পূর্ব আফ্রিকার দেশ কেনিয়ার মান্দা বে এয়ারফিল্ডের এই হামলা ছিল মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে আল-কায়েদা সমর্থিত গ্রুপের প্রথম আক্রমণ। তবে হামলার কয়েক ঘণ্টা পর নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে ‘স্বাভাবিক’ বলে অভিহিত করেছে সেনাবাহিনী।
এ ঘটনায় ৫ হামলাকারীও নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেনিয়ার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র পল জুজুনা।
প্রতিবেশী দেশ সোমালিয়া ভিত্তিক আল-শাবাব এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
ইউএস আফ্রিকা কমান্ড বা আফ্রিকম রবিবার এক বিৃতিতে জানিয়েছে, গোলাগুলিতে এক মার্কিন সেনা ও মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের দুই ঠিকাদার নিহত হয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ছোট অস্ত্র নিয়ে পরোক্ষভাবে এই হামলা চালানো হয় এবং ওই সামরিক ঘাঁটিতে হামলাকারীরা অনুপ্রবেশ করলে কেনিয়ার প্রতিরক্ষাবাহিনী এবং আফ্রিকম যৌথভাবে তা প্রতিরোধ করে। আফ্রিকান অংশীদারদের প্রশিক্ষণ প্রদান, সংকট মোকাবিলা করা এবং কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষার লক্ষ্যেই মান্দা বে এয়ারফিল্ড ব্যবহার করে মার্কিন বাহিনী।’
হামলায় কেনিয়ার ৯ সেনাসহ ১৭ জন হতাহত হয়েছেন এবং ৭টি বিমান ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে আল-শাবাব। তবে মার্কিন ও কেনিয়ার সেনাবাহিনী হামলাটি প্রতিরোধ করেছে উল্লেখ করে আল-শাবাবের এই দাবি অতিরঞ্জিত বলে তা প্রত্যাখ্যান করেছে আফ্রিকম।