বুধবার রাজধানীর মতিঝিলের এফবিসিসিআই-আইকন টাওয়ারে ‘ফিনল্যান্ড বাংলাদেশ বিজনেস ইভেন্ট অন বাইল্যাটেরাল ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট অপরচুনিটিজ ইন দ্য অনগোয়িং গ্লোবাল প্যানডেমিক অ্যান্ড বিয়ন্ড’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে আলোচকরা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) ও ফিনিশ চেম্বার অব কমার্স (ফিনচ্যাম) যৌথ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, ফিনল্যান্ডের ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন অ্যান্ড ফরেন ট্রেডবিষয়ক মন্ত্রী ভিলে স্কিনারি, এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, এফবিসিসিআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, ফিনচ্যামের সভাপতি ও সিইও জুহো রমাকাম্মেয়ি, জ্যেষ্ঠ অ্যাডভাইজার জেনি আইসোলা, এফবিসিসিআইয়ের উপদেষ্টা সোনিয়া বশির কবির ও ফিনচ্যামের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট টিমো ভিওরি বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, যেসব ইউরোপীয় বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছিল, তার মধ্যে ফিনল্যান্ড অন্যতম। বাংলাদেশ ও ফিনল্যান্ডের বাণিজ্য সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেড়েছে। বাংলাদেশি রপ্তানিকারকরা ফিনল্যান্ডে আরও পণ্য রপ্তানির সুযোগ নিতে চায়।
ফিনল্যান্ডের মন্ত্রী ভিল স্কিনারি বলেন, ‘করোনার আগে দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য ধীর হলেও বাড়ছিল। আমরা আশা করি দ্রুত পূর্বের অবস্থায় ফিরে যেতে পারব। ফিনল্যান্ডে বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানির ভালো সুযোগ রয়েছে। আমরা সম্মিলিতভাবে আরও ভালো কিছু করতে পারি।’
বাংলাদেশ ও ফিনল্যান্ডের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, ‘ফিনল্যান্ডের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দক্ষতা উন্নয়ন, এডিআর, ফলিত গবেষণাসহ বিভিন্ন খাত এবং বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা বাড়ানোর সম্ভাব্যতা খতিয়ে দেখার মাধ্যমে আমরা বাণিজ্য পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ নিতে পারি।’
তিনি আরও বলেন, ওয়ার্টসিলার মতো প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে কারখানা স্থাপন করে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ তৈরি ও সংযোজনের সুযোগ নিতে পারে। যা তারা স্থানীয় বাজারে সরবরাহের পাশাপাশি অন্যান্য দেশেও রপ্তানি করতে পারবে।
এছাড়া বক্তারা প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপের মাধ্যমে দুদেশের ব্যবসায়িক পর্যায়ে সম্পর্ক জোরদারের নতুন উপায় খোঁজা, অভিন্ন ব্যবসায়িক নেটওয়ার্ক স্থাপন, ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনসহ বাংলাদেশ-ফিনল্যান্ডের সম্পর্ক জোরদারের মাধ্যমে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগকে কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।