের ভেটেরিনারি সার্জন তিনি। ইতোমধ্যে তার আবিষ্কৃত বজ্য অপসারণের ‘অটোমেটিক বর্জ্য ক্লিনিং স্ক্রাপার’ যন্ত্রটি সাড়া জাগিয়েছে।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ বীজে সমৃদ্ধির স্বপ্ন দেখছেন মাগুরার কৃষকরা
চাকরি হারিয়ে জীবিকা নির্বাহে ক্যাপসিকাম চাষে স্বাবলম্বি নাজিম উদ্দিন
আবিষ্কারের বিষয়ে আজমল হুদা তপন বলেন, ‘বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র থাকা অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি খামারের বর্জ্য অপসারণ ব্যবস্থা আমাকে ভাবাত। আমি চিন্তা করতাম যদি খামারে স্বয়ংক্রিয় কোনো যন্ত্র লাগানো যায়, তাহলে বর্জ্য অপসারণে শ্রমিকের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে নিয়ে আসতে পারে। এই চিন্তা থেকেই আমার কাজ শুরু করা।’
তিনি বলেন, ‘খামারের কাজগুলো অনেকের কাছে অত্যন্ত অস্বস্তিকর ও ঝামেলাপূর্ণ মনে হওয়ায় খামার করতে চান না। কিন্তু অটোমেটিক বর্জ্য ক্লিনিং স্ক্রাপার যন্ত্রটি ব্যবহারে খামার খুবই সম্মানজনক ও মার্জিত পরিবেশে করা সম্ভব। এটি একটি ইলেকট্রনিক মেকানিক্যাল যন্ত্র। যা স্ক্রাপারের সাহায্যে গরুর দাঁড়ানো অবস্থায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে বর্জ্য পরিষ্কার করবে এবং ড্রেনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট স্থানে জমা করবে। এতে গরুর কোনো সমস্যার সৃষ্টি হবে না।’
খামারিকে প্রাথমিক কিছু প্রশিক্ষণের মাধ্যমেই খুব সহজেই এই যন্ত্রের কার্যাবলী বুঝিয়ে এটি পরিচালনা করা সম্ভব। যে সব খামারে ৫-২০টি গরু আছে, সেখানে এই যন্ত্রটি হতে পারে খামার যান্ত্রিকীকরণেই ঝুঁকিপুর্ণ প্রাথমিক পদক্ষেপ। শ্রমিকের মাধ্যমে বর্জ্য অপসারণের যে খরচ হয় এটি ব্যবহারে অর্ধেকেরও কম লাগবে। প্রাথমিকভাবে যন্ত্রটি প্রস্তুত করতে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা প্রয়োজন বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: কচুরিপানা দিয়ে তৈরি সৌখিন সামগ্রী যাচ্ছে বিদেশে
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ডেইরি খামারি রেজাউল করিম লালমিয়া বলেন, আগে অনেক সময় খামারে কাজের লোক পাওয়া না গেলে খামার অপরিষ্কার হয়ে থাকত। খামার অপরিষ্কারের কারণে প্রায়ই গরুর বিভিন্ন রোগ বালাই লেগে থাকত। অটোমেটিক বর্জ্য ক্লিনিং স্ক্রাপার যন্ত্রটি ব্যবহারের ফলে খামারের মেঝে সর্বাদাই শুকনো ও পরিষ্কার রাখতে পারছি। এছাড়া অল্প সময়ে খামার পরিষ্কার ও শ্রমিকের চেয়ে খরচও কম হচ্ছে।