কারাবাসের অবশিষ্ট দিনগুলো গৃহবন্দি হয়ে কাটাতে মালয়েশিয়ার হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন দেশটির দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। তবে তার সেই আবেদন নাকচ করে দিয়েছে আদালত।
এ বছরের এপ্রিল মাসে হাইকোর্ট আবেদনটি করেন নাজিবের আইনজীবী।
আবেদনপত্রে বলা হয়, নাজিবের কাছে সুস্পষ্ট তথ্য রয়েছে যে, তৎকালীন রাজা সুলতান আবদুল্লাহ সুলতান আহমদ শাহ একটি ‘সংযোজন আদেশ’ জারি করেছিলেন, যাতে তাকে গৃহবন্দি অবস্থায় থেকে সাজা শেষ করার অনুমতি দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রীয় তহবিলের কয়েক বিলিয়ন ডলার তছরুপের দায়ে নাজিবকে ২০২২ সালে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিলিয়ন ডলার দুর্নীতির মামলায় নাজিব রাজাক দোষী সাব্যস্ত
তবে চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি বাদশাহ সুলতান আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে ক্ষমা বোর্ডের এক বৈঠকে তার সাজার মেয়াদ কমিয়ে ৬ বছর করা হয়। সেইসঙ্গে কমানো হয় জরিমানার পরিমাণও। ওই বৈঠকেই রাজা সংযোজন আদেশটি জারি করেন বলে দাবি নাজিবের।
বুধবার (৩ জুলাই) হাইকোর্টের রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে নাজিবের আইনজীবী মোহাম্মদ শফি আবদুল্লাহ বলেছেন, বিষয়টি হতাশাজনক। এই ধরনের আদেশের (সংযোজন) অস্তিত্ব আছে কি না, তা যাচাই করার জন্য সরকার কোনো আইনি পদক্ষেপই নেয়নি।
আদালতও বিষয়টি তুলেছে জানিয়েছে শফি আবদুল্লাহ বলেন, ‘সরকারের আইনগত কোনো দায়বদ্ধতা না থাকলেও নৈতিকতার দিক থেকে জবাবটি দেওয়া উচিৎ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আদালত।’
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে তারা আপিল করবেন বলে জানান তিনি।
আবেদনপত্রে মালয়েশিয়ার ক্ষমা বোর্ড, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেলসহ আরও চারজনের বিরুদ্ধে রাজার আদেশ গোপন করার অভিযোগ করেছেন নাজিব। রাজা সুলতান আবদুল্লাহর পাঁচ বছরের শাসনকাল শেষ হয় গত ৩১ জানুয়ারি।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির মামলা: নাজিবের ১২ বছরের সাজা বহাল
এ অভিযোগের পর কেউ তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া না জানালেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল বলেছেন, তিনি ক্ষমা বোর্ডের সদস্য নন। তাই এমন আদেশের বিষয়ে তার জানা নেই।
উল্লেখ্য, দুই বছর ধরে কারাবাস করছেন নাজিব রাজাক। ৬ বছর কমানোর ফলে তার সাজার মেয়াদ শেষ হবে ২০২৮ সালের ২৩ আগস্ট।