সাজা
৮ বছরের সাজা থেকে খালাস পেলেন বাবর
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে ৮ বছরের সাজা থেকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল মঞ্জুর করে বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার একক হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেন।
২০২১ সালের ১২ অক্টোবর বাবরকে ৫ বছর ও ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে রায় দেন বিশেষ জজ আদালত-৭-এর বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে ডাকাতির মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
সাজার রায়ের বিরুদ্ধে একই বছর আপিল করেন বাবর। এই আপিলের ওপর শুনানি শেষে বুধবার (২৩ অক্টোবর) রায় দেওয়া হলো।
বাবরের পক্ষে শুনানি করেন মোহাম্মদ শিশির মনির। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানিতে ছিলেন এ কে এম ফজলুল হক।
পরে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, ‘হাইকোর্ট বাবরের করা আপিল মঞ্জুর ও বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজার রায় বাতিল করে রায় দিয়েছেন। ফলে তিনি সাজা থেকে খালাস পেলেন। তার বিরুদ্ধে আরও ১৩টি মামলা রয়েছে। তাই তিনি এখনই কারামুক্তি পাচ্ছেন না।’
২০০৮ সালের ১৩ জানুয়ারি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বাবরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলাটি তদন্ত করে একই বছরের ১৬ জুলাই দুদক বাবরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। ২০০৮ সালের ১২ আগস্ট অভিযোগ গঠন করেন আদালত। বিএনপি সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর ২০০৭ সাল থেকে কারাগারে আছেন।
আরও পড়ুন: তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির ৪ মামলা হাইকোর্টে বাতিল
১ মাস আগে
নাজিবের গৃহবন্দি থেকে কারাভোগের আবেদন নাকচ
কারাবাসের অবশিষ্ট দিনগুলো গৃহবন্দি হয়ে কাটাতে মালয়েশিয়ার হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন দেশটির দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। তবে তার সেই আবেদন নাকচ করে দিয়েছে আদালত।
এ বছরের এপ্রিল মাসে হাইকোর্ট আবেদনটি করেন নাজিবের আইনজীবী।
আবেদনপত্রে বলা হয়, নাজিবের কাছে সুস্পষ্ট তথ্য রয়েছে যে, তৎকালীন রাজা সুলতান আবদুল্লাহ সুলতান আহমদ শাহ একটি ‘সংযোজন আদেশ’ জারি করেছিলেন, যাতে তাকে গৃহবন্দি অবস্থায় থেকে সাজা শেষ করার অনুমতি দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রীয় তহবিলের কয়েক বিলিয়ন ডলার তছরুপের দায়ে নাজিবকে ২০২২ সালে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিলিয়ন ডলার দুর্নীতির মামলায় নাজিব রাজাক দোষী সাব্যস্ত
তবে চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি বাদশাহ সুলতান আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে ক্ষমা বোর্ডের এক বৈঠকে তার সাজার মেয়াদ কমিয়ে ৬ বছর করা হয়। সেইসঙ্গে কমানো হয় জরিমানার পরিমাণও। ওই বৈঠকেই রাজা সংযোজন আদেশটি জারি করেন বলে দাবি নাজিবের।
বুধবার (৩ জুলাই) হাইকোর্টের রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে নাজিবের আইনজীবী মোহাম্মদ শফি আবদুল্লাহ বলেছেন, বিষয়টি হতাশাজনক। এই ধরনের আদেশের (সংযোজন) অস্তিত্ব আছে কি না, তা যাচাই করার জন্য সরকার কোনো আইনি পদক্ষেপই নেয়নি।
আদালতও বিষয়টি তুলেছে জানিয়েছে শফি আবদুল্লাহ বলেন, ‘সরকারের আইনগত কোনো দায়বদ্ধতা না থাকলেও নৈতিকতার দিক থেকে জবাবটি দেওয়া উচিৎ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আদালত।’
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে তারা আপিল করবেন বলে জানান তিনি।
আবেদনপত্রে মালয়েশিয়ার ক্ষমা বোর্ড, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেলসহ আরও চারজনের বিরুদ্ধে রাজার আদেশ গোপন করার অভিযোগ করেছেন নাজিব। রাজা সুলতান আবদুল্লাহর পাঁচ বছরের শাসনকাল শেষ হয় গত ৩১ জানুয়ারি।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির মামলা: নাজিবের ১২ বছরের সাজা বহাল
এ অভিযোগের পর কেউ তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া না জানালেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল বলেছেন, তিনি ক্ষমা বোর্ডের সদস্য নন। তাই এমন আদেশের বিষয়ে তার জানা নেই।
উল্লেখ্য, দুই বছর ধরে কারাবাস করছেন নাজিব রাজাক। ৬ বছর কমানোর ফলে তার সাজার মেয়াদ শেষ হবে ২০২৮ সালের ২৩ আগস্ট।
৫ মাস আগে
সাজার রায় শুনে আদালত থেকে পালাল আসামি, পরে গ্রেপ্তার
চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় পুলিশের হেফাজত থেকে সাইফুল করিম খান নামে এক দণ্ডিত আসামি পালিয়ে যাওয়ার দুই ঘণ্টার মাথায় গ্রেপ্তার হয়েছে।
রবিবার (২৮ জানুয়ারী) দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। সাইফুল করিম নগরীর হালিশহর থানাধীন রামপুর এলাকার বজলুল করিম খানের ছেলে।
আরও পড়ুন: বন্যপ্রাণী পাচার রোধে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে ভারত: পরিবেশমন্ত্রী
জানা গেছে, একটি চেকের মামলায় রবিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালত তাকে ছয় মাসের সাজা দেন। রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্ত আদালতে উপস্থিত ছিলেন৷ পরে আদালত থেকে কারাগারে নেওয়ার গাড়িতে তোলার সময় আসামি সাইফুল করিম পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যান।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) নিশান চাকমা বলেন, আসামিকে একটি মামলায় ছয় মাসের সাজা দেওয়া হয়। পরে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে ওই আসামি পালিয়ে যান। তবে আড়াই ঘণ্টার মাথায় নগরীর পাহাড়লী সাগরিকা এলাকা থেকে তাকে ফের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সিএমপির কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস. এম. ওবায়দুল হক বলেন, আদালত থেকে পালিয়েছিল সাইফুল। পালানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে পোষা প্রাণীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয়
কাঁসা, পিতল ও তামার তৈজসপত্র ব্যবহার কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত, বিজ্ঞান কী বলে?
১০ মাস আগে
এমন অপরাধে সাজা দেওয়া হয়েছে, যা আমি করিনি: ড. ইউনূস
শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তিনি যে অপরাধ করেননি তার জন্য তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ইউনূস সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এমন একটি অপরাধের জন্য শাস্তি পেয়েছি, যা আমি করিনি। ‘আপনি যদি এটিকে ন্যায়বিচার বলতে চান, আপনি বলতে পারেন।’
সোমবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকার শ্রম আদালত-৩ এই সাজার প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. ইউনূসের পাশাপাশি গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান এবং দুই পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে শ্রম আইনের ৩০৩ এর ৩ ধারায় ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে, অনাদায়ে আরও ১০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
একই আইনের ৩০৭ ধারায় তাদের সবাইকে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা।
গ্রামীণ টেলিকমের ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করা, শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল এ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে।
৮৪ পৃষ্ঠার রায়ে বিচারক বলেছেন, তাদের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
তবে রায়ে সাজা হলেও আপাতত জেলে যেতে হচ্ছে না গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউনূসসহ চারজনকে। পরে আপিলের শর্তে ড. ইউনূসসহ চারজনকে এক মাসের জামিন দিয়েছেন আদালত।
রায় শুনতে আদালতে অনেক বিশিষ্ট নাগরিক উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় ড. ইউনূসকে আদালত থেকে বাইরে নেওয়া হয়।
সে সময় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ড. ইউনূস বলেন, ‘আজ রায় ঘোষণা শুনতে আমার অনেক বিদেশি বন্ধু-বান্ধব এসেছেন, যাদের সঙ্গে বহুদিন দেখা হয়নি। আজ তাদের দেখে খুব আনন্দ লাগছিল।’আরও পড়ুন: রাশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ডের সভাপতি হলেন ড. ইউনূস
আজ দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে ড. ইউনূস ঢাকার প্রথম শ্রম আদালতে হাজির হন। আদালতে প্রবেশ করে এজলাসের পেছনের চেয়ারে বসে ছিলেন তিনি।
এ ছাড়া রায় শোনার জন্য অনেক বিশিষ্ট নাগরিক আদালতের এজলাসে হাজির হন। এরমধ্যে অন্যতম ছিলেন মানবাধিকারকর্মী আইরিন খান, সারা হোসেন, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুল।
আইরিন খান সাংবাদিকদের বলেন, ড. ইউনূসের সাজার রায়ে তিনি বিস্মিত। ‘তাঁকে (ড. ইউনূস) হয়রানি করার জন্যই এই সাজা দেওয়া হয়েছে।’
বিচারক দুপুর ২টার পরে আদালতের এজলাস গ্রহণ করেন। পরে বিচারক রায় পড়া শুরু করেন। বিচারক বলেন,৮৪ পৃষ্ঠার রায়ের মধ্যে সব পড়া সম্ভব নয়।
এরপরে তিনি বলেন, আজকে নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের বিচার হচ্ছে না। এখানে বিচার করা হচ্ছে গ্রামীন টেলিকমের চেয়ারম্যান হিসেবে। আমি শুধু জিস্টটা পড়ে শোনাচ্ছি।আরও পড়ুন: শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূসের ৬ মাসের কারাদণ্ড
বিচারক রায় পড়ার সময় ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার মামুন অনেকবার বিচারককে বলেন, তাদের বক্তব্য রায়ে আনা হয়নি। এতে আদালতের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।
বিচারক তার পর্যবেক্ষণে বলেন, ড. ইউনূসের মামলায় চারজন সাক্ষী দিয়েছেন। মামলার বাদী কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান কর্তৃক মামলা দায়েরে কোনো ত্রুটি হয়নি। এ ছাড়া মামলা দায়েরে কোনো বিলম্ব হয়নি। তিনি যথাসময়ে এই মামলা দায়ের করেছেন।
বিচারক রায়ে আরও বলেন, ‘এ মামলায় আরও অন্য পরিচালক রয়েছে, যাদের আসামি করা হয়নি এমন বক্তব্য আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেছেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী আরও বলেছেন শুধু ড. ইউনূসের ঘনিষ্ঠজনদের এ মামলায় আসামি করা হয়েছে, যা সত্য নয়। কারণ, বার্ডেন অব প্রুফ অর্থাৎ প্রমাণের দায়িত্ব আসামির ওপরে বর্তায়। এসব কারণে আদালতের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে, শ্রম আইন লঙ্ঘন হয়েছে।’
মামলায় অভিযোগে বলা হয়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তারা শ্রম আইনের লঙ্ঘনের বিষয়ে জানতে পারেন। এর মধ্যে ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তাদের স্থায়ী করা হয়নি। শ্রমিকদের অংশগ্রহণের তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশের পাঁচ শতাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি।আরও পড়ুন: শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূসের ৬ মাসের কারাদণ্ড
এর আগে গত ২২ আগস্ট এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গত ৮ নভেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য দেন আসামিরা।
গত ৮ মে মামলা বাতিলের আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে ড. ইউনূসের লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।
এরপর ৬ জুন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
এ মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজন বিবাদীর আত্মপক্ষ সমর্থনে লিখিত বক্তব্য জমা দেওয়া হয় আদালতে। সেখানে বলা হয় গ্রামীণ টেলিকম যেসব ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে সেগুলো চুক্তিভিত্তিক। নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে তা নবায়নের মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়।
গ্রামীণ টেলিকমের প্রকল্প নোকিয়া কেয়ার ও পল্লীফোনের কার্যক্রম তিন বছরের চুক্তি অনুযায়ী পরিচালিত হয়। মেয়াদ শেষে তা নবায়ন হয়। যেহেতু গ্রামীণ টেলিকমের কার্যক্রম চুক্তির ভিত্তিতে পরিচালিত তাই সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:শর্তসাপেক্ষে জামিন পেলেন ড. ইউনূস
১১ মাস আগে
জহির হত্যা: কথিত প্রেমিকসহ স্ত্রীর সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন
কুমিল্লার বুড়িচংয়ের কাপ্তান বাজার এলাকায় রেস্টুরেন্ট কর্মচারী জহির মিয়া হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত স্ত্রী ও তার কথিত প্রেমিকের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের শুনানি করে রবিবার বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি কে এম ইমরুল কায়েশের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ড থেকে যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন-জহির মিয়ার স্ত্রী শিরিন আক্তার ও তার প্রেমিক দুলাল চন্দ্র ভট্টাচার্য্য।
আাদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান জামান। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. জাহেদুল আলম।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান জামান জানান, আসামিদের কারাভোগ ও বয়স বিবেচনায় তাদের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভাইকে খুনের দায়ে ভাইয়ের যাবজ্জীবন
এর আগে গত ২৬ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা নগরীর কাপ্তান বাজার এলাকায় রেস্টুরেন্ট কর্মচারী জহির মিয়া হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত স্ত্রীসহ কথিত প্রেমিকের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০টায় জহির মিয়াকে হত্যা করা হয়। এরপর জহির মিয়ার বড় ভাই বাদী হয়ে শিরিন আক্তারসহ অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনকে আসামি করে কুমিল্লা আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে আদালতের নির্দেশে কবর থেকে জহিরের লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। তদন্ত শেষে জহির মিয়ার স্ত্রী শিরিন আক্তার এবং তার কথিত প্রেমিক দুলাল চন্দ্র ভট্টাচার্য্যের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।
বিচার শেষে ২০১৭ সালের ২১ মার্চ কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক এম আলী আহমেদ ওই দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন।
আরও পড়ুন: সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, ৯ জনের যাবজ্জীবন
হত্যা মামলায় ৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
২ বছর আগে
কক্সবাজারে বহিষ্কৃত সাত ডিবি পুলিশের ৭ বছরের সাজা
কক্সবাজারের টেকনাফের ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় মামলায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বহিষ্কৃত ৭ সদস্যকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, এসআই মনিরুজ্জামান (৩৫), এসআই আবুল কালাম আজাদ (৩৯), এএসআই গোলাম মোস্তফা (৩৬), এএসআই ফিরোজ আহমদ (৩৪), এএসআই আলাউদ্দিন (৩২), কনস্টেবল মোস্তফা আজল (৫২) ও কনস্টেবল মো. আল আমিন (২৬)।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ব্যবসায়ী অপহরণ: ডিবির বহিস্কৃত ৭ সদস্য ফের কারাগারে
এর আগে সকাল ১১টায় রায় পড়া শুরু করেন বিচারক। পরবর্তীতে বেলা ১২টার দিকে রায় ঘোষণা করেন বিচারক। একই সাথে তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, 'অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এ রায় দেন। বিচারক ৩৬৫ ধারায় ৫ বছর এবং ৩৮৬ ধারায় ৭ বছর কারাদণ্ড দেন। উভয় সাজা এক সাথে ভোগ করতে হবে। ফলে সাজা ৭ বছর বলে গণ্য হবে।'
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর কক্সবাজারের টেকনাফের ব্যবসায়ী আবদুল গফুরকে অপহরণ করে ১৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল দণ্ডপ্রাপ্তরা। ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সড়কে একটি মাইক্রোবাসে তল্লাশি চালিয়ে মুক্তিপণের ১৭ লাখ টাকাসহ ডিবির ৬ সদস্যকে আটক করে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। গাড়ির গ্লাস ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার পর জড়িত অন্য এক জনকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ডিবির ৭ জনকে আসামি করে টেকনাফ থানায় অপহরণ ও চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে মামলা করেন সেই ব্যবসায়ী গফুর আলম। ২৬ অক্টোবর কক্সবাজারের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেন অভিযুক্ত সবাইকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ডিবি পরিচয়ে ৮ লাখ টাকা ছিনতাই, গ্রেপ্তার ৬
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম বলেন, ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর কক্সবাজার শহরের থানার পেছনের রোড থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সাদাপোশাকধারী ব্যক্তিরা টেকনাফের ব্যবসায়ী আবদুল গফুরকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান। এরপর ‘ক্রসফায়ারে’ মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তার স্বজনদের কাছে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। দেন-দরবারের পর ১৭ লাখ টাকা দিতে রাজি হয় ব্যবসায়ীর পরিবার। টাকা পৌঁছে দেয়া হলে পরদিন ভোররাতে আবদুল গফুরকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভে ছেড়ে দেয়া হয়।
তিনি আরও জানান, ঘটনার প্রায় ১০ মাসের মাথায় ২০১৮ সালের আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ডিবির ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গত ৫ সেপ্টেম্বর মামলাটির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে জামিনে থাকা ডিবি পুলিশের ৭ সদস্যের জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণ করেন বিচারক এবং মামলার রায়ের জন্য ২০ সেপ্টেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেন কক্সবাজার জেলা দায়রা ও জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল।
আরও পড়ুন: ডিবি পরিচয়ে ছিনতাই: ২ মাস পর প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
২ বছর আগে
চট্টগ্রামে ১২ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত স্বামী-স্ত্রী গ্রেপ্তার
ডেভেলপার ব্যবসার নামে ১২ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করায় চেক প্রতারণা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত স্বামী-স্ত্রী দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) আকবরশাহ থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- পোর্ট সিটি বিল্ডার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মুহিব খান ও তার স্ত্রী দিলশাদ বেগম।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলার সীতাকুণ্ড থানার শীতলপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জহির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, তারা সাতটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে যুবকের ওপর এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১
গ্রেপ্তার মো. মুহিব খান আকবর শাহ এলাকার পূর্ব ফিরোজ শাহ কলোনির মুজিব খানের ছেলে ও দিলশাদ বেগম তার স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, মুহিব খান ও তার স্ত্রী আবাসনের ব্যবসা করতেন। ব্যবসায় প্লট বা ফ্ল্যাট নির্মাণের জন্য ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড থেকে ১২ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন কিস্তিতে ঋণের টাকা পরিশোধ না করায় চেকের বিপরীতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা দায়ের করে। পরে আদালত দু’জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন। তারা ব্যাংকের টাকা পরিশোধ না করে বেশ কিছুদিন ধরে আত্মগোপনে ছিলেন।
পুলিশ আরও জানায়, মুহিব খানের ছয়টি সাজা পরোয়ানার মধ্যে দু’টি সাজা পরোয়ানায় এক বছর ১০ মাস এবং ২৩ লাখ ৫২ টাকা জরিমানার কথা উল্লেখ আছে। এছাড়া দিলশাদ বেগমের দু’টি সাজা পরোয়ানায় এক বছর ১০ মাসের সাজার কথা উল্লেখ আছে। দু’জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: অন্তঃসত্ত্বা নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে অটোরিকশা চালক গ্রেপ্তার
পরকীয়ার জেরে স্বামী গুম, ৮ বছর পর প্রেমিক গ্রেপ্তার
২ বছর আগে
বিএনপি নেতাদের সাজা দিতে সেল গঠন করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, সরকার আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে ‘মিথ্যা’ মামলায় সারাদেশে তাদের সম্মুখ সারির নেতাদের সাজা দিতে একটি সেল গঠন করেছে।
শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় ফখরুল বলেন, সরকার ২০১৪ সালের মতো একতরফা নির্বাচন করতে পুলিশ, বিচার বিভাগ ও রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘২০১৩ সালে মুগদা থানায় দায়ের করা একটি মিথ্যা ও কাল্পনিক মামলায় আমাদের সাত নেতাকর্মীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এটা সারা দেশেই হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার বিভিন্ন জেলায় বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের তালিকা তৈরি করেছে বলে শুনেছি। সামনের সারির নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য একটি সেল গঠন করা হয়েছে।
ফখরুল বলেন, মুগদা থানার একটি ‘বানোয়াট’ মামলায় বিএনপির সাত নেতার সাজা প্রমাণ করেছে যে বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না।
আরও পড়ুন: নিজেদের ‘অপকর্ম’ থেকে বাঁচতে সরকার বিদেশিদের খুশি করার চেষ্টা করছে: বিএনপি
তিনি অভিযোগ করেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, হয়রানি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের শেষ করার জন্য সরকার আবারও পুরনো ধারা অনুসরণ শুরু করেছে।
ফখরুল বলেন, ‘এটি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং গণতন্ত্রের বিরুদ্ধেও অপরাধ। ’
বিএনপি নেতা বলেন, সরকার বাম দলগুলোর মতো অন্যান্য বিরোধী দলকেও দমন করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘তারা (সরকার) ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও নির্বাচনের মাঠ ফাঁকা করার চেষ্টা করছে।’
এসময় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে লিফলেট বিতরণকালে রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থেকে তাদের দলের নেতা ইশরাক হোসেনকে ‘মিথ্যা’ মামলায় গ্রেপ্তারের নিন্দা জানান ফখরুল।
তিনি বলেন, ইশরাককে গ্রেপ্তার করে ঢাকার আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন, টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও গুলি চালায়।
ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বললেও সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নির্মূল করার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে: বিএনপি
তিনি বলেন, নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আলোচনা করছেন এবং বিভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, এগুলো সবই ক্ষমতাসীন দলের আরেকটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের এবং অতীতের মতো এর ফলাফল হেরফের করার নাটকের অংশ।
ফখরুল বলেন, আগামী নির্বাচনে কারচুপির জন্য ক্ষমতাসীন দল নতুন কৌশল নিয়ে আসবে।
তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন গত নির্বাচনের মতো ভোটের আগের রাতে নাও হতে পারে। এবার ভোটের সাত দিন আগে অনুষ্ঠিত হতে পারে।’
তিনি বিএনপি ও এর নেতাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়ার জন্য পুলিশের মহাপরিদর্শক ও ডিএমপি কমিশনারের সমালোচনা করে বলেন, ‘প্রজাতন্ত্রের দাসেরা যেভাবে কথা বলে, তা আমাদের ধারণা দেয় যে আমরা একটি সভ্য দেশে বাস করছি না।’
আরও পড়ুন: রমজানেও মানুষ অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে: মির্জা ফখরুল
২ বছর আগে
রাজধানীতে সাজাপ্রাপ্ত হুজিবি সদস্য গ্রেপ্তার
ঢাকার উত্তরা থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশ (হুজিবি)-এর সাজাপ্রাপ্ত এক পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার শরিফুজ্জামান ওরফে মিন্টু ওরফে ওবায়দুল্লাহ ওরফে মাহি শরিফ (৩৫) রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার মেহেরচন্ডী গ্রামের সাহাদাৎ হোসেনের ছেলে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এটিইউর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি-মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস) ওয়াহিদা পারভীন বলেন, ২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর আশুলিয়ার বাইপাইল রোডে অভিযান চালিয়ে হুজিবির সংগঠক খলিলুর রহমান শাহরিয়ার (৩২), মো. আ.কাদের মুয়াক্ষের (৫০),শরিফুজ্জামান ওরফে মিন্টু ওরফে ওবায়দুল্লাহ ওরফে মাহি শরিফ এবং মো. মাকছুদুর রহমানকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ গুলি, অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: নীলফামারীতে ‘জঙ্গি আস্তানা’ থেকে আটক ৫
পুলিশ সুপার জানান, গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে খলিলুর রহমান শাহরিয়ার হুজিবি’র পলাতক কেন্দ্রীয় নেতা ও হুজিবির পরিবর্তিত সংগঠন তামিরুত-আত-দ্বীন এর প্রধান সংগঠক ছিলেন। এটিইউ এর হাতে গ্রেপ্তার আসামি শরিফুজ্জামান হুজিবির পরিবর্তিত সংগঠনে অর্থ সম্পাদক হিসেবে কাজ করতো। জব্দকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে তাদের সংগঠকদের মধ্যে বিতরণ ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ পরিচালনার জন্য এনেছিল। এসময় তুরাগ থানায় তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইন ও অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়।
তিনি জানান, আসামিদের মধ্যে শরিফুজ্জামান আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে পলাতক হয়ে দীর্ঘদিন রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানাধীন এলাকায় আত্মগোপনে ছিল। বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় আদালত তাকে ১০ বছর ৬ মাস কারাদণ্ড দেয়।
তিনি আরও জানান, পলাতক অবস্থায় তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ সম্পন্ন করে এবং ফ্রি-ল্যান্সিং করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল।
গ্রেপ্তার সাজাপ্রাপ্ত আসামি শরিফুজ্জামানকে তুরাগ থানার মামলায় আদালতে সোপর্দ করার কাজ প্রক্রিয়াধীন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: শীর্ষ জঙ্গি সালেহীনের ফাঁসি বহাল
রাজধানীতে র্যাবের অভিযানে ‘জঙ্গি’ আটক
২ বছর আগে
বিএনপির এমপি হারুনের ৫ বছরের সাজা বহাল
শুল্কমুক্ত আমদানি সুবিধার অপব্যবহারের অভিযোগে নিম্ন আদালতের দেয়া পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখতে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন-উর রশিদ হারুনের আপিল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. সেলিমের একক বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এ মামলায় তিনি যতদিন কারাভোগ করেছেন ততদিনের সাজা হিসেব করে তার আপিল খারিজ করা হয়েছে। ফলে তার এখন আর বাকি সাজা ভোগ করতে হবে না।
এ মামলায় অন্য দুই আসামি ব্যবসায়ী এনায়েতুর রহমান ও গাড়ি ব্যবসায়ী ইশতিয়াক সাদেকের ক্ষেত্রেও হাইকোর্ট একই রায় দিয়েছেন।
হাইকোর্ট বলেছেন, বিচারিক আদালতের দেয়া সাজার আদেশ সংশোধনপূর্বক তিনজনের আপিল খারিজ করা হলো। বিচারিক আদালতের দেয়া সাজা কমিয়ে তাদের সাজা কারাভোগের মেয়াদ পর্যন্ত করা হলো।
আরও পড়ুন: এমপি হারুনের জামিন আটকাতে দুদকের আবেদনও খারিজ
আইনজীবীরা জানান,এ আদেশের ফলে এমপি হারুন ও মামলার অপর দুই আসামি ব্যবসায়ী এনায়েতুর রহমান এবং গাড়ি ব্যবসায়ী ইশতিয়াক সাদেককে নতুন করে আর জেলে যেতে হবে না।
হারুনের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘এ রায়ে আমরা সংক্ষুব্ধ। এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করা হবে। তবে এ রায়ের কারণে এমপি হারুনের সংসদ সদস্য পদ যাবে না। কারণ হাইকোর্ট তাকে কারাভোগের মেয়াদ পর্যন্ত সাজা দিয়েছেন। এমপি হারুন মোট ১৬ মাস কারাভোগ করেছেন। অর্থাৎ হাইকোর্ট তাকে এই কারাভোগের ১৬ মাস সাজা দিয়েছেন। কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী কারও সংসদ সদস্য পদ যেতে হলে কমপক্ষে দুই বছর কারাদণ্ড হতে হয়।’
এ ব্যাপারে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান,আজকে হাইকোর্ট যে রায় দিল সেখানে বিচারিক আদালতের রায়টা বহাল হয়ে গেল। তবে এ রায়ের কারণে তিন আসামিকে কারাগারে যেতে হবে না।
তবে দণ্ড বহাল থাকায় তার সংসদ সদস্য পদ থাকে না বলে দাবি করে তিনি বলেন,‘এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত।’
আরও পড়ুন: এমপি হারুনের জামিন স্থগিত চেয়ে দুদকের আবেদন
২০০৫ সালের ১৯ এপ্রিল হারুন অর রশিদ ব্রিটেন থেকে আমদানি করা হামার ব্র্যান্ডের একটি শুল্কমুক্ত গাড়ি এমপি কোটায় আমদানি করেন। পরে ১৫০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের অঙ্গীকারনামা ভঙ্গ করে শুল্ক বাবদ সরকারের ৮৭ লাখ ৭১ হাজার ৬১২ টাকা ফাঁকি দিয়ে স্কাই অটোসের মালিক ইশতিয়াক সাদেকের মাধ্যমে তিনি গাড়ি এনায়েতুর রহমান বাপ্পীর কাছে বিক্রি করেন। এতে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়। তবে তিনি নিজে আর্থিকভাবে লাভবান হন।
শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি আমদানি করে তা বেআইনিভাবে বিক্রির অভিযোগে এমপি হারুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলা হয়।
২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর বিচার শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ মামলায় রায় দেন। রায়ে এ মামলার তিন আসামির মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে এমপি হারুনের আপিল
৩ বছর আগে