বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ১১ লাখ ৪৮ হাজার ৪২ জনে।
জেএইচইউ এর তথ্য অনুযায়ী- প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মারা গেছেন ১১ লাখ ৩০ হাজার ৪০৫ জন। পাশাপাশি ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৮০ লাখ ৩৭ হাজার ৬৫৩ ব্যক্তি।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত এবং ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। মোট করোনা আক্রান্তের অর্ধেকের বেশি এই তিন দেশে।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বে প্রথমে রয়েছে আমেরিকা। এখনও ব্যাপক হারে সেখানে করোনার বিস্তার হচ্ছে। দ্রুত আক্রান্তের পাশাপাশি মৃত্যুও থেমে নেই।
দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত ৮৩ লাখ ৩৩ হাজার ছাড়িয়েছে এবং ২ লাখ ২২ হাজার ৬৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
এদিকে বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারতে মোট আক্রান্ত ৭৬ লাখ ৫১ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং মারা গেছেন ১ লাখ ১৫ হাজার ৯১৪ জন। তৃতীয় সর্বোচ্চ ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী ৫২ লাখ ৯৮ হাজারেরও বেশি এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৪০৩ জনের।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
এদিকে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৭২৩ জনে।
এছাড়া, নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৭০৪ জনের শরীরে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৯৩ হাজার ১৩১ জনে পৌঁছেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বুধবার পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, করোনা শনাক্তের জন্য গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সরকারি ও বেসরকারি ১১০টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৯১টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ৮৬টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ২২ লাখ ৬ হাজার ৪১১টি।
নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১০.৯৭ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৭.৮২ শতাংশ।
নতুন যে ২৪ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১৯ এবং নারী পাঁচজন। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১.৪৬ শতাংশ।
এদিকে, আরও ১ হাজার ৭০৪ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা ৩ লাখ ৮ হাজার ৮৪৫ জনে দাঁড়িয়েছে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার এখন পর্যন্ত ৭৮.৫৬ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।