এই হত্যাকাণ্ডের পেছনের ‘পাপেট মাস্টারদের’ পরিচয় প্রকাশ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
শুক্রবার ওয়াশিংটন পোস্টের উপ-সম্পাদকীয়তে এরদোয়ান লিখেন, তিনি বিশ্বাস করেন না যে, সৌদি বাদশা খাসোগিকে হত্যার আদেশ দিয়েছেন। সৌদি আরবের সাথে তুরস্কের ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে, তবে তার অর্থ এই নয় যে, সাংবাদিক খাসোগি হত্যার ঘটনায় তুরস্ক নিশ্চুপ থাকবে।’
‘আমরা জানি যে খাসোগি হত্যার আদেশ সৌদি সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকেই এসেছে,’ উল্লেখ করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
তিনি আরও লিখেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্বশীল সদস্য হিসেবে আমাদের খাসোগি হত্যার পেছনে কলকাঠি নাড়ানো পাপেট মাস্টারদের পরিচয় অবশ্যই প্রকাশ করা উচিৎ।’
এরদোগানের লেখায় সৌদি যুবরাজের নাম উল্লেখ ছিল না। তবে অনেক তুর্কি কর্মকর্তাদের মতে, হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি সৌদি যুবরাজের অজানা ছিল না।
এদিকে এরদোয়ানের উপদেষ্টা ইয়াসিন আকতে শুক্রবার এসোসিয়েট প্রেসকে (এপি) বলেন, খাসোগিকে হত্যা করার পর তার লাশ টুকরো টুকরো করে এসিড বা রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে গলিয়ে ফেলা হয়েছে। যাতে কোনো আলামত খুঁজে না পাওয়া যায়। কারণ এক মাস পর এখনও খাসোগির লাশের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত বুধবার ইস্তাম্বুলের প্রধান কৌঁসুলি ঘোষণা দেন যে, যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত সৌদি সাংবাদিক খাসোগিকে কনস্যুলেট প্রবেশের পরপরই শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডটি পূর্ব পরিকল্পিত ছিল। পরে তার লাশ টুকরো টুকরো করে কনস্যুলেট থেকে সরিয়ে ফেলা হয়।
উল্লেখ্য, সৌদি যুবরাজের সমালোচক ও যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত সাংবাদিক খাসোগি গত ২ অক্টোবর বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটের ভেতর যান। সেখান থেকে তাকে আর বের হতে দেখা যায়নি।
তার নিখোঁজের ঘটনাটি তুরস্ক, সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত বিষয় হয়ে ওঠে।
পরে নিখোঁজের দুই সপ্তাহ পর খাসোগিকে হত্যা করা হয়েছে বলে স্বীকার করে সৌদি আরব।