জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৮ লাখ ৮২ হাজার ৫৩ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৬২ লাখের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৮৮ হাজার ৯৩৭ জন। ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ লাখের বেশি মানুষ এবং মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ২৬ হাজার ৬৫০ জনের।
এদিকে, সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতেও হওয়া শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা ৪১ লাখ ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৭০ হাজার ৬২৬ জনের।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হয় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি:
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৪৭৯ জনের।
এছাড়া, নতুন করে ১ হাজার ৫৯২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩ লাখ ২৫ হাজার ১৫৭ জনে।
রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, করোনা শনাক্তের জন্য দেশের সরকারি ও বেসরকারি ৯২টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১১ হাজার ২২৪টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১১ হাজার ৩৫৪টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১৬ লাখ ২৯ হাজার ৩১২টি।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪.০২ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষার ক্ষেত্রে শনাক্ত হয়েছেন ১৯.৯৬ শতাংশ।
নতুন যে ৩২ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২৫ এবং নারী ৭ জন। এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৩ হাজার ৫০৪ জন বা ৭৮.২৩ শতাংশ এবং নারী ৯৭৫ জন বা ২১.৭৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১.৩৮ শতাংশ।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৩ হাজার ৪২৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ২১ হাজার ২৭৫ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার এখন পর্যন্ত ৬৮.০৫ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।