স্বীকৃত ফরাসি সিরিয়াল কিলার চার্লস শোভরাজ নেপালের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। আমেরিকান এবং কানাডিয়ান পর্যটককে হত্যার দায়ে তার বেশিরভাগ সাজা ভোগ শেষে শুক্রবার মুক্তি পেয়েছেন তিনি।
শোভরাজকে কাঠমান্ডুর সেন্ট্রাল জেল থেকে বের করে দেয়ার পর তার ভ্রমণ নথি প্রস্তুত করার জন্য ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরে একটি কঠোর প্রহরায় পুলিশ কনভয়ে তিনি অপেক্ষা করবেন।
দেশটির সুপ্রিম কোর্ট আদেশ দিয়েছেন যে নেপালের কারাগারে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত শোভরাজকে খারাপ স্বাস্থ্য, ভাল আচরণ এবং ইতোমধ্যে তার বেশিরভাগ সাজা ভোগ করায় তাকে মুক্তি দেয়া হবে। নেপালে যাবজ্জীবন সাজা ২০ বছর।
আদেশে আরও বলা হয়েছে তাকে ১৫ দিনের মধ্যে দেশ ছাড়তে হবে।
শোভরাজের অ্যাটর্নি গোপাল সিওয়াকোটি চিতান সাংবাদিকদের বলেছেন যে ভ্রমণ নথিগুলোর জন্য নেপালে ফরাসী দূতাবাসে অভিবাসন বিভাগকে অনুরোধ করতে হবে।
এতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। বড়দিনের ছুটির জন্য সপ্তাহের শেষ দিকে অফিস বন্ধ থাকে।
আদালতের নথিতে বলা হয়েছে যে তিনি ইতোমধ্যে তার ৭৫ শতাংশেরও বেশি সাজা ভোগ করেছেন, যা তাকে মুক্তির যোগ্য করে তুলেছে। এছাড়াও তার হৃদরোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নেপাল, ঘুমন্ত ৬ জনের মৃত্যু
ফরাসি ব্যক্তি অতীতে বেশ কয়েকজন পশ্চিমা পর্যটককে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন এবং তিনি আফগানিস্তান ও ভারতে কমপক্ষে ২০ জনকে হত্যা করেছেন বলে মনে করা হয়।
১৯৭০ এর দশকে থাইল্যান্ড, তুরস্ক, নেপাল, ইরান এবং হংকং ছাড়া নেপালে ২০০৪ সালে অভিযুক্ত হওয়ার পরে তিনি প্রথমবার আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন।
শোভরাজকে চুরির সন্দেহে নয়াদিল্লির সর্বোচ্চ-নিরাপত্তা বেষ্টিত তিহার কারাগারে দুই দশক ধরে রাখা হয়েছিল। কিন্তু ১৯৯৭ সালে কোনো অভিযোগ ছাড়াই ফ্রান্সে নির্বাসিত করা হয়েছিল। ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি কাঠমান্ডুতে পুনরুত্থিত হন।
তার ডাকনাম দ্য সার্পেন্ট একজন ছদ্মবেশী এবং পালাবার কারিগর হিসাবে তার খ্যাতি রয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের পর হত্যাই ‘সিরিয়াল কিলার’ মুন্নার নেশা