সোমবার দুপুর দেড়টায় ভোমরার পাঁচটি শ্রমিক কর্মচারি সংগঠন যৌথভাবে এ সিদ্ধান্ত নেয়। পরে তারা বন্দরে বিক্ষোভ-সমাবেশও করে।
জানা গেছে, ব্যাংকে টাকা জমা দিতে যাওয়ার পথে নূর এন্টারপ্রাইজের কর্মচারী শহিদকে আটক করে তার বিরুদ্ধে ফেনসিডিল পাচারের অভিযোগ আনে বিজিবি। এ ঘটনার প্রতিবাদে দুপুর থেকে শ্রমিকরা কর্মবিরত পালন করছে। এছাড়া শহিদকে না ছাড়া পর্যন্ত তারা বন্দরের কাজে ফিরবেন না বলেও ঘোষণা দেন।
ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি পরিতোষ ঘোষ জানান, সকালে নূর এন্টারপ্রাইজের কর্মচারী শহিদ চার লাখ টাকা নিয়ে ব্যাংকে জমা দিতে যাচ্ছিলেন। এ সময় ভোমরার বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মুজিবর রহমান তাকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যান। পরে তার মোটরসাইকেলের সিটের তলা থেকে তিন বোতল ফেনসিডিল পাওয়া গেছে বলে প্রচার করেন।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ভোমরা বন্দরে কর্মরত কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন, লেবার অ্যাসোসিয়েশন, ট্রাসপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন, হ্যান্ডলিং শ্রমিক অ্যাসোসিয়েশন ও লেবার অ্যাসোসিয়েশনের (২২ নম্বর) শীর্ষ নেতারা জরুরি বৈঠক করেন এবং কর্মবিরতি ঘোষণা করেন। এরপর দুপুর দেড়টায় আমদানিকৃত ভারতীয় পণ্য খালাস বন্ধ ও ভারতীয় গাড়ি প্রবেশ বন্ধ করে দেয় তারা।
এ ব্যাপারে ভোমরা বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মুজিবর রহমান জানান, শহিদকে ফেনসিডিল ও টাকাসহ আটক করা হয়েছে।
বিজিবির সাতক্ষীরাস্থ ৩৩ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম মহিউদ্দিন খোন্দকার জানান, শহিদকে হুন্ডির টাকাসহ ধরা হয়েছে। পরে তার মোটরসাইকেলের সিটের তলায় ফেনসিডিল পাওয়া গেছে।
শ্রমিক-কর্মচারীরা জানান, তাদের কর্মচারীকে কোনো শর্ত ছাড়াই ছেড়ে না দেয়া হলে কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।