তিব্বতের কাছে হিমালয়ের উত্তরাঞ্চলীয় পাদদেশে ছয় দশমিক আট মাত্রার একটি ভূমিকম্পে ৯৫ জন নিহত হয়েছেন। প্রতিবেশী দেশ নেপাল, ভুটান ও ভারতের বিভিন্ন ভবনেও এই কম্পনের ঝাঁকুনি লেগেছে।
চীনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫ মিনিটে এই ভূমিকম্প হয়েছে। এটির উৎপত্তিস্থল এভারেস্ট অঞ্চলের উত্তর প্রবেশপথ টিংরি কাউন্টি, যা পর্বতারোহীদের জন্য জনপ্রিয় ও পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট থেকে আশি কিলোমিটার দূরে।
১০ কিলোমিটার গভীর থেকে ভূকম্পনটির উৎপত্তি হয়েছে বলে জানিয়েছে চীনা ভূমিকম্প নেটওয়ার্কস সেন্টার। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা বলছে, এটির মাত্রা ছিল সাত দশমিক এক শতাংশ।
চীনা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বলছে, এতে তিব্বতীয় অঞ্চলের অন্তত ৯৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১৩০ জন। তবে এর বাইরে এখন পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
ভারতীয় ও ইউরেসিয়ান টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় অংশ, নেপাল ও উত্তর ভারতে প্রায়ই ভূমিকম্প হচ্ছে।
পর্বতারোহীদের জন্য শীতকাল কোনো জনপ্রিয় মৌসুম না। নেপাল জানিয়েছে, তিব্বত সীমান্তের সাতটি পাহাড়ি জেলায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। কিন্তু কোনো প্রাণ কিংবা সম্পদহানির ঘটনা ঘটেনি।
আরও পড়ুন: তীব্র ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের ২০ কিলোমিটার ব্যাসের মধ্যে তিনটি শহর ও ২৭টি গ্রাম আছে। এগুলোর মোট লোকসংখ্যা ৬৯০০ জন।
শিগেইস বিভাগের টিংরি কাউন্টিতেই অধিকাংশ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। টিংরির চাংসুও শহরে টংলাই এলাকায় বহু ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। শিগেইস বিভাগের লোকসংখ্যা প্রায় আট লাখ।
শিগেইস বিভাগের কেন্দ্রীয় শহর শিগেইস তিব্বতের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর, এটি শিগাৎসি নামেও পরিচিত। লাসা থেকে ২৮০ কিলোমিটার দক্ষিণপমশ্চিমের এ শহরটি তিব্বতের দ্বিতীয় পবিত্রতম শহর এবং পাঞ্চেন লামার বাসস্থান। ভূমিকম্পে হিমালায় পর্বতমালার নিকটবর্তী এই শহরটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।