এতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করে ট্রুডোর স্ত্রী সোফি গ্রেগোয়ের ট্রুডোর পজিটিভ ফলাফল পাওয়া যায়। তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে (ভাইরাস সংক্রমণ রোধে বাসার মধ্যে পৃথক রাখার ব্যবস্থা) রাখা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সুস্থ আছেন। তার শরীরে করোনার কোনো লক্ষণ নেই। তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এবং চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন।’
এক বিবৃতিতে ট্রুডোর স্ত্রী বলেন, ‘যদিও আমি ভাইরাসের অস্বস্তিকর লক্ষণগুলো অনুভব করছি, তবে আমি আশা করছি, শিগগিরই সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসব।’
ট্রুডো দম্পতির তিনটি সন্তান রয়েছে। তবে ট্রুডোর স্ত্রী ছাড়া পরিবারের আর কারও শরীরে করোনার লক্ষণ দেখা যায়নি।
এদিকে নিজ ঘরের মধ্যে বিচ্ছিন্ন থাকলেও প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো ফোন এবং ভার্চুয়াল যোগাযোগের মাধ্যমে ব্রিফিং দিচ্ছেন ও বিভিন্ন বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন। তিনি করোনাভাইরাস নিয়ে বিশ্ব নেতাদের সাথে আলোচনা করছেন। এছাড়া একটি বিশেষ মন্ত্রিসভা কমিটির আলোচনায় যোগ দিয়েছেন। ট্রুডো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সাথে করোনা নিয়ে কথা বলেছেন।
প্রসঙ্গত, চীন থেকে সংক্রমিত হওয়া নতুন করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট ‘কোভিড-১৯’ রোগে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪ হাজার ৯৮৩ জনে দাঁড়িয়েছে। ওয়ার্ল্ডওমিটার্সের (https://www.worldometers.info/coronavirus/) তথ্যানুসারে, এ পর্যন্ত ১ লাখ ৩৪ হাজার ৭৬৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৭০ হাজার ৩৮৫ জন পুরোপুরি সুস্থ হয়েছেন।