দুর্নীতির মামলা
দুর্নীতির মামলায় জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি কাদের খানের ৪ বছরের কারাদণ্ড
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের মামলায় গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য কর্নেল (অব.) আবদুল কাদের খানকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে তাকে ৬১ লাখ ৯২ হাজার ৭৯১ টাকা জরিমানা করা হয়েছে, যা রাষ্ট্রপক্ষ আদায় করবে।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কৃষি জমি থেকে মাটি কাটায় ২ যুবককে কারাদণ্ড, ভেকু মেশিন ও ২টি ট্রাক জব্দ
২০১৯ সালের ২৬ মে রমনা থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, জাতীয় পার্টির সাবেক এই সংসদ সদস্য (এমপি) ২৪ লাখ ৪২ হাজার ৭৭০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক নূর আলম গত বছরের ১০ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলায় ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে কাদের খানের অবৈধ সম্পদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ফেনসিডিল বহনের দায়ে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
৮ মাস আগে
সম্রাটের জামিন বাতিলের আদেশ আপিল বিভাগে বহাল
দুর্নীতির মামলায় জামিন বাতিল করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশের বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
বুধবার (১০ আগস্ট) বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর ফলে ইসমাইল হোসেন সম্রাটকে কারাগারে থাকতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
আদালতে সম্রাটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, বিচারিক আদালত তাকে জামিন দিয়েছিলেন। সেই জামিনাদেশের বিরুদ্ধে দুদক হাইকোর্টে আবেদন করেছিল। দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট তার জামিন বাতিল করেছিলেন। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ইসমাইল হোসেন সম্রাট আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করেছিলেন। যে আবেদন আজ খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১৮ মে হাইকোর্ট তার জামিন বাতিল করেন।
একইসঙ্গে তাকে সাত দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেন।
এ জামিন বাতিলের বিরুদ্ধে সম্রাট আপিল বিভাগে আবেদন করেন।
এদিকে ২৪ মে তিনি বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করলে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
গত ১১ মে অবৈধ সম্পদের মামলায় সম্রাটের পক্ষে করা জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান।
চারটি মামলার মধ্যে তিনটিতে আগেই জামিন পেয়েছিলেন সম্রাট। ফলে তার মুক্তিতে আর কোনো বাধা ছিল না।
২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সম্রাট বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। অভিযোগ আছে তিনি মতিঝিল ও ফকিরাপুল এলাকায় ১৭টি ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং সেগুলোতে লোক বসিয়ে মোটা অংকের কমিশন নিতেন। অনেক সময় ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনো ব্যবসা পরিচালনা করতেন।
তিনি অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়ে ঢাকার গুলশান, ধানমন্ডি ও উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট কিনেছেন ও বাড়ি নির্মাণ করেছেন। এছাড়া তার সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই ও যুক্তরাষ্ট্রে নামে-বেনামে এক হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে।
মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর সম্রাটকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাকে বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডে নেয়া হয়।
পড়ুন: দুদকের মামলায় ফের কারাগারে সম্রাট
সম্রাটের জামিন বাতিলের আদেশ স্থগিত করেননি চেম্বার আদালত
২ বছর আগে
সাবেক ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ হাইকোর্টের
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের হাইকোর্ট বেঞ্চ ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের প্রতি এ নির্দেশ দিয়েছেন।
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের মামলায় মিজানুরের জামিন আবেদনও খারিজ করে দেন আদালত।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাহবুব শফিক। দুর্নীতি দমন কমিশন -দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
পরে আইনজীবী মাহবুব শফিক বলেন, গত এপ্রিলে এ মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। তখন ওই আবেদনে বিরোধিতা করে শুনানিতে দুদক বলেছিল সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে থাকা মামলাটির বিচারকাজ তিন মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। ২৬ এপ্রিল আদালত আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু মামলাটির বিচারকাজ শেষ না হওয়ায় গত সপ্তাহে আবারও জামিনের আবেদন করা হয়। আদালত জামিন না দিয়ে মামলাটির বিচারকাজ ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন।
তিন কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তিন কোটি সাত লাখ পাঁচ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে গত বছর ২৪ জুন মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় ডিআইজি মিজান ছাড়া আসামি করা হয়- তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না ওরফে রত্না রহমান, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানকে। মাহমুদুল রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় উপ পরিরদর্শক (এসআই) ছিলেন। ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আসিফুজ্জামান এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি মিজানুর রহমান তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানের নামে ২৪ লাখ ২১ হাজার ২২৫ টাকায় গুলশান-১ এর পুলিশ প্লাজা কনকর্ডে ২১১ বর্গফুট আয়তনের একটি দোকান বরাদ্দ নেয়। মিজানুর রহমান নিজে নমিনি হয়ে ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানের নামে ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর একটি ব্যাংকে এফডিআর অ্যাকাউন্ট করে ৩০ লাখ টাকা জমা করেন। তবে দুদক অনুসন্ধান শুরু করলে সে টাকা ভাঙিয়ে সুদে আসলে ৩৮ লাখ ৮৮ হাজার ৫৭ টাকা তুলে ফেলেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলায় সাবেক ডিআইজি মিজানের জামিন আবেদন খারিজ
অভিযোগে আরও বলা হয়, মিজানুর রহমান তার স্ত্রী রত্না ২০১১ সালে কাকরাইলে এক হাজার ৭৭৬ বর্গফুটের একটি বাণিজ্যিক ফ্ল্যাট কিনে চুক্তিনামা করে বিভিন্ন সময় এক কোটি ৭৭ লাখ ৯৬ হাজার ৩৫০ টাকা নির্মাণ কোম্পানিকে পরিশোধ করেন। পরে ২০১৬ সালে ফ্ল্যাটটি ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানের নামে দলিল রেজিস্ট্রি করেন। এ মামলায় মিজান গত বছরের ১ জুলাই হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করলে তা নাকচ হয় এবং হাইকোর্ট তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। এরপর ৪ জুলাই তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানকেও জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এক নারীকে জোর করে বিয়ের পর নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠায় ২০১৯ সালে জানুয়ারিতে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয় মিজানুর রহমানকে। তার বৈধ সম্পদের অনুসন্ধান চলার মধ্যেই দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে ঘুষ দেয়ার অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই আরেকটি মামলা হয়। চলতি বছর ২৩ ফেব্রুয়ারি এ মামলা রায়ে ডিআইজ মিজানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট আপিল করার পর গত ১৩ এপ্রিল দুই মাসের জামিন পান তিনি। পরে জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়।
আরও পড়ুন: ডিআইজি মিজানের দণ্ড বাড়াতে হাইকোর্টের রুল, আপিলে জামিন বহাল
২ বছর আগে
বরিশালে দুর্নীতির মামলায় বিদ্যুৎ বিভাগের ২ প্রকৌশলীর কারাদণ্ড
দুর্নীতির মামলায় পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) খুলনা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীসহ দুই প্রকৌশলীর পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং ৩৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছে বরিশালের একটি আদালত।
মঙ্গলবার বরিশালের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মেহেদি আল মাসুদ আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
একই মামলায় আরও একজনকে খালাস দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে মাদক ও অস্ত্র মামলায় ২ জনের কারাদণ্ড
দণ্ডিতরা হলেন- তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া গ্রামের সত্য নারায়ন ভূঁয়ার ছেলে লক্ষ্মী নারায়ন ভূঁয়া এবং পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া গ্রিড উপ কেন্দ্রের অবসরপ্রাপ্ত উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ও বরিশাল নগরীর কাজীপাড়া এলাকার হাসমত আলী গাজীর ছেলে মো. হানিফ হোসেন গাজী।
খালাসপ্রাপ্ত মো. আনোয়ার হোসেন পিজিবি খুলনার সিকিউরিটি পরিদর্শক বর্তমানে ঢাকা রামপুরা আফতাব নগরের ন্যাশনাল লোড ডেসপ্যাচ সেন্টারের কর্মরত আছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) একেএম নুরুউদ্দীন আহমেদ জানান, মামলায় রায়ে দুজনকে কারাদণ্ড ও একজনকে খালাস দেয়া হয়েছে। রায় ঘোষণা সময় আদালতে তিন আসামি উপস্থিত ছিলেন। দণ্ডিত দুজনকে জেলে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া খালাসপ্রাপ্তকে মুক্তি দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বাড়িওয়ালাকে হত্যার দায়ে দম্পতির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মামলার অভিযোগ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী লক্ষ্মী নারায়ন ভূঁয়া বরিশাল গ্রিড সংরক্ষণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী থাকাকালীন সময়ে ভান্ডারিয়া গ্রিড উপ কেন্দ্র থেকে কচা নদীর পূর্ব পাড় পর্যন্ত পরিত্যক্ত সঞ্চালন লাইনের এক কোটি ৩৬ লাখ ৬৭ হাজার ৫৪৭ টাকার মালামাল আত্মসাৎ করে। এই ঘটনায় দুদকের বরিশাল জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মতিউর রহমান বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট তিনজনকে আসামি করে ভান্ডারিয়া থানায় মামলা করেন। ওই কর্মকর্তা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে ২০১৮ সালের ২১ জানুয়ারি তিন জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন।
২ বছর আগে
তারেক-জোবায়দার দুর্নীতি মামলার রুল শুনানি ৫ জুন
ওয়ান-ইলেভেনের সময়ে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের করা রিটের চূড়ান্ত শুনানির দিন পিছিয়ে আগামী ৫ জুন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। তারেক-জোবায়দা বিদেশে পলাতক থাকা অবস্থায় আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন কি না, সে বিষয়েও ওইদিন শুনানি হবে।
তাদের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার (২৯ মে) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ এদিন ধার্য করেন।
অন্যদিকে ওয়ান ইলেভেনে সময় অবৈধ সম্পাদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলা বাতিল চেয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দারের করা আবেদনের শুনানির জন্যও সময় নিয়েছেন আসামিপক্ষ।
রবিবার সকালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ মামলায় সময় পিছিয়ে ৫ জুন দিন ধার্য করেন।
আদালতে তারেক-জোবায়দার পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। এদিন শামীম ইস্কান্দারের পক্ষে সময় আবেদন করেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
পড়ুন: ১৫ বছর পর তারেক-জোবায়দার রিট মামলা চূড়ান্ত শুনানির দিন ধার্য
তারেক-জোবায়দা
জানা যায়, ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করা হয়। মামলায় তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ও শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। পরে একই বছরে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী পৃথক রিট আবেদন করেন। রিটে জরুরি আইন ও এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন। হাইকোর্ট রুল জারি করে স্থগিতাদেশ দেন। এরপর রিট মামলাগুলো গত ২০ এপ্রিল কার্যতালিকায় আসে। পরে রুল শুনানির জন্য ২৯ মে দিন ঠিক করেন হাইকোর্ট।
আদালতে তারেক রহমান ও জোবায়দার পক্ষে তাদের আইনজীবী শুনানিতে অংশ নেয়ায় দুদকের আইনজীবী প্রশ্ন তুলে বলেন, পলাতক থাকা অবস্থায় তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমান আইনজীবী নিয়োগ করতে পারেন না। তখন আদালত বলেন, পলাতক থাকা অবস্থায় তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমান আইনজীবী নিয়োগ করতে পারেন কি না, ৫ জুন এ বিষয়েও শুনানি হবে।
এদিকে একই মামলার বৈধতা নিয়ে আরেকটি ফৌজদারি আবেদন করেছিলেন ডা. জোবায়দা। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। ওই রুলের শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে মামলা বাতিলে জারি করা রুল খারিজ করে দেন। একইসঙ্গে জোবায়দা রহমানকে আট সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন জোবায়দা রহমান। যা গত ১৩ এপ্রিল খারিজ করেন আপিল বিভাগ।
শামীম ইস্কান্দার ও তার স্ত্রী
সম্পদের তথ্য চেয়ে ২০০৭ সালে শামীম ইস্কান্দারকে নোটিশ দেয় দুদক। নোটিশের পর সম্পদের তথ্য গোপন করায় তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শেষে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। ২০০৮ সালে রমনা থানায় মামলা করে দুদক। এ মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিনও নেন শামীম ইস্কান্দার ও তার স্ত্রী। ২০১৬ সালে এ মামলা বাতিল চেয়ে করা শামীম ইস্কান্দারের আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। এরপর আবারও মামলা বাতিল চেয়ে এবার আপিল বিভাগে আবেদন করেন খালেদা জিয়ার ছোট ভাই ও তার স্ত্রী। এর আগে গত ১৭ এপ্রিল শুনানির দিন পিছিয়ে আজ ২৯ মে নির্ধারণ করেছিলেন আপিল বিভাগ। তারই ধারাবাহিকতায় আজ এ বিষয়ে শুনানির জন্য ওঠে। পরে এদিন শামীম ইস্কান্দারের পক্ষে সময় আবেদন করেন তার আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন। পরে শুনানির দিন পিছিয়ে ৫ জুন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।
পড়ুন: জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা চলবে: আপিল বিভাগ
২ বছর আগে
দুর্নীতির মামলায় বাগেরহাটের পৌর মেয়রকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
দুর্নীতির মামলায় বাগেরহাট পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমানকে তিন সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তাকে আগাম জামিন না দিয়ে সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন নকীব সাইফুল ইসলাম। দুদকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন আসিফ হাসান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, হাইকোর্ট তাকে আগাম জামিন দেননি। তাকে তিন সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলেছেন।
অবৈধ নিয়োগ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমানের নামে গত বছরের ২৫ নভেম্বর পৃথক দুটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আরও পড়ুন: ঋণ জালিয়াতি: এবি ব্যাংকের সাত্তারকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
মামলার সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাট পৌরসভায় নিয়ম বহির্ভূতভাবে ১৭ জনকে নিয়োগ দিয়ে সরকারি কোষাগার থেকে এক কোটি ২৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮০০ টাকা আত্মসাতের অপরাধে মেয়রসহ ১৮ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়।
অন্যদিকে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ বাগেরহাটে আবাহনী ক্লাবের কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ এবং বাগেরহাট ডায়াবেটিক হাসপাতাল কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ না করে এক কোটি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগে পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমান এবং বাগেরহাট পৌরসভার সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল করিমকে আসামি করে আরও একটি মামলা করা হয়। এ মামলায় আগাম জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হলে আদালত তাকে তিন সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: ইকসল ফুডের এমডিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
২ বছর আগে
দুর্নীতির মামলা, অভিযোগ গঠন বাতিলে বদির আবেদন খারিজ
জ্ঞাতআয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে কক্সবাজার-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির করা আবেদন উত্থাপিত হয়নি এই মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বিচারিক আদালতে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বলেছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে কক্সবাজার-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির মামলা বিচারিক আদালতে দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: সাবেক এমপি বদির বিচার শুরু
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্টে বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
দুদকের পক্ষে এ সময় আদালতে ছিলেন খুরশীদ আলম খান, রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আনি উদ্দিন মানিক এবং বদির পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এ আর এম হাসানুজ্জামান।
এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান জানান, অভিযোগ গঠনের সময় তিনি (আব্দুর রহমান বদি) অভিযোগ থেকে অব্যহতি চেয়েছেন। কিন্তু সে আবেদন খারিজ করেন বিচারিক আদালত। পরে সেই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে বদি হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন। মঙ্গলবার বদির আইনজীবী আদালতে জানান হাইকোর্টে এ মামলা তারা চালাবেন না। এজন্য তাদের আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেছেন এবং বিচারিক আদালতকে দ্রুত মামলাটি নিষ্পত্তি করতে বলেছেন।
আরও পড়ুন: এমপি বদির গাড়িতে ‘গুলি’
৫৬ লাখ ১১ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদ গোপন ও ৭৯ লাখ ৩৭ হাজার ৭৯৭ টাকা জ্ঞাতআয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। দীর্ঘদিন স্থগিত থাকার পর মামলাটির কার্যক্রম ২০১৭ সালে সচল হয়। এ মামলায় ২০২০ সালে ১৩ সেপ্টেম্বর তাকে অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন চট্টগ্রামের বিচারিক আদালত। ওই আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিভিশন করেন আব্দুর রহমান বদি।
২ বছর আগে
খালেদার কারাবন্দী জীবনের তিন বছর: প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
দুর্নীতির মামলায় চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের তৃতীয় বার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
৩ বছর আগে
সরকার দুর্নীতি মামলা প্রত্যাহারে সুপারিশ করতে পারবে না: হাইকোর্ট
দুর্নীতির অভিযোগে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে দায়ের করা কোনো মামলা সরকার প্রত্যাহার করতে পারবে না। শুধু তাই নয়, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা কোনো মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশও করা যাবে না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
৪ বছর আগে
মীর নাছিরের জামিন আবেদনের আদেশ সোমবার
দুর্নীতির মামলায় ১৩ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কারাবন্দী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের জামিন আবেদনের ওপর সোমবার আদেশের জন্য দিন রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
৪ বছর আগে