বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার সন্ধ্যায় অতি সুরক্ষিত গ্রিন জোনে মার্কিন দূতাবাসের কাছাকাছি এমন একটি বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া যায়। ইরাকের রাজধানীর উত্তরাংশের বালাদ বিমানবন্দরের কাছে বেশ কয়েকজনকে গুলি করা হয়, যেখানে মার্কিন বাহিনীর বাস। তবে ইরাকি নিরাপত্তা সূত্র বলছে হামলায় কেউ হতাহত হয়নি।
ইরাকে মার্কিন হামলায় জেনারেল কাশেম সোলাইমানির নিহত হওয়ার পর ‘চরম প্রতিশোধের’ হুমকি দিয়েছিল ইরানের নেতারা। ইরানে দাফনের জন্যে নিয়ে যাবার আগে শনিবার কাসেম সোলেইমানির শবযাত্রা নিয়ে ইরাকের শিয়া অধ্যুষিত এলাকাগুলোর মধ্য দিয়ে বিশাল মিছিল করা হয়।
মার্কিন হামলায় সোলেইমানির সাথে নিহত কাতাইব হিজবুল্লাহ গ্রুপের কমান্ডার আবু মাহদি আল-মুহান্দিসের জন্যেও শোক প্রকাশ করেন ইরাকিরা।
ইরানের সমর্থনপুষ্ট এই দলটি ইরাকে অবস্থানরত মার্কিন বাহিনীকে চূড়ান্ত সতর্ক করে দিয়েছে বলে জানিয়েছে আল-মায়াদিন টেলিভিশন।
ইরানের প্রতিশোধের হুমকির জবাবে মধ্যপ্রাচ্যে আরো তিন হাজার অতিরিক্ত মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের অধিবাসীদের ইরাক ত্যাগ করতে বলা হয়েছে।
নতুন হামলার ধরন কেমন?
ইরাকের নিরাপত্তা সূত্র জানাচ্ছে, অন্তত একটি রকেট কিংবা মর্টারের গোলা গ্রিন জোনের সেলিব্রেশন স্কয়ারে আছড়ে পড়েছে এবং অপর একটি শহরের জাদরিয়া অঞ্চলে বিস্ফোরিত হয়েছে।
বালাদ বিমান ঘাঁটিতে দুটি রকেট আঘাত করার পর তা কোথা থেকে ছোড়া হয়েছে জানার জন্যে নজরদারি সক্ষম ড্রোন প্রেরণ করা হয়।
কোনো গোষ্ঠীই এই হামলার দায় অবশ্য স্বীকার করেনি। তবে ইরান পন্থী মিলিশিয়া গ্রুপগুলোকে এই মার্কিন লক্ষ্যবস্তুতে হামলার জন্যে সন্দেহ করা হচ্ছে।