‘সাহস’ এবং ‘বিশ্বাসের’ মতো গুণাবলীই তাকে ভয়ঙ্কর এ ভাইরাসকে পরাজিত করতে সাহয্য করেছে বলে জানান তিনি।
ইউরোপের দেশ ফ্রান্সের পাশাপাশি ইতালিতেও একটি বড় সংখ্যক জনগোষ্ঠী রয়েছে যাদেরকে অভিহিত করা হয় ‘সুপার ওল্ড’ হিসাবে, যেখানে সবার বয়স কমপক্ষে ১০০।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে ইতালিতে, যেখানে বেঁচে থাকা অতি বয়স্ক মানুষকে অনুপ্রেরণা হিসাবে নিচ্ছেন সবাই।
দেশটির পাইডমন্টের উত্তরাঞ্চলীয় লেসোনা শহরে অবস্থিত প্রবীণদের জন্য স্থাপিত আবাসস্থল মারিয়া গ্রাজিয়া থেকে এক ভিডিও কলে ১০৩ বছর বয়সী জানুস্সো অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেন, ‘আমি ভালো আছি। আমি টেলিভিশন দেখি এবং খবরের কাগজ পড়ি।’
অসুস্থতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাধারণভাবেই বললেন, ‘আমার কিছুটা জ্বর হয়েছিল।’
তার পারিবারিক চিকিৎসক কার্লা ফার্নো মার্চেস জানান, জানুস্সো এক সপ্তাহ ধরে বিছানায় ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘জানুস্সো খেতে চাইছিলেন না। আমরা ভেবেছিলোম তিনি আর সুস্থ হবেনা না কারণ তিনি দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন। তবে একদির হঠাৎই তিনি চোখ খুললেন এবং আগের মতোই চলাচল শুরু করলেন। তিনি নিজে নিজেই দাঁড়াতে পারছিলেন।’
কীভাবে এই অসুস্থতা থেকে মুক্তি পেলেন প্রশ্ন করা হলে জানুস্সো বলেন, ‘সাহস, শক্তি এবং বিশ্বাস’। এসব গুণাবলীই তাকে সুস্থ হতে সাহায্য করেছে উল্লেখ করে, অন্যদের প্রতি তার পরামর্শ ‘নিজেকে সাহসী করে তুলুন, বিশ্বাস রাখুন।’