রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদে বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। চার বছর আগে নির্বাচনে পরাজয় মেনে নিতে অস্বীকার করে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে সহিংস বিদ্রোহের সূত্রপাত করেছিলেন তিনি। গুরুতর অভিযোগে দোষী সাব্যস্তও হয়েছিলেন এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট।
দুটি হত্যাচেষ্টার হাত থেকেও বেঁচে গিয়েছেন ট্রাম্প। এবারের নির্বাচনে উইসকনসিনে জয়ের মাধ্যমে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট পাস করেছেন।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে বিশ্বনেতাদের অভিনন্দন
রিপাবলিকানরা পশ্চিম ভার্জিনিয়া এবং ওহাইওতে আসন দখলের মাধ্যমে সিনেটের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করেছে। শীর্ষ হাউস দৌড়গুলো নিউ ইয়র্ক এবং ক্যালিফোর্নিয়ায় কেন্দ্রিক। ডেমোক্র্যাটরা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রিপাবলিকানরা আশ্চর্যজনক জয় পেয়েছে। এমনকি ১০টি বা তারও বেশি আসনের কয়েকটি উদ্ধারের চেষ্টা করছে।
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ এখনও হাতছাড়া
রিপাবলিকানরা হোয়াইট হাউস ও সিনেট দখল করলেও প্রতিনিধি পরিষদে এখনো অনেক লড়াই করতে হবে।
প্রায় ৬০টি হাউস নির্বাচন এখনও অমীমাংসিত থাকায় যে কোনো দল চেম্বারের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে। ডেমোক্র্যাটদের কাছে প্রতিনিধি পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠতাই ওয়াশিংটনে আধিপত্য বিস্তার এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতার ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের শেষ ভরসা। তারপরও রিপাবলিকানরা প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে তারা আরও সহজে ট্রাম্পের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবে। এর মধ্যে রয়েছে কর ছাড়ের মেয়াদ বাড়ানো, কঠোর সীমান্ত ব্যবস্থায় অর্থায়ন এবং ফেডারেল সরকারের কিছু অংশ ভেঙে ফেলা।
তারপরও হাউস নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। হাউসের মূল দৌড়ের সংখ্যায় এখন পর্যন্ত কোনো দলই নির্ভরযোগ্য সুবিধা করতে পারেনি। ক্যালিফোর্নিয়ায় ধীরগতির অনেকগুলো সহ সারা দেশে কঠোর প্রতিযোগিতা রয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশকে সবার আগে রাখতে হবে: নির্বাচনের রাতের ভাষণে ট্রাম্প