জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, করোনায় বিশ্বব্যাপী মৃত্যু হয়েছে ৯ লাখ ১৩ হাজার ১৮ জনের এবং সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ কোটি ৯০ লাখের বেশি মানুষ।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৬৪ লাখ ৪৩ হাজার ২২৭ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৯২ হাজার ৯৬৮ জন।
এদিকে, সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে করোনা রোগীর সংখ্যা ৪৫ লাখ ৬২ হাজার ৪১৪ এবং মৃত্যু হয়েছে ৭৬ হাজার ২৭১ জনের।
ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ লাখের বেশি মানুষ এবং মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ২৯ হাজার ৫২২ জনের।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি:
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪ হাজার ৬৬৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া, নতুন করে ১ হাজার ৭৯২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৭৬২ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে শুক্রবার পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত স্বাস্থ্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, করোনা শনাক্তের জন্য দেশের সরকারি ও বেসরকারি ৯৪টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৯৬১টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ৭৪৭টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১৭ লাখ ৪ হাজার ৭৫৮টি।
এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৩ হাজার ৬৩৮ জন বা ৭৭.৯৩ শতাংশ এবং নারী ১ হাজার ৩০ জন বা ২২.০৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১.৩৯ শতাংশ।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৪৭৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৩৬ হাজার ২৪ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার এখন পর্যন্ত ৭০.৫১ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।