জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ৩ কোটি ৯ লাখ ২৯ হাজার ১৬৩ জনে।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৬৭ লাখের বেশি করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৯৯ হাজার ৪৮৪ জন।
এ দিকে, সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে করোনা রোগীর সংখ্যা ৫৪ লাখ ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৮৬ হাজার ৭৫২ জন।
ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫ লাখ ৪৪ হাজার ৬২৯ জন মানুষ এবং মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৩৬ হাজার ৮৯৫ জনের।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি:
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪ হাজার ৯৩৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া, নতুন করে ১ হাজার ৫৪৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৯১৬ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে রবিবার পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, করোনা শনাক্তের জন্য দেশের সরকারি ও বেসরকারি ৯৭টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১০ হাজার ৭৮৭টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১১ হাজার ৫৯১টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১৮ লাখ ২১ হাজার ২৭০টি।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩.৩২ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৯.১৬ শতাংশ।
নতুন যে ২৬ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১৭ এবং নারী ৯ জন। এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৩ হাজার ৮৪৬ জন বা ৭৭.৮৭ শতাংশ এবং নারী ১ হাজার ৯৩ জন বা ২২.১৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১.৪২ শতাংশ।
এদিকে, করোনা থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ১৭৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৫৬৫ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার এখন পর্যন্ত ৭৩.৫৩ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।