সরকারের নির্ধারিত ৩০ টাকা কেজি আলু ৪০ টাকারও বেশি রাখার অভিযোগে ১০ আড়তদারকে প্রায় দেড়লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুকের নেতৃত্বে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, ‘পাইকারি ক্ষেত্রে সরকার আলুর দাম সর্বোচ্চ ৩০ টাকা কেজি নির্ধারণ করে দিলেও আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা ৪২ টাকার বেশি দরে বিক্রি করছিলেন। খুচরা ব্যাবসায়ীদেরকে কোনো ধরনের রশিদ দেয়নি তারা। দাম নিয়ে কারসাজির প্রমাণ পাওয়ায় ১০ আড়তদার ও পাইকারি ব্যাবসায়ীকে অর্থদণ্ড করা হয়।’
দণ্ডিত আড়তদারদের মধ্যে মেসার্স কুমিল্লা ট্রেডার্স, রফরফ বাণিজ্যালয়, মেসার্স মক্কা বাণিজ্যালয়, মেসার্স মামুন ট্রেডার্স, মেসার্স মা বিতানকে ২০ হাজার টাকা করে, মেসার্স কুসুমপুরা বাণিজ্যালয়, মেসার্স জননী ট্রেডার্স, মেসার্স দাউদকান্দি বাণিজ্যালয়কে ১০ হাজার টাকা করে এবং নিউ রাজমহল বাণিজ্যালয় ও মেসার্স আশীষ লালধর অ্যান্ড ব্রাদার্সকে ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বদিউল আলম বলেন, আমাদের বাজার মনিটরিং অব্যাহত আছে। তারপরও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সরকারের বেঁধে দেয়া দামে আলু বিক্রি না করার অভিযোগ আমাদের কাছে আসে। যার ফলে অভিযানে দোষীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, যারা দাম কারসাজির মাধ্যমে ভবিষ্যতেও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের বাজার মনিটরিংসহ অভিযান অব্যাহত থাকবে।