এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ন্যায্যতা, উদীয়মান মহামারি মোকাবিলা এবং জাতিগত বিচারসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে মঙ্গলবার ফ্লোরিডায় জোর প্রচারণা চালান ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন।
এদিকে বাইডেন তার সমর্থকদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘প্রতিটি ভোট, প্রতিটি ব্যালট গণনা না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন শেষ হবে না।’
তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনে কে জিতেছে তা ঘোষণা করার জায়গা আমার বা ডোনাল্ড ট্রাম্পের নয়। এটি যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের সিদ্ধান্ত।’
আরও পড়ুন: মার্কিন নির্বাচন: ব্যাটলগ্রাউন্ডগুলোতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস
ওহিও, পেনসিলভানিয়া, জর্জিয়া এবং টেক্সাসের কয়েকটি কাউন্টিতে ভোটিং মেশিন বা সফ্টওয়্যার নষ্ট হয়েছে বলে আইওয়া এবং মিশিগানের ভোটারদের মিথ্যা তথ্য সরবরাহের ঘটনা, সঙ্গত কারণে কিছু ভোট কেন্দ্র দেরিতে খোলাসহ এ ধরনের বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ছাড়া মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বড় কোনো সমস্যা দেখা দেয়নি বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
দেশটির হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের সাইবারসিকিউরিটি এজেন্সি জানিয়েছে, নির্বাচনে নেতিবাচক কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এপি’র জাতীয় একটি জরিপ অনুযায়ী, করোনাভাইরাস সংক্রমণ নতুন করে বেড়ে যাওয়ায় ট্রাম্প এবং বাইডেনের মধ্যে প্রতিযোগিতায় ভোটাররা মহামারি এবং অর্থনীতিকে শীর্ষ উদ্বেগ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
এদিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ফ্লোরিডায় জয়ের পাশাপাশি টেক্সাস, জার্জিয়া, পেনসিলভানিয়া, ওহিও, নর্থ ক্যারোলিনার মতো রাজ্যেও এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প। জো বাইডেন এগিয়ে রয়েছেন এরিজোনা, আইওয়া, মিনিসোটা, মেইন ও অন্য কয়েকটি রাজ্যে।
ইলেক্টোরাল ভোটে পিছিয়ে থাকলেও পপুলার ভোটে এখনও এগিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ইলেক্টোরাল ভোটে এবং এর জন্য প্রয়োজন হয় ২৭০ ইলেক্টোরাল ভোট।
উল্লেখ্য, এবার রেকর্ড সংখ্যক আগাম ভোট পড়ায় অনেক রাজ্যে ভোট গণনা শেষ হতে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বেশি সময় লাগতে পারে।