এরই মধ্যে মারডকের মালিকানাধীন তিনটি প্রভাবশালী প্রচার মাধ্যম ফক্স নিউজ, নিউইয়র্ক পোস্ট ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল তাদের পাঠক বা দর্শকদের ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরাজয়ের ব্যাপারে সতর্ক করে দিতে শুরু করেছে।
সেই সঙ্গে তারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছ থেকে নিজেদের সরিয়ে নিতেও শুরু করেছে বলে বিবিসির এক খবরে বলা হয়েছে।
কোনো তথ্যপ্রমাণ ছাড়া নির্বাচনে জালিয়াতির ব্যাপারে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিযোগ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার ফক্স নিউজের তারকা উপস্থাপক শ্যন হ্যানিটি বলেন, এ নির্বাচনের ফলাফলের বৈধতা নিয়ে সন্দেহ করার অধিকার আমেরিকানদের আছে।
তবে শুক্রবারই ফক্স নিউজের আরেকটি অনুষ্ঠানে উপস্থাপক ব্রেট বেইয়ার বলেন, ‘আমরা এরকম কিছু দেখতে পাইনি। আমাদের সামনে এরকম কোনো তথ্য আসেনি।’
২০১৬ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন করেছিল ফক্স নিউজ। কিন্তু এখন তারা ট্রাম্পের বিদায়ের ব্যাপারে দর্শকদের সতর্ক করে দিতে শুরু করেছে। কীভাবে তার বিদায় নেয়া উচিত এবং সে বিষয়ে তারা পরামর্শ দিতে শুরু করেছে।
ট্রাম্প সমর্থক হিসাবে পরিচিত ফক্স নিউজের উপস্থাপক লরা ইনগ্রাহাম এক অনুষ্ঠান চলাকালে বলেছেন, নির্বাচনের ফলাফল পক্ষে না গেলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের উচিত হবে ধৈর্য ও স্থিরতার সঙ্গে তা মেনে নেয়া। পরাজয় হলে সেটা মেনে নিয়ে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেলেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উত্তরাধিকার অর্থবহ হয়ে উঠবে।
একই রকমের বার্তা দিয়ে রুপার্ট মারডকের আরেকটি পত্রিকা ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল একটি মতামত নিবন্ধ প্রকাশ করেছে।
সেখানে বলা হয়েছে, ‘ট্রাম্প হারতে পছন্দ করেন না, তিনি অবশ্যই শেষ পর্যন্ত লড়াই করবেন। কিন্তু পরাজয় নিশ্চিত হলে আমেরিকার গণতন্ত্রকে মেনে নিয়ে মর্যাদার সঙ্গে অফিস ছেড়ে গেলে তিনি নিজের প্রতি ও দেশের প্রতি সম্মান দেখাবেন।’
আর রুপার্ট মারডকের ট্যাবলয়েড পত্রিকা নিউইয়র্ক পোস্টে শুক্রবার প্রকাশিত দুইটি মতামত নিবন্ধে ধারণা প্রকাশ করা হয়েছে যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নির্বাচনে হারতে যাচ্ছেন।
তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই নির্বাচনে কারচুপির যে অভিযোগ তুলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, তাও আমলে নেয়নি পত্রিকাটি।