সহিংসতার আশঙ্কা নিয়েই শুরু হলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। মঙ্গলবার সকালে আনুষ্ঠানিক ভোট শুরু করেন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ছোট্ট শহর নিউ হ্যাম্পশায়ারের ডিক্সভিল নচের ভোটাররা।
এর আগে কয়েক দশকের ঐতিহ্য অনুসরণ করে মধ্যরাতে ভোট দেন শহরটির ছয়জন নিবন্ধিত ভোটার।
সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় বাড়তি নিরাপত্তার মধ্যে মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশের অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রে চলবে ভোটগ্রহণ।
এরই মধ্যে দেশজুড়ে লাখ লাখ ভোটার ব্যক্তিগতভাবে বা ডাকযোগে অগ্রিম ভোটদানের মাধ্যমে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন।
সোমবার রাত পর্যন্ত ৮২ মিলিয়নেরও বেশি ভোটার অগ্রিম ভোট দিয়েছেন বলে জানিয়েছে ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকশন ল্যাব।
এই নির্বাচনকে আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বিভেদ সৃষ্টিকারী নির্বাচন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প দুজনেই বারবার সতর্ক করে বলেছেন, অন্যজন নির্বাচিত হলে দেশটির সম্ভাব্য বিপর্যয়কর পরিণতি ভোগ করতে হবে। অর্থনীতি, অভিবাসন ও গর্ভপাতের অধিকারের মতো মূল বিষয়গুলোতে ভোটাররা ভিন্ন ভিন্ন মত ধারণ করেন।
আমেরিকান সাইকোলজিকাল অ্যাসোসিয়েশনের একটি বার্ষিক জরিপে দেখা যায়, ৭৭ শতাংশ মার্কিন প্রাপ্তবয়স্ক বলেন জাতির ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা তাদের জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। অন্যদিকে ৭৪ শতাংশ জানান নির্বাচনের ফলাফল সহিংসতা নিয়ে আসতে পারে বলে উদ্বিগ্ন তারা।
ডিক্সভিল নচে মধ্যরাতে ভোটের ঐতিহ্য ধরে রাখতে নিবন্ধিত ছয় ভোটারের একজন অ্যানমারি পিন্টাল। তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে যিনিই জিতুন না কেন তিনি এই প্রাপ্তি সুন্দরভাবে গ্রহণ করবেন এবং যিনি হারবেন তিনিও নমনীয়ভাবে বিষয়টি মেনে নেবেন।’
শহরটির আরেক ভোটার স্কট ম্যাক্সওয়েল বলেন, ‘আমরা ঐক্য চাই। আমাদের নিজেদের মধ্যেকার মতপার্থক্যগুলো সরিয়ে রেখে এই বিষয়ে একত্রিত থাকা উচিত।’