জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, বিশ্বের ১৮৮টি দেশে এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন ২ কোটি ৭৪ লাখ ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৬৩ লাখের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৮৯ হাজার ৬৩৯ জন।
এদিকে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে করোনা রোগীর সংখ্যা ৪২ লাখ ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৭২ হাজার ৭৭৫ জনের।
ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ লাখের বেশি মানুষ এবং মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ২৭ হাজার ৪৬৪ জনের।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৩টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি:
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪ হাজার ৫৫২ জনে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া, নতুন করে ১ হাজার ৮৯২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩ লাখ ২৯ হাজার ২৫১ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে মঙ্গলবার পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত স্বাস্থ্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, করোনা শনাক্তের জন্য দেশের সরকারি ও বেসরকারি ৯৪টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৫ হাজার ১৪২টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ৯৭৩টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১৬ লাখ ৫৯ হাজার ৬৯৭টি।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১২.৬৪ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষার ক্ষেত্রে শনাক্ত হয়েছেন ১৯.৮৪ শতাংশ।
নতুন যে ৩৬ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১৯ এবং নারী ১৭ জন। এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৩ হাজার ৫৫৩ জন বা ৭৮.০৫ শতাংশ এবং নারী ৯৯৯ জন বা ২১.৯৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১.৩৮ শতাংশ।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৩ হাজার ২৩৬ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ২৭ হাজার ৮০৯ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার এখন পর্যন্ত ৬৯.১৯ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।