তিনি বলেন, ‘এসএমই শিল্পখাতে তুরস্কের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। এ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দু'দেশের শিল্পোদ্যোক্তারাই লাভবান হতে পারে।’
বৃহস্পতিবার শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন’র সাথে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশের সাথে ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান বলেন, মুসলিম ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ হিসেবে তুরস্ক বাংলাদেশের সাথে আর্থ-সামাজিক সম্পর্ক জোরদারে বিশেষভাবে আগ্রহী। দুই দেশের অর্থনীতিই দ্রুত বর্ধনশীল এবং শিল্পখাতে বিদ্যমান সম্ভাবনার উপযুক্ত ব্যবহার পারস্পরিক অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে অবদান রাখতে পারে। এছাড়া দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে প্রতিনিধিদলের সফর বিনিময়ের ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।
বাংলাদেশের এসএমই খাতের উন্নয়নে তুরস্কের সহযোগিতার প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী বলেন, দ্বিপাক্ষিক উদ্যোগের মাধ্যমে এসএমই খাতের উন্নয়ন ঘটিয়ে এ সুযোগ কাজে লাগানো সম্ভব। টেকসই ও প্রযুক্তিনির্ভর এসএমইখাত গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে জাতীয় এসএমই নীতি প্রণয়ন করেছে।
এসএমই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার আশ্বাস দিয়ে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ জানান, এসএমই খাতের উন্নয়নে তুরস্কের যেকোনো ইতিবাচক প্রস্তাব বাস্তবায়নে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সম্ভব সব ধরনের সহায়তা দেয়া হবে।
অনলাইন এ বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগসহ শিল্প মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংযুক্ত ছিলেন।