দ্বিতীয়বারের মতো বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা সংকীর্ণ হয়ে যাওয়ায় ট্রাম্প একাধিক টুইটে নির্বাচনে অনিয়মের অসমর্থিত অভিযোগ তুলেছেন। সেই সাথে নির্বাচনের দিন ও আগে দেয়া ভোট গণনার কাজ বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন।
ভোটের দিনের পর প্রথম জনসম্মুখে এসে তিনি নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র তত্ত্বকে আরও জোরালো করে তুলে ধরেছেন।
তিনি প্রতিপক্ষ ডেমোক্র্যাটদের উদ্দেশ করে বলেন, ‘তারা নির্বাচন চুরির চেষ্টা করছে, তারা নির্বাচনে জালিয়াতির চেষ্টা করছে।’
তিনি প্রমাণ ছাড়াই ডেমোক্র্যাটদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও তুলেন।
ট্রাম্প ২০১৬ সালেও প্রচারণার সময় নির্বাচনের বিশুদ্ধতা নিয়ে একই অভিযোগ এনেছিলেন। যদিও তিনি তখন জয়লাভ করেছিলেন। এবার তিনি আর সাধারণ কোনো প্রার্থী হিসেবে নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট হিসেবেই এসব কথা বলছেন।
অন্যদিকে, নির্বাচিত হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকা জো বাইডেন হাঁটছেন ভিন্ন পথে। সাংবাদিকদের সাথে সংক্ষিত আলাপে তিনি বলেছেন, সব ভোট গণনা করা উচিত।
‘আমি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। (নির্বাচনের) প্রক্রিয়াটি সক্রিয় রয়েছে। এটি হলো ভোটারদের ইচ্ছা। আর কেউ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে না,’ বলেন বাইডেন।
মিশিগান ও উইসকনসিনে পাওয়া জয় বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে চালকের আসনে বসিয়ে দিয়েছে। কিন্তু ট্রাম্পের মাঝে হাল ছেড়ে দেয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। কে পরিষ্কারভাবে জয়ী হতে যাচ্ছেন তার জন্য ভোট গণনা শেষ করতে আরও কয়েক দিন লাগতে পারে।
এখনও লাখ লাখ ভোট গণনা বাকি থাকলেও বাইডেন ইতোমধ্যে ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৭ কোটি ২০ লাখের বেশি ভোট পেয়ে গেছেন।