আমেরিকা
ড. ইউনূসের কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা করতে পিটার হাসকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশি-আমেরিকানদের প্ল্যাটফর্ম
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ঘিরে আইনি জটিলতা নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশি-আমেরিকানদের অলাভজনক প্ল্যাটফর্ম কমিটি ফর এ ডেমোক্রেটিক বাংলাদেশ।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ড. ইউনূসের কর্মচারীরা বেআইনিভাবে বকেয়া অর্থ আটকে রাখার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
চিঠিতে বলা হয়, ‘নিম্ন আদালত দেখেছে ড. ইউনূস নিজের করও পরিশোধ করছেন না। তিনি দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে ড. ইউনূস এখনও তার পরিণতির জন্য শেখ হাসিনাকে দোষারোপ করেন।’
প্ল্যাটফর্মটি মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে তাদের মতামত উপস্থাপনের জন্য অনুরোধ করেছে। সিনেটর হিলারি ক্লিনটন, সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পলিটিক্যাল ডেস্ককেও এই বার্তা পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে দাবি করা হয়, ড. ইউনূস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমর্থনের সুবিধাভোগী। এতে উল্লেখ করা হয়, তার ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি এবং গ্রামীণ ফোন ও গ্রামীণ ব্যাংকের মতো অন্যান্য উদ্যোগের লাইসেন্স প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দিয়েছে। এর প্রাথমিক মূলধনের জন্য ৫০০ কোটি টাকাও দিয়েছে।
কমিটি ফর এ ডেমোক্রেটিক বাংলাদেশের প্লাটফর্মটির পক্ষে চিঠিতে আহ্বায়ক খালিদ হাসান লিখেছেন, ‘আমি মনে করি, ড. ইউনূসের অত্যধিক শক্তিশালী আমেরিকান লবি দেখে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট অভিভূত হয়েছিলেন। আমি মনে করি, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ড. ইউনূসের নিয়ন্ত্রণাধীন সকল উদ্যোগের জাতিসংঘের নিরীক্ষা চাওয়া উচিত। শেখ হাসিনাকে হত্যার ৪৩টি প্রচেষ্টার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও সিআইএকে অবশ্যই জানতে হবে।’আরও পড়ুন: পিটার হাসকে হুমকি: আ.লীগ নেতাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
চিঠিতে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে চালানো গ্রেনেড হামলার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ‘বিএনপি নেতা তারেক রহমান বিএনপি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন পরবর্তী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সংগঠকদের সমাবেশে নৃশংস গ্রেনেড হামলার ষড়যন্ত্র ও বাস্তবায়ন করেছেন। শেখ হাসিনা অলৌকিকভাবে রক্ষা পেয়েছেন।’
ওই হামলায় আওয়ামী লীগের প্রথম সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ৩১ জন নিহত হন। বেঁচে যাওয়া বেশিরভাগই গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের আঘাতে আহত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করতেই এ হামলা চালানো হয়েছিল।
চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে পদক্ষেপের অভাব এবং হামলার বিষয়ে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের নীরবতার সমালোচনা করা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, ‘দুঃখজনকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তারা বিএনপি সরকারের পদত্যাগ চায়নি। বিস্ময়কর ছিল শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের নীরবতাও। তিনি গ্রেনেড হামলা চালিয়ে হত্যার নিন্দা করেননি, নিহতের পরিবার বা দলকেও সান্ত্বনা দেননি।’
কমিটি জোর দিয়ে বলেছে, জাতীয় উন্নয়ন ও আইনি সংস্কারের জন্য শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বহাল রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ২০০ বছর আগে আমেরিকার স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়ের সঙ্গে তুলনাযোগ্য।
চিঠির শেষ অংশে বলা হয়, ‘বাংলাদেশকে অবশ্যই তার 'মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ' প্রকাশ করতে হবে এবং ইসলামী মৌলবাদী ও সন্ত্রাসীদের লাগাম টেনে ধরতে হবে। শেখ হাসিনা আন্তরিকভাবে এই নীতি অনুসরণ করছেন। আমাদের অবশ্যই তাকে নির্বিঘ্নে কাজ করতে দেওয়া উচিত।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করব: পিটার হাস
৪ মাস আগে
এয়ারবাস কেনার ক্ষেত্রে ইউরোপীয় নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাব এগিয়ে
উড়োজাহাজ কিনবে বাংলাদেশ। আর বিক্রির প্রস্তাবনা এসেছে ইউরোপ ও আমেরিকা থেকে। ইউরোপীয় নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস এবং মার্কিন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং উড়োজাহাজ বিক্রি করতে প্রস্তাব পাঠিয়েছে বাংলাদেশ বিমানের কাছে।
জানা গেছে, প্রস্তাবনা বিবেচনায় এগিয়ে আছে ইউরোপীয় নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস। অন্যদিকে ৭৮৭ ড্রিমলাইনার মডেলের উড়োজাহাজের নির্মাণ প্রক্রিয়ায় ত্রুটির অভিযোগ উঠায় বিক্রির দৌড়ে পিছিয়ে পড়েছে মার্কিন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং।
এ পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে, কোন প্রতিষ্ঠান থেকে উড়োজাহাজ কিনবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স?
বিমান কর্তৃপক্ষ ও মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ে কথা বলে জানা যায়, ইউরোপীয় নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাসের প্রস্তাব বেশি বিবেচনায় রয়েছে।
এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান জানিয়েছেন, ‘দুটি প্রতিষ্ঠানই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে তাদের উড়োজাহাজ কেনার জন্য ভালো প্রস্তাব দিয়েছে। বাংলাদেশ ও বিমানের জন্য যেটি ভালো হবে সেটিই করা হবে।’
ইউরোপীয় নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাসের কাছ থেকে উড়োজাহাজ কেনার প্রস্তাব বিবেচনায় রয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বিমানের এয়ারবাস কেনার সিদ্ধান্তের মূল কারণ কমিশন: ফখরুল
বিমানমন্ত্রী ফারুক খান বলেন, ‘বোয়িংয়ের চেয়ে কম মূল্য ও প্রযুক্তিগত সুবিধা থাকায় এয়ারবাস কেনার প্রস্তাব বিবেচনা করছে সরকার। প্রাথমিকভাবে ১০টি এয়ারবাস কেনার সিদ্ধান্ত আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও বোয়িং কেনার প্রস্তাব দিয়েছে।’
গত ৭ মে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যানি ম্যারি ট্রেভেলেইনের সঙ্গে বৈঠক করেন ফারুক খান।
বৈঠক শেষে বিমানমন্ত্রী জানান, ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী অ্যানি ম্যারি ট্রেভেলেইন এয়ারবাস কেনার প্রস্তাব দিয়েছেন। এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে এক থেকে দেড় মাস সময় লাগতে পারে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘ইউরোপে তারা এয়ারবাস বানায়, আমাদের বিমানের বহরে বোয়িং আছে। তারা আমাদের কাছে এয়ারবাস বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে। এখন পর্যন্ত যতটুকু জানি, বেশ ভালো প্রস্তাব আমরা পেয়েছি। এরইমধ্যে বোয়িংও আমাদের ভালো প্রস্তাব দিয়েছে। সেগুলো এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। এ বিষয়ে বর্তমানে বাংলাদেশ বিমানের পক্ষ থেকে একটি মূল্যায়ন কমিটি করা হয়েছে। বাংলাদেশের জন্য যেগুলো ভালো হবে; সেগুলো আমরা বিবেচনা করব।’
গত বছর প্রধানমন্ত্রীর ইউরোপ সফরের আগে এয়ারবাসের কাছ থেকে ১০টি উড়োজাহাজ কিনতে সমঝোতা স্মারকে সই করে বাংলাদেশ। একই বছর সেপ্টেম্বর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ ঢাকা সফরে এসেও এয়ারবাস কেনার প্রস্তাব বিবেচনার আহ্বান জানান। পরে উড়োজাহাজ কেনার প্রস্তাব পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কারিগরি কমিটি।
এ বিষয়ে ফারুক খান বলেন, ‘এয়ারবাস এরই মধ্যে অর্থনৈতিক প্রস্তাব দিয়েছে। সেগুলো ভালোভাবে পরীক্ষা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। এবারই তারা একটি সমঝোতা স্মারকে সই করার কথা বলেছিল। কিন্তু আমরা বলেছি, আগে মূল্যায়ন শেষ হোক, তারপর সমঝোতা স্মারক সই হবে।’
এয়ারবাসের ‘ভালো প্রস্তাব’ নিয়ে বিমানমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাংক থেকে যে ঋণ দেওয়া হবে তার সুদ, সেই সঙ্গে টেকনিক্যাল বিষয়গুলোতে বেশ ভালো প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ১০টির মতো এয়ারবাস কিনতে চায়। তবে এ উড়োজাহাজগুলো কিনতে কত টাকা লাগতে পারে, তা নির্ভর করবে কীভাবে প্রস্তাব আসে তার ওপর।’
এরপর গত ১৫ মে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এয়ারবাস ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ও এয়ারবাস গ্রুপের নির্বাহী কমিটির সদস্য ওয়াটার ভ্যান ওয়ার্শের সঙ্গে বৈঠক করেন বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী।
এ বৈঠক নিয়ে ফারুক খান বলেন, ‘রাষ্ট্রায়ত্ত এয়ারলাইন্স বিমান বাংলাদেশের ফ্লিট সম্প্রসারণের জন্য নতুন উড়োজাহাজ কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে এরই মধ্যে এয়ারবাস তাদের প্রস্তাব জমা দিয়েছে। সেই প্রস্তাবটি মূল্যায়নের জন্য বিমানে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মূল্যায়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। মূল্যায়ন প্রতিবেদন পাওয়ার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
বোয়িংয়ের ৭৮৭ ড্রিমলাইনের ত্রুটির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বোয়িংয়ের ৭৮৭ ড্রিমলাইনের বিষয়ে পত্রিকায় বিভিন্ন কথা এসেছে। আমরা এই মুহূর্তে বিষয়টিকে এত বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি না। তবে বোয়িংয়ের সঙ্গে কথা বলে কারিগরি বিষয়গুলো জানতে বলেছি।’
এ নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই বলেও জানান ফারুক খান।
এদিকে, ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ নিয়ে বেশ বড়সড় ঝামেলাতেই পড়েছে মার্কিন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং। কারিগরি ত্রুটির কারণে সারা বিশ্বে এই মডেলের সব উড়োজাহাজ গ্রাউন্ডেড করার পরামর্শের পর থেকে নতুন করে এই ঝামেলার শুরু হয়। নির্মাণ প্রক্রিয়ায় ত্রুটির অভিযোগ ওঠার পর এই মডেলের উড়োজাহাজের উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে বোয়িং।
অন্যদিকে অভিযোগ ওঠার পর তা তদন্ত শুরু করে দিয়েছে মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রিশন (এফএএ)। এর আগে উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি এফএএকে জানায়, ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজের পর্যবেক্ষণ ঠিকঠাকমতো হয়নি। এরপরই এই তদন্ত শুরুর ঘোষণা দেয় উড়োজাহাজ পর্যবেক্ষণ সংস্থাটি।
এফএএ বলছে, পর্যবেক্ষণের সময় সংশ্লিষ্টরা কোনো ভুল করেছেন কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে।
এফএএ-এর তদন্তে ত্রুটি ধরা পড়লে বিশ্বজুড়ে হাজারেরও বেশি ড্রিমলাইনার ওড়ানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে।
বাংলাদেশের পতাকাবাহী বিমান পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কাছে ছয়টি ওয়াইড বডি এয়ারক্রাফট বিক্রি করার প্রস্তাব দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি বোয়িং। এর মধ্যে চারটি যাত্রীবাহী বোয়িং-৭৮৭ ও দুটি মালবাহী (ফ্রেইটার) বোয়িং-৭৭৭।
এদিকে ইউরোপের উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারক কোম্পানি এয়ারবাসের প্রস্তাব নিয়েও দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে। এমন প্রেক্ষাপটে বিমানকে বোয়িংয়ের উড়োজাহাজ কেনায় রাজি করা প্রচেষ্টা হিসেবে ঢাকা সফর করে গেলেন কোম্পানির ভারত ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
তারা চান, চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে তাদের প্রস্তাবের ‘যথাযথ’ মূল্যায়ন হোক।
এসব বিষয়ে গত মঙ্গলবার (২১ মে) ঢাকার একটি হোটেলে বোয়িং কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিমানের সঙ্গে বোয়িংয়ের সম্পর্ক, বোয়িংয়ের নিরাপত্তা নিয়ে বৈশ্বিক উদ্বেগ ও এয়ারবাসের প্রস্তাবসহ দুই উড়োজাহাজ নির্মাতার তুলনামূলক আলোচনা ও অর্থায়নসহ নানা দিক তারা তুলে ধরেন।
প্রাথমিকভাবে এয়ারবাসের কাছ থেকে এ–৩৫০ মডেলের দুটি উড়োজাহাজ কিনতে আগ্রহী বিমান। পরে আরও ক্রয় করা হতে পারে। আর বোয়িংও প্রস্তাব দিয়েছে অন্তত ২টি ৭৮৭ ড্রিমলাইনার বিক্রির।
এ–৩৫০ বর্তমানে এয়ারবাসের জনপ্রিয় মডেলগুলোর একটি। ২০০৪ সালে নকশা করা এই উড়োজাহাজটি এয়ারবাস বাজারে আনে বোয়িংয়ের ৭৮৭ ড্রিমলাইনারের বাণিজ্যিক ব্যবহার শুরুর পর।
এখন পর্যন্ত উড়োজাহাজটির দুটো ভ্যারিয়েন্ট বাজারে এসেছে। একটি এ–৩৫০–৯০০ আরেকটি এ–৩৫০–১০০০। এ–৩৫০–৯০০ এ ৩০০ থেকে ৩৫০ জন যাত্রী পরিবহন করা যায়। আর এ–৩৫০–১০০০ তে যায় ৩৫০ থেকে ৪১০ জন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বর্তমান বহরে আছে ২১টি উড়োজাহাজ। এর মধ্যে চারটি বোয়িং ৭৭৭, ছয়টি বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার, ছয়টি বোয়িং ৭৩৭ এবং পাঁচটি ড্যাশ–৮ মডেলের উড়োজাহাজ।
বিমানের বহরে এর আগেও এয়ারবাসের উড়োজাহাজ ছিল। এ-৩১০ মডেলের দুটি উড়োজাহাজ দিয়ে বিভিন্ন রুটে যাত্রী পরিবহন করা হতো। বছরখানেক আগে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এগুলোকে বহর থেকে বাদ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ইউএস-বাংলা বহরে যুক্ত হচ্ছে ওয়াইড বডি এয়ারবাস ৩৩০
৫ মাস আগে
আমেরিকা প্রতি ঘণ্টার মজুরি বাড়ালে আমরা সে পথ অবলম্বন করব: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে চাই। এই অগ্রযাত্রার জন্যই দেশের মান-ইজ্জত অনেক বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সিলেটে নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো সংঘাত চাই না। আমরা শান্তি ও স্থিতিশীলতা চাই এবং গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে চাই।’
সিলেট-১ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা মোমেন বলেন, গত ১৫ বছরে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে এবং সেই উন্নয়ন নিরবচ্ছিন্ন থাকা দরকার।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মানবতা প্রতিষ্ঠার জন্য এই দেশের মানুষ তাদের জীবন উৎসর্গ করেছে।
আরও পড়ুন: কোনো সমস্যায় জড়াতে চাই না: যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মন্তব্য সম্পর্কে মোমেন
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, বিএনপি একটি ভুল করেছে এবং রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য তাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়া উচিৎ ছিল।
২৮ অক্টোবর থেকে পুলিশ সদস্য হত্যা এবং সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তিতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা একটি সুযোগ হারিয়েছে এবং গ্রহণযোগ্যতাও হারিয়েছে।’
বিএনপির নেতৃত্ব ও পরিপক্কতার অভাব রয়েছে উল্লেখ করে মোমেন বলেন, রাজনীতি জনগণ ও দেশের কল্যাণের জন্য, তাদের ধ্বংসের জন্য নয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে জনগণ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে ভোটকেন্দ্রে আসবে।
অনেক শিক্ষিত মানুষ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভোটারদের উপস্থিতি বাড়াতে আমরা সর্বত্র যাব।’
মোমেন বলেন, ‘আমি তাদের ভোট দিতে আসার জন্য অনুরোধ করব। আমি তাদেরকে আমাকে ভোট দিতে বলব না… তারা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন। আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও সংঘাতবিহীন নির্বাচন চাই। পৃথিবীকে আমরা আদর্শ দেখাতে চাই।’
সম্প্রতি আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের (এএএফএ) প্রেসিডেন্ট ও সিইও স্টিফেন লামারকে চিঠি দিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের ৮ সদস্য বলেছেন, তারা মনে করেন বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের জন্য নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি যথেষ্ট নয়। এ বিষয়ে মোমেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। তারা একটা কাজ করতে পারে। নিউ ইয়র্কে প্রতি ঘণ্টায় মজুরি ১৫ ডলার। যদি তারা বাড়িয়ে ৪৫ ডলার করতে পারে ও আদর্শ তৈরি করে, তখন আমরাও তাদের পথ অবলম্বন করব। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে আমেরিকার মানুষ কষ্ট পাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: বহির্বিশ্বের চাপ নেই, আমরা আমাদের নিজেদের চাপের মধ্যে আছি: মোমেন
১১ মাস আগে
প্রধানমন্ত্রী ও সেতুমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি, আমেরিকা প্রবাসীর বিরুদ্ধে মামলা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে কটূক্তি ও অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে আতিফ মাহমুদ নামে এক আমেরিকা প্রবাসীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ঘটনায় প্রবাসী ওই যুবকের নামে রংপুরে সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় এএসপি সোহেলের জামিন মঞ্জুর
রবিবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করেন গাইবান্ধা পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি শেখ রোহিত হাসান রিন্টু।
রংপুর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক ড. আবদুল মজিদ মামলাটি আমলে নিয়ে গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী শাম্মী আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামি আতিফ মাহমুদ গাইবান্ধা মাস্টারপাড়া পৌর এলাকার প্রয়াত চিকিৎসক দেলওয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি বর্তমানে আমেরিকার বুয়েনোস রাজ্যে বসবাস করছেন।
এদিকে মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করে আসামি আতিফ মাহমুদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ আওয়ামী লীগ ও স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে বিভিন্ন গুজব, আপত্তিকর মন্তব্য, কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য, মিথ্যা, বানোয়াট, বিভ্রান্তিকর ও রাষ্ট্রবিরোধী তথ্য প্রচার করে আসছেন।
প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন জ্যেষ্ঠ নেতা এবং দলের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের বিরুদ্ধেও বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা তথ্য প্রচার করছেন ওই প্রবাসী।
রবিবার মামলা দায়েরের পর বাদী শেখ রোহিত হাসান রিন্টু সাংবাদিকদের বলেন, শেখ হাসিনার সুনাম নষ্ট করার জন্য, তাকে বেকায়দায় ফেলার জন্য স্বাধীনতাবিরোধীরা অপপ্রচার চালাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নামে কটাক্ষ করবে, অপপ্রচার চালাবে, তার ভাবমূর্তি নষ্ট করবে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করব অতি শিগগিরই যেন ওই আসামিকে আইনের আওতায় আনা হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে শিশু ধর্ষণ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ১৭ বছর পর গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার
আত্মসাৎ মামলা: দুদকে ড. ইউনূস
১ বছর আগে
‘বাংলাদেশের কতজন পুলিশ আমেরিকা যেতে চায়?’ ডিএমপি উপকমিশনারের প্রশ্ন
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য কার্যকর হওয়া ভিসা নীতি পুলিশের কার্যক্রমে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশে আমাদের দুই লাখের বেশি কর্মী রয়েছে। আমার প্রশ্ন হল: তাদের মধ্যে কতজন আসলে আমেরিকা যেতে চান? সংখ্যাটা খুবই কম। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে, আমরা বিশ্বাস করি এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা পুলিশের উপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।’
রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফারুক এসব কথা বলেন।
এসময় জেলা প্রশাসক ফারুক বলেন, ভিসা নিষেধাজ্ঞার কারণে টার্গেট করা ব্যক্তিদের কোনো তালিকা পুলিশ এখনও পায়নি।
আরও পড়ুন: ডিএমপির নতুন কমিশনার হাবিবুর রহমান
ফারুক হোসেন বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি পুলিশ বাহিনী আইনের সীমা মেনে কাজ করে, মানবাধিকারের মান মেনে চলে। আমরা অতীতেও তা করেছি, ভবিষ্যতেও করব। তাই আমি বিশ্বাস করি এই ভিসা নীতি কোনোভাবেই আমাদের কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করবে না।’
আসন্ন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির উপকমিশনার বলেন, পুলিশ আইনের কাঠামোতে কাজ করে যাবে।
ডিএমপির উপকমিশনার বলেন, ‘আগামী নির্বাচনের সময় পুলিশের ভূমিকা ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা দেওয়া। আমাদের ওপর যে দায়িত্ব চাপানো হবে তা নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে আসে। আমরা সেই দায়িত্ব পালন করব।’
তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা মনে করি না যে মার্কিন ভিসা নীতি আমাদের দায়িত্ব পালনে কোনো বাধা সৃষ্টি করবে।’
আরও পড়ুন: রাজধানীর অপরাধ নিয়ন্ত্রণে: ডিএমপি কমিশনার
ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
১ বছর আগে
সুদানের মার্কিন দূতাবাসের কর্মীদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ শেষ: বাইডেন
সুদানে আমেরিকান দূতাবাসের বিপজ্জনক অবস্থায় থাকা কর্মীদের সড়িয়ে নিয়েছে মার্কিন বাহিনী। শনিবার গভীর রাতে এটি নিশ্চিত করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তিনি আফ্রিকান দেশটিতে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী নেতার ক্ষমতার জন্য লড়াই করার সময় সেখানে ‘অসংবেদনশীল’ সহিংসতা বন্ধেরও আহ্বান জানিয়েছেন।
সুদান থেকে আমেরিকান দূতাবাসের কর্মীদের সড়িয়ে নিতে কাজ করা মার্কিন সৈন্যদের ধন্যবাদ জানান বাইডেন।
আরও পড়ুন: জি-২০ সম্মেলন: পুতিন ও এমবিএসের সঙ্গে সাক্ষাত হতে পারে বাইডেনের
আমেরিকান দূতাবাসের সকল কর্মীদের সরিয়ে নেয়ার পর ওয়াশিংটন খার্তুমে মার্কিন মিশন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে।
পরিস্থিতিকে অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে অভিহিত করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে যে সুদানে থাকা আনুমানিক আরও ১৬ হাজার আমেরিকাকে সরকারের সহায়তায় সরিয়ে নেওয়ার জন্য তাদের বর্তমান কোনো পরিকল্পনা নেই।
বাইডেন বলেছিলেন যে সুদানে অবশিষ্ট আমেরিকানদের ‘যতটা সম্ভব’ সহায়তা করার প্রচেষ্টার বিষয়ে তিনি তার দলের কাছ থেকে নিয়মিত প্রতিবেদন পাচ্ছেন।
মিশন সংশ্লিষ্ট দুই মার্কিন কর্মকর্তার মতে, প্রায় ৭০ জন আমেরিকান কর্মীকে দূতাবাসের একটি অবতরণ অঞ্চল থেকে ইথিওপিয়ার একটি অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। দুই সশস্ত্র সুদানী কমান্ডারের মধ্যে লড়াইয়ের ফলে মার্কিন সৈন্যরা এই অভিযান চালায় - এতে ৪০০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছে। জাতিকে ধ্বংসের ঝুঁকিতে ফেলেছে এবং এর পরিণতি তার সীমানা ছাড়িয়ে যেতে পারে । সংঘাত দ্বিতীয় সপ্তাহের মতো চলছে।
বাইডেন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমাদের দূতাবাসের কর্মীদের অসাধারণ প্রতিশ্রুতির জন্য আমি গর্বিত। যারা সাহস ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। সুদানের জনগণের সঙ্গে আমেরিকার বন্ধুত্ব ও সংযোগকে মূর্ত করেছে।’ ‘আমি আমাদের পরিষেবা সদস্যদের অতুলনীয় দক্ষতার জন্য কৃতজ্ঞ, যারা সফলভাবে তাদের নিরাপত্তায় নিয়ে এসেছে।’
বাইডেন তার জাতীয় নিরাপত্তারক্ষীদের কাছ থেকে শনিবারের শুরুতে লড়াইয়ের কোনো শেষ নেই বলে সুপারিশ পাওয়ার পর আমেরিকান সৈন্যদের দূতাবাসের কর্মীদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
বাইডেন বলেন, ‘সুদানে এই মর্মান্তিক সহিংসতা ইতোমধ্যে শত শত নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিকের জীবন হারিয়েছে। এটি অবাঞ্ছিত এবং এটি অবশ্যই থামাতে হবে।’ ‘বিদ্রোহী পক্ষগুলোকে অবশ্যই অবিলম্বে এবং নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন করতে হবে। নিরবচ্ছিন্ন মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে। সুদানের জনগণের ইচ্ছাকে সম্মান করতে হবে।’
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জো বাইডেন ও অ্যান্টনি ব্লিনকেনের শুভেচ্ছা
ভয়াবহ নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে স্টেট ডিপার্টমেন্ট দূতাবাসে কার্যক্রম স্থগিত করেছে। কবে নাগাদ দূতাবাস আবার কাজ শুরু করবে তা স্পষ্ট নয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘বিস্তৃত যুদ্ধের ফলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বেসামরিক মানুষের মৃত্যু ও আহত হয়েছে। প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে এবং আমাদের দূতাবাসের কর্মীদের জন্য একটি অগ্রহণযোগ্য ঝুঁকি তৈরি করেছে।’
গত ১৫ এপ্রিল দেশের নিয়ন্ত্রণের জন্য দুটি দলের নেতারা সংঘাতে জড়ায়। সহিংসতার মধ্যে একটি আমেরিকান কূটনৈতিক কাফেলার উপর বিনা প্ররোচনায় হামলা এবং বিদেশি কূটনীতিক এবং সেচ্ছাসেবী কর্মী নিহত, আহত বা লাঞ্ছিত হওয়ার অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে।
দূতাবাস শনিবারের আগে একটি সতর্কতা জারি করে সতর্ক করে দিয়েছিল যে ‘খার্তুমে অনিশ্চিত নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং বিমানবন্দর বন্ধ হওয়ার কারণে, বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি নাগরিকদের মার্কিন সরকারের সমন্বিত স্থানান্তর করা নিরাপদ নয়।’
দুই শীর্ষ জেনারেলের অনুগত বাহিনীর মধ্যে সুদানে লড়াই সেই জাতিকে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলেছে এবং এর পরিণতি তার সীমানা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
সুদান গণতন্ত্রে রূপান্তর করার চেষ্টা করার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হওয়া লড়াইটির কারণে বন্দুকযুদ্ধ, বিস্ফোরণ এবং লুটেরাদের থেকে বাঁচতে ইতোমধ্যেই শহরের লাখ লাখ মানুষ গ্রামে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।
সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ বুরহান শনিবার বলেছেন যে তিনি সাহায্যের অনুরোধ করা বেশ কয়েকটি দেশের নেতাদের সঙ্গে কথা বলার পর সুদান থেকে আমেরিকান, ব্রিটিশ, চীনা এবং ফরাসি নাগরিক এবং কূটনীতিকদের সরিয়ে নেওয়ার সুবিধা দেন। প্রতিদ্বন্দ্বী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস, বা আরএসএফ একটি টুইটার পোস্টে বলেছে যে তারা মার্কিন বাহিনীকে সহযোগিতা করেছে।
সোমবার খার্তুমে দূতাবাসের গাড়িবহরে হামলার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা জোরদারভাবে শুরু হয়। শুক্রবার পেন্টাগন নিশ্চিত করেছে যে সম্ভাব্য সরিয়ে নেওয়ার আগে মার্কিন সেনাদের জিবুতির ক্যাম্প লেমনিয়ারে স্থানান্তর করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আপনি বিশ্বের জন্য সহানুভূতি ও উদারতার দৃষ্টান্ত: শেখ হাসিনার উদ্দেশে বাইডেন
১ বছর আগে
২০২৩ এর মিস ইউনিভার্স যুক্তরাষ্ট্রের আর’বনি গাব্রিয়েল
২০২৩ সালের মিস ইউনিভার্সের খেতাব জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের টিএস। এই খেতাব জয়ী প্রথম ফিলিপিনো-আমেরিকান গাব্রিয়েল।
স্থানীয় সময় শনিবার রাতে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে ৮৩ জন প্রতিযোগীর মধ্যে সেরার মুকুট জিতে নেন মিস আমেরিকা গাব্রিয়েল।
একাধারে তিনি একজন ফ্যাশন ডিজাইনার, মডেল ও সেলাই প্রশিক্ষক।
বিজয়ীর নাম ঘোষণার নাটকীয় মুহুর্তে গ্যাব্রিয়েল তার চোখ বন্ধ করে রানার-আপ মিস ভেনিজুয়েলা আমান্ডা দুদামেলের হাত জড়িয়ে ধরেন।
আরও পড়ুন: মিস ইউনিভার্স ২০২১: কে এই হারনাজ সান্ধু
এরপর গাব্রিয়েলের মাথায় মুকুট পরিয়ে দেন ২০২২ এর মিস ইউনিভার্স ভারতের হারনাজ সান্ধু।
মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন মিস ভেনিজুয়েলা ও মিস ডোমিনিক রিপাবলিক।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ এর এই সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন ভারতের দিভিতা রাই। কিন্তু তিনি সেরা ১৬’র পর আর এগোতে পারেননি।
উল্লেখ্য, ভারতের দিভিতা রাই গত বছর মিস ডিভা ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা জিতেছিলেন। এবং এরই সঙ্গে তিনি ২০২১ সালের সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন।
ভারতীয়দের মধ্যে হারনাজ সান্ধুর আগে সুস্মিতা সেন ও লারা দত্ত মিস ইউনিভার্স খেতাব জিতেছিলেন।
আরও পড়ুন: মিস ইউনিভার্স হলেন ভারতের হারনাজ সান্ধু
১ বছর আগে
অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনো দেশের মাথা ঘামানোর দরকার নেই।
সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, তারা তাদের বক্তব্য দেবেন প্রসিডিউর আছে বা রুলস অব এনগেজমেন্ট অনুযায়ী। জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী।
কোনো বিষয়ে কোনো ইস্যু থাকে অবশ্যই তা তারা আমাদের জানাবেন। বন্ধু রাষ্ট্রগুলো কোনো প্রস্তাব দিলে আমরা তা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশ পরিপক্ব। আমাদের সার্বভৌমত্ব আছে। আমরা স্বাধীন দেশ। তার এই বার্তা সব দেশের জন্য কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন হ্যাঁ যেই হোক না কেন?
আরও পড়ুন: ‘ফুটবলপ্রেমে বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার মানুষের হৃদয় একই বন্ধনে আবদ্ধ’
মার্কিন ও রুশ উভয় পক্ষের সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
মোমেন বলেন, এদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার, বিচার বিভাগ এসব নিয়ে মাতব্বরি করার কোনো সুযোগ নেই। কারণ আমরা একমাত্র দেশ পৃথিবীর মধ্যে যে দেশের প্রায় ত্রিশ লাখ লোক রক্ত দিয়েছে। গণতন্ত্রের জন্য, বিচারের জন্যে, মানবাধিকার রক্ষার জন্য, মানুষের মর্যাদা রক্ষার জন্য। আমাদের মজ্জার মধ্যে, প্রতিটি রক্তের কণিকায় মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বদ্ধপরিকর।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি চাই না রাশিয়ান, আমেরিকান কোনো দেশে আভ্যন্তরীণ বিষয়ে মাথা ঘামাক।
ঢাকা মেট্রো রেলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, হলি আর্টিজান হামলায় জাপানি নাগরিকসহ ২০ জনের বেশি বিদেশি নাগরিক নিহত হওয়া সত্ত্বেও সরকার জাপানের নিরবচ্ছিন্ন সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞ।
আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্চে বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন: মোমেন
১ বছর আগে
কুখ্যাত ফরাসি সিরিয়াল কিলার নেপালের কারাগার থেকে মুক্ত
স্বীকৃত ফরাসি সিরিয়াল কিলার চার্লস শোভরাজ নেপালের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। আমেরিকান এবং কানাডিয়ান পর্যটককে হত্যার দায়ে তার বেশিরভাগ সাজা ভোগ শেষে শুক্রবার মুক্তি পেয়েছেন তিনি।
শোভরাজকে কাঠমান্ডুর সেন্ট্রাল জেল থেকে বের করে দেয়ার পর তার ভ্রমণ নথি প্রস্তুত করার জন্য ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরে একটি কঠোর প্রহরায় পুলিশ কনভয়ে তিনি অপেক্ষা করবেন।
দেশটির সুপ্রিম কোর্ট আদেশ দিয়েছেন যে নেপালের কারাগারে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত শোভরাজকে খারাপ স্বাস্থ্য, ভাল আচরণ এবং ইতোমধ্যে তার বেশিরভাগ সাজা ভোগ করায় তাকে মুক্তি দেয়া হবে। নেপালে যাবজ্জীবন সাজা ২০ বছর।
আদেশে আরও বলা হয়েছে তাকে ১৫ দিনের মধ্যে দেশ ছাড়তে হবে।
শোভরাজের অ্যাটর্নি গোপাল সিওয়াকোটি চিতান সাংবাদিকদের বলেছেন যে ভ্রমণ নথিগুলোর জন্য নেপালে ফরাসী দূতাবাসে অভিবাসন বিভাগকে অনুরোধ করতে হবে।
এতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। বড়দিনের ছুটির জন্য সপ্তাহের শেষ দিকে অফিস বন্ধ থাকে।
আদালতের নথিতে বলা হয়েছে যে তিনি ইতোমধ্যে তার ৭৫ শতাংশেরও বেশি সাজা ভোগ করেছেন, যা তাকে মুক্তির যোগ্য করে তুলেছে। এছাড়াও তার হৃদরোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নেপাল, ঘুমন্ত ৬ জনের মৃত্যু
ফরাসি ব্যক্তি অতীতে বেশ কয়েকজন পশ্চিমা পর্যটককে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন এবং তিনি আফগানিস্তান ও ভারতে কমপক্ষে ২০ জনকে হত্যা করেছেন বলে মনে করা হয়।
১৯৭০ এর দশকে থাইল্যান্ড, তুরস্ক, নেপাল, ইরান এবং হংকং ছাড়া নেপালে ২০০৪ সালে অভিযুক্ত হওয়ার পরে তিনি প্রথমবার আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন।
শোভরাজকে চুরির সন্দেহে নয়াদিল্লির সর্বোচ্চ-নিরাপত্তা বেষ্টিত তিহার কারাগারে দুই দশক ধরে রাখা হয়েছিল। কিন্তু ১৯৯৭ সালে কোনো অভিযোগ ছাড়াই ফ্রান্সে নির্বাসিত করা হয়েছিল। ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি কাঠমান্ডুতে পুনরুত্থিত হন।
তার ডাকনাম দ্য সার্পেন্ট একজন ছদ্মবেশী এবং পালাবার কারিগর হিসাবে তার খ্যাতি রয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের পর হত্যাই ‘সিরিয়াল কিলার’ মুন্নার নেশা
১ বছর আগে
ভুল উদ্বৃতি দিয়ে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমার মনে হয় আমাদের দেশে যারা সাংবাদিকতা করেন তাদের মধ্যে দুর্বলতা আছে, এদের পরিপক্ক হওয়া দরকার।
শনিবার টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
সম্প্রতি মিডিয়া তাকে ‘ভুল উদ্ধৃতি’ দেয়ার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে মোমেন বলেন,দেশের ১৭টি গণমাধ্যমে ব্যবহৃত শিরোনামগুলো ‘মিথ্যা এবং কাল্পনিক’।
মোমেন বলেন, ‘সেদিন একটি অনুষ্ঠানে আমি যে বক্তব্য দিয়েছি সেই বক্তব্যের সাথে বিভিন্ন মিডিয়ার সংবাদের কোন রকম সম্পর্ক নাই। ঐ মিডিয়াগুলো বলেছে ‘আমেরিকা যুদ্ধবাজ’। এ কথা আমার মুখেও আসে নাই। কিন্তু ১৭টা গণমাধ্যম এধরণের মিথ্যা সংবাদ প্রচার করেছে। আমি মনে করি আমাদের সাংবাদিকদের দুর্বলতা আছে এবং তারা পরিপক্কতা পেলে আমি খুশি হব।’
আরও পড়ুন: ঢাকা-ওয়াশিংটন শ্রম অধিকার সুরক্ষায় বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির বিষয়ে আলোচনা
মোমেন আরও বলেন, প্রতিবেদনে ‘তার ভুল উদ্ধৃতি’ দেয়ায় যুক্তরাষ্ট্র সরকার মনে করবে আমরা মনে হয় তাদের শত্রু। এমনভাবে প্রচারণা চালানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে শত্রু বানানোর প্রচেষ্টা করা হয়েছে। এটি খুবই দুঃখজনক ও লজ্জাজনক।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সত্যকে ভুলভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে আমাদের সাংবাদিকরা যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে বিরূপ পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করেছে। হয় এই সাংবাদিকরা ঠিকমতো বাংলা বুঝেন না কিংবা ইচ্ছা করে তারা এটা করেছেন। কেন দেশে এত নিম্নমানের সাংবাদিকতা বিরাজ করছে তা নিয়ে সাংবাদিকদের গবেষণা করা দরকার।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় অতীতে যে মান, নৈতিক ও নৈতিক মূল্যবোধ ছিল তা নেই।
মোমেন বলেন, ‘এটা সেইসব সাংবাদিকদের জন্য লজ্জার, যারা এই মিথ্যা গল্পগুলো লিখেছেন।
মোমেন বলেন, গত ২৬ অক্টোবর জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশের প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম আয়োজিত ‘জাতিসংঘের আঙিনায় শেখ হাসিনা’ বিষয়ক সেমিনারে বক্তব্য দেয়ার পর কিছু গণমাধ্যম তাকে ভুলভাবে উদ্ধৃত করেছিল।
পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (এমওএফএ) এক বিবৃতিতে জানায়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের বরাত দিয়ে বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন খবর যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ ও সরকারের কাছে ভুল বার্তা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: মোমেনকে ভুলভাবে উদ্ধৃত করা হয়েছে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
২ বছর আগে