এছাড়া প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে এক কোটি ৮৫ লাখ ৪০ হাজার ১১৯ জনে।
জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। বুধবার পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ লাখেরও বেশি মানুষ এবং মৃত্যু হয়েছে ৯৫ হাজার ৮১৯ জনের।
এদিকে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৯ লাখ ৮ হাজার ২৫৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৯ হাজার ৭৯৫ জনের।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৪৭ লাখের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৫৬ হাজার ৮০১ জন।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৩টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি: দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২৩৪ জন।
এছাড়া, নতুন করে ১ হাজার ৯১৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ২০ জনে।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, করোনা শনাক্তের জন্য দেশের সরকারি ও বেসরকারি ৮৩টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৮ হাজার ১২৩টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ৭ হাজার ৭১২টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১২ লাখ ১২ হাজার ৫৬টি।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৪.৮৭ শতাংশ। মোট পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২০.৩১ শতাংশ। আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.৩৩ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৫০ জনের মধ্যে পুরুষ ৪৪ এবং নারী ছয়জন।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৯৫৫ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৮৬০ জন। সুস্থতার হার ৫৭.৩১ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।