নব্য নির্মিত এ হাসপাতালে সোমবার থেকে স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসা সামগ্রী পাঠাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এপর্যন্ত ৩৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং বিশ্বব্যাপী ১৭ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন।
এদিকে, ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে চীনের হুবেই প্রদেশের (যেখানে প্রথম ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে) স্কুলগুলো এখনো বন্ধ রাখা হয়েছে। আর এ প্রদেশেই মাত্র ১০ দিনে নির্মাণ করা হয়েছে বিশেষায়িত হাসপাতাল।
এছাড়া, দেড় হাজার শয্যা বিশিষ্ট অপর একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণাধীন রয়েছে। সেই সাথে ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় উহানে বিধিনিষেধ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত ১৭৩০০, মৃত্যু ৩৬১
শহরে কর্মরত স্বাস্থ্য কর্মীদের সহায়তা করতে এবং শহর থেকে দূরে অবস্থিত নতুন হাসপাতালে কাজ করার জন্য উহানে যাচ্ছে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির চিকিৎসক দলগুলো।
দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল সিসিটিভিতে অত্যাধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম দ্বারা সজ্জিত নবনির্মিত হাসপাতালটি দেখানো হয়েছে।
চীনের অন্যতম মহামারী বিশেষজ্ঞ ঝং নানশান জানান, নতুন সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে হাসপাতালগুলোতে অতিরিক্ত স্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সিসিটিভিতে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে স্থানের অভাব থাকায় অসুস্থ অনেক মানুষকে বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য করেছে যা খুবই বিপজ্জনক। তাই হাসপাতালে অতিরিক্ত বেড পাওয়া দারুণ উন্নতি।’
২০০২-২০০৩ সালে চীনে ছড়িয়ে পড়া সার্স করোনাভাইরাসের বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে মূখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন ঝং নানশান।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে এপর্যন্ত ৩৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে এতে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হজি ৮২৯ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত ১৭ হাজার ২০৫ জন।
চীনের বাইরে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি জাপানে। সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ জন।
এছাড়া, থাইল্যান্ডে ১৯ জন, সিঙ্গাপুরে ১৮ জন এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় ১৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ফিলিপাইনে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।