সৌদি আরবে এখনও বসবাস করা খাসোগির এক ছেলের ক্ষমার ফলে মৃত্যুদণ্ড থেকে পাঁচজনের রক্ষা পাওয়ার পর আদালতের এ চূড়ান্ত রায় আসে। এর মাধ্যমে সৌদি আরবে ঘটনাটির ইতি ঘটল। তবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিষয়টির জের থেকেই যাচ্ছে। তুরস্কের ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরে ঘটে যাওয়া এ বর্বর হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সহযোগীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
সোমবার রিয়াদ অপরাধ আদালতের চূড়ান্ত রায় সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ঘোষণা করা হয়। তবে এতে দণ্ডপ্রাপ্ত আট সৌদি নাগরিকের নাম প্রকাশ করা হয়নি। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে সর্বোচ্চ ২০, একজনকে ১০ এবং বাকি দুজনকে সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত।
২০১৮ সালের ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অবস্থিত সৌদি কনস্যুলেটের ভেতর সৌদি যুবরাজের কট্টর সমালোচক জামাল খাসোগিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তার মরদেহ বা দেহাবশেষের চিহ্ণ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক বিশ্বের ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে সৌদি সরকার।
হত্যার ঘটনায় জাতিসংঘের তদন্তকারী অ্যাগনেস কোলামার্ড জানান, সৌদি এজেন্টদের ১৫ জনের একটি দল তুরস্কে উড়ে যান। তাদের মধ্যে ছিলেন ফরেনসিক চিকিৎসক, গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা এবং সৌদি যুবরাজের কার্যালয়ের জন্য সরাসরি কাজ করা ব্যক্তিবর্গ।
তুর্কি কর্মকর্তাদের দাবি, কনস্যুলেটের ভেতর খাসোগিকে হত্যার পর লাশ করাত দিয়ে কেটে টুকরো করে ফেলা হয়। তার দেহ আর কখনও পাওয়া যায়নি। তুরস্ক কনস্যুলেটের ভেতর থেকে পাওয়া হত্যার অডিও সিআইএ ও অন্যদের সরবরাহ করে।