যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের অফিস অব ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোল (ওএফএসি) থেকে জারি করা নিষেধাজ্ঞার ওই তালিকায় মিয়ানমারসহ পাকিস্তান, লিবিয়া, স্লোভাকিয়া, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র অফ কঙ্গো (ডিআরসি) এবং দক্ষিণ সুদানের ১৮ ব্যক্তির নাম রয়েছে।
তবে মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের ওপর এমন সময়ে এ নিষেধাজ্ঞা এলো, যখন গণহত্যার অভিযোগে দ্য হেগের আদালতে বিচারের মুখোমুখি হয়েছে দেশটি।
এর আগেও মিয়ানমারের ওই চার সেনা কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় থাকলেও এবারের নিষেধাজ্ঞার মাত্রা ও গুরুত্ব আগের নিষেধাজ্ঞার চেয়ে বেশি।
গ্লোবাল ম্যাগনেটস্কি হিউম্যান রাইটস অ্যাক্ট প্রয়োগের লক্ষ্যে ওএফএসি একটি নির্বাহী আদেশ অনুসারে, গুরুতর মানবাধিকার লংঘন ও দুর্নীতির অপরাধে ওই ব্যক্তিদের নিষেধাজ্ঞার তালিকাতে অন্তর্ভূক্ত করেছে।
মঙ্গলবার সেক্রেটারি স্টিভেন টি মনুচিন বলেন, ‘নিরীহ বেসামরিক লোকদের ওপর নির্যাতন, অপহরণ, যৌন সহিংসতা, হত্যা বা বর্বরতা যুক্তরাষ্ট্র সহ্য করবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমেরিকা মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় এবং তারা যেখানেই কাজ করবে সেখানে অপরাধী এবং জড়িতদের জবাবদিহির আওতায় আনবে।’
নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তা হলেন- দেশটির সেনাবাহিনী প্রধান মিন আং লেইন ও তার ডেপুটি সো উইন এবং উ এবং অং অং নামের আরো দু'জন বিভাগীয় কমান্ডার।
এর আগে চলতি বছরের জুলাই মাসেও ওই চারজন সেনা কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। সেসময় ওই চার সেনা কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
মিয়ানমারে সেনা প্রধান মিন অং হ্লাইং নির্দেশনায় মারাত্মক মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৭ সালের অগাস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মিন অং হ্লেইংয়ের নেতৃত্বাধীন সামরিক বাহিনীর চালানো নৃশংস অভিযানে ৫ লক্ষাধিক মানুষ পালিয়ে বাংলাদেশে যেতে হয়েছিল।
এই সময়ের মধ্যে, জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর লোকজন পালিয়ে যাওয়ার সময় তার নিয়ন্ত্রণাধীন সৈন্যদের অস্ত্রের গুলিতে হত্যা বা আহত করা হয়েছিলো, অনেককে তাদের বাড়িতে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল।
মিন অং হ্লেইংয়ের অধীনে থাকা সৈন্যদের দ্বারা গণধর্ষণ ও অন্যান্য ধরণের যৌন সহিংসতা ঘটানোর অভিযোগ রয়েছে।