দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমগুলো শুক্রবার জানিয়েছে, নতুন করে আক্রান্তদের বেশিরভাগই হুবেই প্রদেশের শিজিয়াজুয়াংয়ের। সেখানে শহর থেকে কিছু দূরে ফসলের জমিতে কংক্রিট দিয়ে তৈরি এবং প্রি-ফেব্রিকেটেড কক্ষ দিয়ে হাসপাতাল তৈরি করতে দেখা গেছে।
যা গত বছরের শুরুতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার দৃশ্যগুলো স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। সেসময় চীন করোনার উৎপত্তিস্থল উহান শহরের ফিল্ড হাসপাতাল এবং জিমনেসিয়ামগুলোকে এ ভাইরাস চিকিৎসার জন্য ও প্রাথমিক প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় আইসোলেশন কেন্দ্রে পরিণত করেছিল।
আরও পড়ুন: ডব্লিউএইচও গবেষকরা উহানে কী জানার চেষ্টা করছেন?
পরবর্তী সময়ে চীনে করোনাভাইরাস ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়ে। তবে, সম্প্রতি ভাইরাসটির সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এবং শহরটি রাজধানী বেইজিংয়ের কাছাকাছি হওয়ায় ও দেশটির সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী উত্সবে পরিবারগুলোর সাথে সময় কাটানোর দীর্ঘপথ ভ্রমণ করার পরিকল্পনাকারীদের ঢলকে কেন্দ্র করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ।
দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন শুক্রবার জানিয়েছে, এতে আক্রান্ত হয়ে ১,০০১ জন রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন যাদের মধ্যে ২৬ জনের অবস্থা গুরুতর। তারা আরও জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৪৪ জন আক্রান্ত হয়েছে। নতুনদের মধ্যে ৯০ জনই হুবেই প্রদেশের এবং ৪৩ জন হিলংজিয়াং প্রদেশের।
আরও পড়ুন: চীনের সিনোভ্যাক ভ্যাকসিন দিয়ে তুরস্কে শুরু গণ টিকাদান
দেশের বাইরে থেকে ৯ জন সংক্রমিত হয়েছে। অন্যদিকে দক্ষিণ গুয়াংজি অঞ্চল এবং উত্তর প্রদেশ শানসিতেও স্থানীয়ভাবে সংক্রমণ ঘটেছে।
দেশের বাইরে থেকে আসা ৯ জনের মধ্যে এ ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়ায় ভ্রমণের বিভিন্ন রুট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং ১২০ কোটিরও বেশি মানুষ বসবাসের দেশটিতে সামনের দিনগুলোতে লোকজনকে বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত দেশটিতে ৮৭ হাজার ৯৮৮ জন আক্রান্ত এবং ৪ হাজার ৬৩৫ জন মারা যাওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত করেছে চীন।
আরও পড়ুন: জরুরি ব্যবহারের আগে চীনা ভ্যাকসিন উৎপাদকদের সাথে কাজ করছে ডব্লিউএইচও
এদিকে, কোভিড-১৯ মহামারির উৎপত্তির সূত্র খুঁজে পাওয়ার আশায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আন্তর্জাতিক গবেষক দলটি মধ্য চীনের উহান শহরে বৃহস্পতিবার পৌঁছেছে। এ সফর ঘিরে রয়েছে গোপনীয়তার চাদর। দলটি আসলে কী করবে বা কোথায় যাবে তা চীন কিংবা ডব্লিউএইচও কেউ খোলাসা করেনি।
তবে, ২০১৯ সালের শেষদিকে করোনা মহামারির উৎপত্তির স্থলে সন্ধানে চালানোর এ প্রচেষ্টা বহু বছর ধরে চলতে পারে এবং যা হয়ত ভবিষ্যতে মহামারি রোধে সাহায্য করবে।