সেই সাথে সাধারণ কোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশ্বজুড়ে থাকা মানুষদের মধ্যে একটি অংশগ্রহণভিত্তিক সমাজ গঠনের বিষয় নিয়ে ভাবনার সময় এসেছে বলে মনে করেন মালয়েশিয়ার এক বিশ্লেষক।
কুয়ালালামপুর ভিত্তিক থিংক ট্যাঙ্ক সেন্টার ফর নিউ ইনক্লুসিভ এশিয়ার সভাপতি কোহ কিং কি বলেন, ‘পারস্পারিক সংযুক্ত এ বিশ্বে মহামারি কোভিড-১৯ অনেক মানুষের জীবনধারাকে প্রভাবিত করেছে। কেননা, এর সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার বিধিনিষেধ জারি করেছে। সেই সাথে, ভিডিও কনফারেন্সিংসহ প্রযুক্তির মাধ্যমে দূরবর্তী শিক্ষণ পদ্ধতির ওপর জোর দিয়েছে।’
এ বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘মহামারিটি মানুষের জীবনযাত্রাকে বদলে দিয়েছে। তবে, আমি মনে করি না যে মানুষের কোনো ভাবেই যোগযোগ কম করছে। সরাসরি যোগাযোগ হয়ত কমেছে তবে, মানুষ ইন্টারনেটের মাধ্যমে সবসময় সংযুক্ত রয়েছে।’
শুক্রবার সিনহুয়াকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, ‘যদিও এটি মানুষের সাথে যোগাযোগের পথ কিছুটা বদলে দিচ্ছে, তবে আমি মনে করি না মানুষের সাথে মানুষের যোগাযোগ কমে যাবে।’
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এর হুমকির মোকাবিলা বিশ্বের মানুষদের আরও কাছে এনে দিয়েছে।
কোহ কিং কি বলেন, ‘সামাজিক দূরত্বের অর্থ এমন নয় যে আপনি অন্যদের থেকে আপনার মনকে দূর রাখবেন। প্রকৃতপক্ষে, মানুষ আরও বেশি সংযুক্ত রয়েছে। বন্ধুরা ভালো আছে কি না তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য তারা একজন আরেকজনকে বার্তা পাঠাচ্ছেন। যেমন বেইজিংয়ে থাকা আমার বন্ধুরা আমাকে একটি মাস্কের বাক্স পাঠিয়েছেন।’
বিশ্বায়নের বিষয় নিয়ে পুনর্বিবেচনা হবে, তবে আপনি মানুষের সাথে মানুষের যোগসূত্রটি ছিন্ন করতে পারবেন না, যোগ করেন তিনি।