সুপার টাইফুন ইয়াগির আঘাতে চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ প্রদেশ হাইনানে ভারী বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো বাতাসে অন্তত দুইজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৯২ জন। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দেশটির স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সরকারি তথ্যানুযায়ী, শনিবার সকাল পর্যন্ত ডিং'আন কাউন্টিতে দুজন, ওয়েনচ্যাং সিটিতে ১২ জন এবং হাইকু সিটিতে ৮০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বাতাস ও বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাইনান তার টাইফুন সতর্কতা হ্রাস করে এবং প্রদেশের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দ্রুত উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
১৫ লাখের বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ পুনস্থাপনে ২ হাজার ২০০ কর্মীকে মোতায়েন করা হয়েছে। শনিবার সকাল সাতটা নাগাদ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর এক-পঞ্চমাংশেরও বেশি গ্রিডের সঙ্গে পুনরায় সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: টাইফুন আম্পিল: টোকিওতে ট্রেন ও ফ্লাইট বাতিল
সড়ক মেরামতের কাজও চলছে। অবরুদ্ধ ৮৯টি প্রধান সড়কের মধ্যে এরই মধ্যে ৫১টি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
আশা করা হচ্ছে আজ বিকাল থেকে দ্বীপটিকে ঘিরে দ্রুতগতির রেল পরিষেবা পুনরায় শুরু হবে। আর রবিবার সন্ধ্যার মধ্যে কিয়াংঝো প্রণালীতে ফেরি পরিষেবা পুনরায় শুরু হবে।
টাইফুন ইয়াগির প্রভাব এখনো থাকার কারণে হাইকু মেইলান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রবিবার দুপুর পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে বন্ধ থাকবে। জনপ্রিয় পর্যটন শহর সানিয়া ফনিক্স আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর শনিবার সকাল ১০টা থেকে ধীরে ধীরে ফ্লাইট পরিষেবা পুনরায় শুরু করেছে।
এদিকে, উদ্ধারকারী দলগুলো যোগাযোগ পুনরুদ্ধারের জন্য দৌড়ঝাঁপ করছে। কারণ প্রদেশজুড়ে সাড়ে ১২ হাজারের বেশি বেস স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওয়েনচ্যাং সিটির যোগাযোগ পরিষেবাগুলো।
চলতি বছরের ১১তম টাইফুন সুপার টাইফুন ইয়াগি শুক্রবার চীনে প্রথমে হাইনান ও পরে গুয়াংডং প্রদেশে আঘাত হানে।
আরও পড়ুন: সুপার টাইফুন ‘ইয়াগির’ আঘাতের কারণে ৩০০ ফ্লাইট বাতিল করবে ভিয়েতনাম