মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ মোবাইল ফোন আমদানিকারক অ্যাসোসিয়েশন (বিএমপিআইএ) এসব তথ্য তুলে ধরে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিএমপিআইএ এর সভাপতি রুহুল আলম মাহবুব, সহ-সভাপতি রেজওয়ানুল হক, সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া শহীত ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেসবাহ উদ্দিন।
বিএমপিআইএ জানায়, দেশে আজ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার মোবাইল বাজার। এর মধ্যে অন্তত ৩০ শতাংশই এখন অবৈধ হ্যান্ডসেটের দখলে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, আইফোন, স্যামসাং, শাওমির মতো বেশি চাহিদা সম্পন্ন দামি ফোনগুলোই চোরাই পথে বেশি আসছে। বর্তমানে আইফোন ও শাওমির সিংহভাগ পণ্য অবৈধভাবে এবং স্যামসাং ব্র্যান্ডের ৩৫% স্মার্টফোন ঢাকা, চট্টগ্রাম বিমানবন্দরসহ অন্যান্য বন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করছে। ঢাকার বড় বড় শপিং মল ছাড়াও এখন তা ছোট ছোট শহরে ছড়িয়ে পড়ছে।
অবৈধ পণ্যের অনেকাংশই পুরানো ফোন ‘রিফারবিশ’ এর মাধ্যমে দেশে আসছে। তাতে গ্রাহক প্রতারিত হচ্ছেন এবং দেশের প্রতিষ্ঠিত সেবা কেন্দ্রগুলো থেকে সেবা প্রদান সম্ভব হচ্ছে না। দীর্ঘমেয়াদে এ অবস্থা চলতে থাকলে বৈধ আমদানিকারকরা ক্রমেই উৎসাহ হারিয়ে ফেলবেন। সরকারের রাজস্বও ক্রমেই কমতে থাকবে।
বিএমপিআইএ আরো জানায়, রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্ক, রাইফেল স্কয়ার, ইস্টার্ন প্লাজা ও মোতালেব প্লাজাসহ বিভিন্ন অভিজাত শপিং মলগুলোতে বহুসংখ্যক দোকান গড়ে উঠেছে শুধুমাত্র এই চোরাই মোবাইল ফোনের যোগানের ওপর ভিত্তি করে। ফেসবুকসহ নানা অনলাইন পোর্টালেও এরা দোকান খুলে বসেছে।
দেশে চোরাই ফোন বন্ধের জন্য বিটিআরসি’র মাধ্যমে জাতীয় সরঞ্জাম পরিচয় নিবন্ধন (এনইআইআর) প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশ মোবাইল ফোন আমদানিকারক সমিতি (বিএমপিআইএ) ইতিমধ্যে এ উদ্যোগের প্রথম পর্যায়টি বাস্তবায়নে বিটিআরসিকে সহায়তা করছে।
দেশে দু’টি কারখানা তাদের স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মোবাইল হ্যান্ডসেট বাজারে ছেড়েছে। কিন্তু তাদের উৎপাদন এখনও পর্যাপ্ত নয়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএমপিআইএ এর সভাপতি রুহুল আলম মাহবুব বলেন, বাজারে একই পণ্যের দুই রকম দাম, একটি হলো ওয়ারেন্টি অনুসারে, আরেকটি ওয়ারেন্টি ছাড়া।
তিনি জানান, আইফোন মাত্র ১০ শতাংশ বৈধভাবে আসে, বাকি ৯০ শতাংশই অবৈধ পথে আসে। অনেক নকল আইফোন বাজারে আসছে, যা কম দামে গ্রাহক ক্রয় করছেন এবং প্রতারিত হচ্ছেন।