জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট ৭ লাখ ৭ হাজার ৪১২ জন করোনাভাইরাসের রোগী নিয়ে বিশ্বে সর্বোচ্চ আক্রান্তের দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পরে দ্বিতীয় অবস্থানে ওঠে এসেছে ব্রাজিল। দক্ষিণ আমেরিকার এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৭ হাজার ১৩৪ জন।
অন্যান্য দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মারা যাওয়ার তলিকার শুরুতে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এক লাখ ১০ হাজার ৯৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় ১৯ লাখ ৬০ হাজার ৬৪২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের শুধুমাত্র নিউইয়র্ক রাজ্যেই মারা গেছেন ৩০ হাজার ৪১৭ জন।
করোনায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাজ্যে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার ৬৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর পরেই ইতালিতে ৩৩ হাজার ৯৬৪ জন, ফ্রান্সে ২৯ হাজার ২১২ জন এবং স্পেনে ২৭ হাজার ১৩৬ জন মারা গেছেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৩টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পরে ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। তবে গত কয়েক সপ্তাহ জুড়ে দেশে নতুন করে এ ভাইরসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনার নিয়মিত আপডেটে জানায়, দেশে মোট ৬৮ হাজার ৫০৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং এবং এখন পর্যন্ত ৯৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শনাক্ত হওয়াদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৪ হাজার ৫৬০ জন সুস্থ হয়েছেন।
সোমবার সকাল পর্যন্ত সারা দেশে ৫২ টি ল্যাবরেটরিতে ১২ হাজার ৯৪৪টি নমুনা পরীক্ষার পর গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ২ হাজার ৭৩৫ জন নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
ভাইরাসের বিস্তার প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকার ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছিল। পরে ৩১ মে থেকে গণপরিবহন, সরকাররি ও বেসরকারি অফিস সীমিত আকারে খোলে দেয়া হয়। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ১৫ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকলেও এসব প্রতিষ্ঠানের অফিসিয়াল কার্যক্রম সীমিত আকারে উন্মুক্ত থাকবে।