রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আল-একবারিয়া এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, এ মামলায় আরও তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তবে সবাই এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন।
এ হত্যাকাণ্ডে সৌদি আরবের এজেন্টরা সরাসরি সম্পৃক্ত থাকায় আন্তর্জাতিক মহল সৌদি যুবরাজের কড়া সমালোচনা করে। যদিও সৌদি বরাবরই এ হত্যাকাণ্ডে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করে আসছে।
রাষ্ট্রীয় টিভি আরও জানিয়েছে, সৌদি অ্যাটর্নি জেনারেলের তদন্তে দেখা গেছে যে যুবরাজের সাবেক শীর্ষ উপদেষ্টা সৌদ আল-কাহতানি এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যদিও হত্যা অভিযানে আল-কাহতানির ভূমিকা ছিল বলে ধারণা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের।
আদালত এ ঘটনায় ইস্তাম্বুলে তৎকালীন সৌদি কনসোল-জেনারেল মোহাম্মদ আল-ওতাইবির কোনো দোষ পায়নি। রায় ঘোষণার পর তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় টিভি।
প্রতিবেদন আরও বলা হয়, আদালত নয়টি অধিবেশন শেষে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে খুনের জন্য যাদের দায়ী করা হয়েছে তাদের হত্যাকাণ্ড চালানো পূর্ব পরিকল্পনা ছিল না।
গোপনীয়তার মধ্যেই অভিযুক্তদের বিচারকার্য চালানো হয়েছে। যদিও তুরস্কের কয়েকজন কূটনীতিক এবং খাশোগির পরিবারের সদস্যদের বিচারের অধিবেশনগুলোতে অংশ নেয়া অনুমতি দেয়া হয়েছিল।
সাংবাদিক খাসোগির হত্যাকাণ্ড বিশ্বকে হতবাক করে দিয়েছিল। ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে ঘটনার ওই দিন সকালে তিনি ইস্তাম্বুলে তার দেশের কনস্যুলেটে গিয়েছিলেন কিছু নথি সংগ্রহ করার জন্য। সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের আগে সেখানে তার তুর্কি বান্ধবী হাতিস চেঙ্গিসকে বাইরে রেখে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার বান্ধবী সৌদি কনস্যুলেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকলেও খাশোগি সৌদি কনস্যুলেট থেকে আর বেরিয়ে আসেননি।