মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ওয়াকিটকি আমদানি ও ব্যবহারের অভিযোগে করা দুই মামলার রায় সোমবার স্থগিত করেছে সেনা শাসিত দেশটির একটি আদালত।
এক আইনি কর্মকর্তার মতে,১০ জানুয়ারি পর্যন্ত মামলার রায় বিলম্ব করার কোনো কারণ জানাননি আদালত। তবে শাস্তি হতে পারে এই ভয়ে নিজের নাম না প্রকাশের ওপর জোর দেন এই কর্মকর্তা।
গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির ক্ষমতা গ্রহণ করে সেনাবাহিনী এবং এর ফলে দ্বিতীয় বারের মতো সরকার গঠন করতে পারেনি নির্বাচনে জয়ী সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)।
এরপর থেকে ৭৬ বছর বয়সী নোবেল বিজয়ী সু চির বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলা দায়ের করা হয়। আর এসব মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হলে তার ১০০ বছরের বেশি কারাদণ্ড হতে পারে।
তবে সু চির সমর্থক ও স্বাধীন বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
গত বছরের সাধারণ নির্বাচন সু চির দল জয়ী হয়। আর এ নির্বাচনে ব্যাপক ভোট জালিয়াতির অভিযোগ করেছে সেনাবাহিনী। তবে স্বাধীন পর্যবেক্ষক দল নির্বাচনে তেমন অনিয়ম পাননি।
এর আগে ৬ ডিসেম্বর উসকানি ও করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত করে সু চিকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল দেশটির একটি বিশেষ আদালত। তবে রায়ের কয়েক ঘণ্টা পর সামরিক সরকারের প্রধান জ্যৈষ্ঠ জেনারেল মিন অং হ্লাইং তা অর্ধেক কমিয়ে দেন। সামরিক সরকার তাকে অজ্ঞাত স্থানে আটক রেখেছেন এবং সরকারি টেলিভিশন জানিয়েছে সেখানে তিনি সাজা কাটছেন।
সু চির এ বিচার কার্যক্রম গণমাধ্যম ও দর্শকদের দেখার সুযোগ দেয়া হয়নি। এছাড়া এই নেত্রীর পক্ষের আইনজীবীদেরও গণমাধ্যমে তথ্য প্রদানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে ‘সেনাবাহিনীর হামলা’য় সেভ দ্য চিলড্রেনের ২ কর্মী নিখোঁজ