ভারতের উত্তরাঞ্চলে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাতের কারণে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা, সড়কে তৈরি হয়ে গর্ত, অনেক ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে। পাশাপাশি যানবাহন আটকা পড়ে তৈরি হয়েছে যানজট। এতে বন্ধ রয়েছে স্কুল ও কলেজ। বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে গত ২ সপ্তাহেরও বেশি সময়ের ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় এখন পর্যন্ত ১০০-এরও বেশি মানুষ মারা গেছেন।
রাজ্য সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কমপক্ষে ৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে গত ৫ দিনে মারা গেছেন ৪২ জন। এছাড়া, ১০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন পার্বত্য হিমাচল প্রদেশে, যেখানে বন্যার পানিতে গাড়ি, বাস, সেতু ও বাড়িঘর ভেসে গেছে। এই অঞ্চলটি নয়াদিল্লি থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার (৩১০ মাইল) উত্তরে অবস্থিত।
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টিতে বন্যায় ১৫ জনের মৃত্যু, নয়াদিল্লির স্কুল বন্ধ
রাজ্য সরকারের মুখপাত্র শিশির সিং জানিয়েছেন, উত্তর প্রদেশে বুধবার থেকে বৃষ্টিজনিত ঘটনায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি বলেন, এদের মধ্যে ৯ জন পানিতে ডুবে, ২ জন বজ্রপাতে এবং ১ জন সাপের কামড়ে মারা গেছেন।
সরকারি কর্মকর্তারা জানান, নয়াদিল্লিতে একজন এবং ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ৪ জন নিহত হয়েছেন।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শনিবার থেকে হিমাচল প্রদেশের চান্দ্রতাল এলাকায় আটকা পড়া প্রায় ৩০০ জনকে উদ্ধারকরতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করেছে কর্তৃপক্ষ। তাদের মধ্যে ৭ জন অসুস্থ ব্যক্তি রয়েছেন, যাদের মঙ্গলবার হেলিকপ্টারে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৯০ জনের বেশি নিহতের ঘটনায় ৩ রেল কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
রাজ্যের জরুরি অপারেশন সেন্টার বলছে যে রাজ্যে ভারী বর্ষণ ও ভূমিধসে প্রায় ১৭০টি বাড়ি ধসে পড়েছে এবং আরও ৬০০টি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নয়াদিল্লিতে যমুনা নদীর নিকটবর্তী আবাসিক এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে। রাস্তা, গাড়ি ও বাড়িঘর ডুবে গেছে। যার ফলে নিচু এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
নয়াদিল্লির শীর্ষ নির্বাচিত কর্মকর্তা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ভারতের রাজধানীর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত যমুনা নদীর পানি ৪০ বছরের রেকর্ড অতিক্রম করে বুধবার সন্ধ্যায় ২০৭ দশমিক ৭১ মিটার (৬৮১ দশমিক ৫ ফুট) পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট চলাকালীন সহিংসতায় নিহত ৯