উত্তর কোরিয়ার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ‘গ্যাংস্টারের মতো’ আচরণের কারণে তার দেশ শিগগিরই বিশ্বের সামনে নতুন ধরনের ‘কৌশলগত অস্ত্র’ প্রদর্শন করবে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
কৌশলগত অস্ত্র বলতে মূলত পারমাণবিক অস্ত্র বুঝালেও, উত্তর কোরিয়া কি ধরনের অস্ত্র প্রদর্শন করবে সেসম্পর্কে বিস্তারিত কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ এবং উত্তর কোরিয়ার ওপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার বিষয়ে দুদেশের মতবিরোধের প্রেক্ষিতে, উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির চার দিনব্যাপী বৈঠকের পর বুধবার এক প্রতিবেদনে কিমের এসব মন্তব্যের কথা জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি- কেসিএনএ।
ওই বৈঠকে কিম বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া এখন আর পারমাণবিক অস্ত্র এবং আন্ত:মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের স্বঘোষিত নিষেধাজ্ঞা মানতে বাধ্য নয়, যেটিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেদের বড় কূটনৈতিক সফলতা হিসেবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন।’
তবে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর বিষয়ে স্পষ্ট কোনো ইঙ্গিত দেননি কিম।
এর আগে গত বছর কিম বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র নতুন চুক্তির ক্ষেত্রে ছাড় না দিলে উত্তর কোরিয়া ‘নতুন পথ’ অনুসরণ করবে।
এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বৈরিতা এবং তাদের পারমাণবিক হুমকির মুখে শুধুমাত্র অর্থনৈতিক সুবিধার জন্য উত্তর কোরিয়া কখনোই নিজেদের নিরাপত্তার প্রসঙ্গে ছাড় দেবে না বলেও দলীয় বৈঠকে উল্লেখ করেন কিম জং উন।
এর আগে গত মঙ্গলবার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে নিজের দেয়া প্রতিশ্রুতিতে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকতে কিমের প্রতি আহ্বান জানান ট্রাম্প। ২০১৮ সালের জুন মাসে সিঙ্গাপুরে প্রথমবারের মতো বৈঠকে মিলিত হয়ে পরমাণুমুক্ত কোরীয় উপদ্বীপ গঠনে ঐক্যমতে পৌঁছেছিলেন এই দুই নেতা।